ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পাকিস্তানের ধন্যবাদ, লঙ্কানদের প্রশংসা

প্রকাশিত: ০৫:৩৩, ৩১ অক্টোবর ২০১৭

পাকিস্তানের ধন্যবাদ, লঙ্কানদের প্রশংসা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ রবিবার পাকিস্তানের লাহোরে অনুষ্ঠিত হলো বহুল আলোচিত টি২০ ম্যাচ। যেটিতে ৩৬ রানের বড় জয়ে সফরকারী শ্রীলঙ্কাকে ‘৩-০’ তে হোয়াইটওয়াশ করেছে সরফরাজ আহমেদের পাকিস্তান। উমর আমিন (৩৭ বলে ৪৫) ও শোয়েব মালিকের (২৪ বলে ৫১) দারুণ ব্যাটিংয়ে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৮০ রানের বড় স্কোর গড়ে স্বাগতিকরা। জবাবে ১৪৪/৯এ থামে অতিথিদের সংগ্রহ। দাসুন শানাকা ৫৪ ছাড়া আর কেউ সুবিধা করতে পারেননি। তার আগে আরব আমিরাতের আবুধাবিতে হয় সিরিজের প্রথম দুই টি২০। জয়-পরাজয় ছাপিয়ে শেষ ম্যাচটটাই ছিল আলোচনায়। কারণ ২০০৯ সালে এই লাহোরে এই লঙ্কান টিম বাসে সন্ত্রাসী হামলার পর জিম্বাবুইয়ে ছাড়া বড় কোনো দল পাকিস্তান সফর করেনি। যদিও শীর্ষ ক্রিকেটারদের ছাড়া থিসারা পেরেরার নেতৃত্বাধীন শ্রীলঙ্কা পুনর্শক্তির দল ছিল না। দীর্ঘ প্রায় ৮ বছর পর ঘরের মাটিতে বড় দলের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ম্যাচ ঘিরে তবু সন্তুষ্ট পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি), অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদসহ সাবেক তারকারা। লঙ্কানদের বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন তারা। সব কিছু ঠিক মতো শেষ হওয়ায় অতিথিরাও পাকিস্তানের আয়োজনের প্রশংসা করেছেন। লঙ্কান অধিনায়ক থিসারা বলেন ‘নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুব ভাল ছিল। পাকিস্তান এবং দেশটির সমর্থকদের প্রতি আমরা বেশ খুশি। তারা বেশ বন্ধুভাবাপন্ন ও ক্রিকেটপাগল সমর্থক।’ তরুণ ও আনকোড়া একটা দল নিয়ে হারলেও তারা ক্রমেই উন্নতি করছে বলেই মনে করেন তিনি, ‘অধিনায়ক হিসেবে আমি ক্রিকেট খেলাটাকে উপভোগ করি। আমার দল প্রতি ম্যাচেই উন্নতি করছে। আমাদের খেলোয়াড়রা এখনও বেশ তরুণ। তবে ক্রিকেটে আধিপত্য করার মতো মেধা ও দক্ষতা তাদের রয়েছে। মানিয়ে নেয়ার জন্য কেবল সময়ের প্রয়োজন।’ শ্রীলঙ্কা পাকিস্তানে সেভাবে অবস্থান করেনি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ম্যাচটা খেলেই ফিরে এসেছে। রোববার ম্যাচের দিন সকালে লঙ্কানরা লাহোরে পৌঁছালে কঠোর নিরাপত্তার মাঝে একটি বুলেটপ্রুফ বাসে করে তাদের হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। এবার পাকিস্তানে পা রেখে পেরেরা আরও বলেছিলেন, ‘পাকিস্তানে আবার আসতে পেরে ভাল লাগছে। যে উষ্ণ অভিবাদন আমরা পেয়েছি তার জন্য ধন্যবাদ।’ লাহোরের ম্যাচ দেখতে উপস্থিত ছিলেন শ্রীলঙ্কান ক্রীড়ামন্ত্রী ও ক্রিকেট বোর্ডের উর্ধতন কর্তারা। তারাও নিরাপত্তা ও আয়োজন নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। আর স্বাগতিক সরফরাজ বলেন, ‘শ্রীলঙ্কানদের আমরা হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে ধন্যবাদ দিতে চাই। পাকিস্তানে তাদের ফেরা নিয়ে সবাই উচ্ছ্বসিত। বিশ্ব একাদশের আগমন ছিল পাকিস্তানে ক্রিকেট পুনরুজ্জীবিত করার প্রথম ধাপ। লাহোর শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ম্যাচটা পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য অবিস্মরণীয় মুহূর্ত। আমি আশা করি, এখন আরও বেশি দল পাকিস্তানে আসবে। আমরা তাদের প্রচুর আতিথেয়তার সঙ্গে বরণ করে নিতে চাই।’ সাবেক অধিনায়ক কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান জাভেদ মিয়াদদ বলেন, ‘এটা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বিজয়। আমি আন্তর্জাতিক দলগুলোকে বলব পাকিস্তানে আসো ও খেলো। পাকিস্তান নিরাপদ ও এখানকার খেলাপাগল জাতি সবাইকে প্রচুর সম্মান করেন।’ ওয়াসিম আকরাম, শহীদ আফ্রিদির মতো পাকিস্তানের অনেক সাবেক তারকা ক্রিকেটার লঙ্কানদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
×