ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

এএফসি অ-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপ বাছাইপর্ব, তাজিকদের হার কামনা

আজ শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৬:০৭, ৮ নভেম্বর ২০১৭

আজ শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি বাংলাদেশ

রুমেল খান ॥ অভীষ্ট লক্ষ্যে উপনীত হতে হলে চাই লক্ষ্য নির্ধারণ, কঠোর পরিশ্রম এবং ভাগ্যের ছোঁয়া। বাংলাদেশ অনুর্ধ-১৯ জাতীয় ফুটবল দলের প্রথম দুটো আছে, কিন্তু শেষেরটি নেই। ফলে এএফসি অনুর্ধ-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপ বাছাইপর্বের গন্ডি ছাড়িয়ে মূলপর্বে নাম লেখানোটা তাদের জন্য হয়ে পড়েছে ভীষণ কঠিন এবং চরম অনিশ্চয়তায় মোড়ানো। কেননা নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে লাল-সবুজদের হার। সেই হার আবার শেষ মুহূর্তে এবং আত্মঘাতী গোল হজম করে। প্রতিপক্ষ উজবেকিস্তানের সঙ্গে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করে খেলা শেষ হবার মাত্র ৩০ সেকেন্ড আগে নিজেদের পোস্টেই বল ঢুকিয়ে নিজেদের পায়ে নিজেরাই যেন কুড়াল মারে তারা। এখন ভাগ্য আর কঠিন লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে তারা আজ বিকেল ৩টায় তাজিকিস্তানের হিশর সেন্ট্রাল স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা যুব দলের। এই দলকে বাংলাদেশের যুবারা সর্বশেষ হারিয়েছে এই আসরের বাছাইপর্বে, ২০১৫ সালে। ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘এ’ গ্রুপে ২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছিল ২-০ গোলে। গোল করেছিলেন মান্নাফ রাব্বি এবং মাসুক মিয়া জনি। সিনিয়র দলের র‌্যাঙ্কিংয়েও লঙ্কানদের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ (বাংলাদেশ ১৯৬, শ্রীলঙ্কা ১৯৮)। আজকের ম্যাচে শক্তির নিরিখে বাংলাদেশই এগিয়ে থাকবে। জয়ের সম্ভাবনা তাদেরই বেশি। কিন্তু শুধু জিতলেই চলবে না। তাকিয়ে থাকতে হবে তাদের ম্যাচ শেষ হওয়ার পরপরই আরেক খেলার দিকে। মানে উজবেকিস্তান-তাজিকিস্তান ম্যাচের ফলের দিকেও। কামনা করতে হবে উজবেকিস্তানের কাছে তাজিকিস্তান যেন বেশি গোলের ব্যবধানে হারে। যদি তা না হয়, তাহলে তাজিকিস্তানের শুধু ১-০ গোলে হারলেই চলবে। কিন্তু তার আগেই সেক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কমপক্ষে ১২-০ গোলের ব্যবধানে জিতে বসে থাকতে হবে বাংলাদেশকে। কেননা এই মুহূর্তে গোল তফাতে বাংলাদেশের (+০) চেয়ে বহু এগিয়ে আছে তাজিকিস্তান (+১১)। এতে করে তাজিকিস্তান এবং বাংলাদেশের সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট হয়ে যাবে (৭)। তারপর তখনও তাজিকদের গোল পার্থক্যে পেছনে ফেলে গ্রুপ রানার্সআপ হতে পারবে বাংলাদেশ। কিন্তু তারপরও তাদের মূলপর্বে যাওয়াটা নিশ্চিত নয়। কেননা এ আসরে বাছাইপর্বের ১০ গ্রুপের সেরা ১০ দলের সঙ্গে সেরা ৫ রানার্সআপ ও একটি স্বাগতিক দেশ মিলিয়ে মোট ১৬টি দেশ এই আসরের চূড়ান্তপর্বে খেলার সুযোগ পাবে। তখন সেরা ৫ রানার্সআপ দলের একটি হওয়ার জন্য অন্য গ্রুপের দলগুলোর অবস্থা যাচাই করতে হবে। এই আসরে পাঁচ দলের মধ্যে শ্রীলঙ্কার অবস্থান তলানিতে। ৩ খেলার ২টিতে হার এবং ১টিতে ড্র করে তাদের সংগ্রহ মাত্র ১ পয়েন্ট। মূলপর্বে যাবার স্বপ্ন অনেক আগেই ধূলিসাৎ হয়ে গেছে তাদের। পক্ষান্তরে সমান ম্যাচে ১ জয়, ১ ড্র ও ১ হারে ৪ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে বাংলাদেশ। অন্যদিকে তিন ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়ে চূড়ান্তপর্ব প্রায় নিশ্চিত উজবেকিস্তানের। সবকিছু মিলিয়ে অবস্থাটা আসলেই দারুণ কঠিন বাংলাদেশের। ধরা যাক শেষ ম্যাচে তাজিকিস্তান হেরে গেল উজবেকিস্তানের কাছে। কিন্তু বাংলাদেশ অল্প গোলের ব্যবধানে শ্রীলঙ্কাকে হারালেও কোন লাভ হবে না। গোল গড়ে পিছিয়ে থাকায় আক্ষেপের বিদায় নিতে হবে তখন। আজ কি তেমনটাই অপেক্ষা করছে তাদের ভাগ্যে?
×