স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জিতেছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। ৩ উইকেটে জিতেছে স্বাগতিকরা। প্রথম ওয়ানডে বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জেতায় পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।
কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে দ্বিতীয় ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হয়। ম্যাচটিতে টস জিতে আয়ারল্যান্ড আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু সুবিধা করতে পারেনি। স্পিনার সানজামুল ইসলাম (৪/৩৩) ও পেসার আবুল হাসান রাজুর (৩/২৫) দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৪৮.১ ওভারে ১৯৫ রান করতেই অলআউট হয়ে যায় সফরকারীরা। সিমি সিং সর্বোচ্চ ৩৩ রান করতে পারেন। জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশও বিপাকে পড়ে। তবে তানভির হায়দারের অপরাজিত ৬১ ও অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্তর ৪৪ রানে ৪৬.৩ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৯৬ রান করে জিতে যায়।
আয়ারল্যান্ডের যেমন অবস্থা হয় বাংলাদেশেরও শুরু থেকে তেমন অবস্থাই হয়। ১৩ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর এক এক করে ১১৪ রানের মধ্যেই ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর সপ্তম উইকেটে গিয়ে তানভির ও সানজামুল মিলে উইকেট আঁকড়ে থাকেন। দুইজন মিলে দলকে ১৫৬ রানে নিয়ে যান। ৪২ রানের জুটিও গড়েন। এ জুটিই দলকে সাহস জোগায়। ১৫৬ রান হতেই সানজামুল আউটের পর আর কোন উইকেটই হারায়নি বাংলাদেশ। জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন তানভির ও রাজু (১০*)। ব্যাট হাতে তানভির দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখান। দলকে জেতানোয় আসল ভূমিকা রাখেন। তবে বল হাতে যেমন ব্যাট হাতেও সানজামুল ও রাজু প্রশংসনীয় নৈপুণ্য দেখান। যদিও ‘লো স্কোরিং’ ম্যাচেই বিপত্তিতে পড়া দলকে জয় এনে দেয়ায় তানভিরই ম্যাচ সেরার পুরস্কারটি পান। তবে সানজামুল ও রাজু মিলে যদি আয়ারল্যান্ডের ইনিংস ধসে না দিতেন তাহলে জয় সম্ভব হতো না।
সানজামুল ও রাজু মিলে ৭ উইকেট তুলে নেন। যখনই আইরিশরা ব্যাট হাতে উইকেট আঁকড়ে থাকার চেষ্টা করেছেন তখনই সানজামুল নয়তো রাজু উইকেট শিকার করে আইরিশদের বিপদে ফেলেছেন। ৮ রানেই যে উইকেট পড়া শুরু হয় আয়ারল্যান্ডের কিছুক্ষণ বিরতি দিয়ে উইকেট পড়তে থাকে। প্রথম উইকেট পড়ার পর যখন শানন ও এ্যান্ডারসন মিলে বড় জুটি গড়ার ইঙ্গিত দেন, ৫০ রানের সময় শাননকে আউট করে দেন সানজামুল। এরপর ৯০ রানেই ৪ উইকেটের পতন হয়। আবার যখন পঞ্চম উইকেটে এ্যান্ডারসন ও সিমি মিলে বড় জুটি গড়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তখনই আবার জুটি ভেঙ্গে দেয়া হয়। অবশ্য ১৩৬ রানে সিমিকে আউট করে জুটিটি ভাঙ্গেন তানভির হায়দার। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে জুটি ভাঙ্গার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাট হাতেও বড় ইনিংস খেলাতেই তানভিরকে ম্যাচের সেরা ভাবা হয়েছে। তবে ১৯৫ রানে যে অলআউট হয়ে গেছে আয়ারল্যান্ড, তা সানজামুল ও রাজুর দুর্দান্ত বোলিং নৈপুণ্যেই সম্ভব হয়েছে। তাতে করে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জয়ও পেয়েছে বাংলাদেশ। এখন সামনের তিন ওয়ানডের মধ্যে আর দুটি জিততে পারলেই সিরিজ জিতে যাবে বাংলাদেশ।
স্কোর ॥ আয়ারল্যান্ড ‘এ’ ইনিংস ১৯৫/১০; ৪৮.১ ওভার (সিমি ৩৩, শানন ২৭, এ্যান্ডারসন ২৭; সানজামুল ৪/৩৩, রাজু ৩/২৫)।
বাংলাদেশ ‘এ’ ইনিংস ১৯৬/৭; ৪৬.৩ ওভার (তানভির ৬১*, শান্ত ৪৪, সাদমান ২৪, সানজামুল ১৬, রাজু ১০*; মুলদার ৩/৪২)।
ফল ॥ বাংলাদেশ ‘এ’ ৩ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা ॥ তানভির হায়দার (বাংলাদেশ ‘এ’ দল)।