ইউরোপকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে প্রয়োজন ফ্রান্স ও জার্মানির মধ্যে অভিন্ন উদ্যোগ ও সুসম্পর্ক। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর পর এ দুটি দেশ একই গতিতে অগ্রসর হতে পারছে না। মহাদেশের অগ্রগতি নির্ভর করছে স্বাভাবিকভাবে এ দুটি দেশের ওপর। মে’তে ফরাসী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইইউ সমর্থিত ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও রবিবার জার্মান নির্বাচনে এ্যাঞ্জেলা মেরকেল বিজয়ী হওয়ার পর ইউরোপীয় ইউনিয়নে তাৎক্ষণিক রাজনৈতিক দিগন্ত স্পষ্ট হয়ে ওঠেছে বলে মনে হচ্ছে। -হাফিংটন পোস্ট
২০১৯ সালে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচনের আগে সংস্থাভুক্ত অন্য কোন বৃহৎ দেশের নির্বাচনে অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এ বিষয়টা ইইউকে শক্তিশালী করতে এবং ইউরোভীতি আন্দোলন প্রশমেন সহায়তা করবে বলে ধারণা করা যায়। অস্ট্রিয়া ও নেদারল্যান্ডসের মতো বিভিন্ন দেশে এ আন্দোলন বেশ সমর্থন কুড়িয়েছে। এ প্রসঙ্গে যুক্তরাজ্যের উল্লেখ করার প্রয়োজন নেই। কারণ দেশটি ব্রেক্সিটের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিন্তু প্যারিস বা ব্রাসেলসে যা ঘটেছে জার্মান নির্বাচনে তেমন প্রত্যাশা করা হয়নি। এর কারণ শুধু এটা নয় যে, ব্যাপক ডানপন্থী অলটারনেটিভ ফর জার্মানি পার্টি বা এএফডি জার্মান রাজনীতিতে দেশে তিন নম্বর দল হিসেবে উঠে এসেছে, কারণ এটাও যে, জার্মান চ্যান্সেলর এ্যাঞ্জেলা মেরকেলের নেতৃত্বধানী সম্ভাব্য ভবিষ্যত জোট ইইউ সমর্থিত পরিবেশবাদী জার্মান গ্রীনসকে বেশ অনীহ ফ্রি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ব্যবসা সমর্থিত উদারপন্থীদের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার সুযোগ দেবে। মেরকেলের মধ্য ডান, ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়ন ও মধ্য বাম সোস্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির মধ্যে বেশ সহনীয়। বাম-ডান মহাজোট যদিও ক্ষমতায় ছিল তথাপি ফ্রান্স ও জার্মানি ইউরোজোন পরিচালনা প্রক্রিয়ায় তাদের উদ্যোগে হঠাৎ করেই প্রতিকূলতা কমে যাবে না। আজ যা প্রয়োজন তা হচ্ছে দুদেশকে ইউরোপীয় কমিশনের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে এবং তাদের মধ্যকার পার্থক্যগুলো কমিয়ে আনার জন্য স্পেন ও ইতালির মতো একে অন্যের সহযোগী হতে হবে।