ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যক্তিগত ই-মেইল ব্যবহার করছেন ইভাঙ্কা ও স্বামী কুশনার

প্রকাশিত: ০৫:১৫, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭

ব্যক্তিগত ই-মেইল ব্যবহার করছেন ইভাঙ্কা ও স্বামী কুশনার

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টাদের মধ্যে অন্তত ছয়জন হোয়াইট হাউস বিষয়ক আলাপ আলোচনা চালাতে নিজেদের ব্যক্তিগত ই-মেইল এ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেছেন। মার্কিন দৈনিক দ্য নিউইয়র্ক টাইমস এই ছয়জনের নাম প্রকাশ করেছে, যার মধ্যে রয়েছেন ট্রাম্পের মেয়ে ইভাঙ্কা ট্রাম্প। নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে সরকারী কাজে ব্যক্তিগত ই-মেইল ব্যবহার করার অভিযোগে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে বারবার অভিযুক্ত করেছেন ট্রাম্প। এ জন্য তিনি এমনকি কয়েকবারই হিলারি ক্লিনটনকে কারাদ-ের মতো শাস্তি দেয়ার দাবি তুলেছিলেন। খবর বিবিসির। নিউজউইক ম্যাগাজিন জানিয়েছে, এক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কাছে সহযোগিতা চেয়ে ইভাঙ্কা ট্রাম্পের পাঠানো একটি মেইল এবং দুইজন ফেডারেল কর্মকর্তাকে সেই মেইলটির পাঠানো কপির বিস্তারিত তাদের হাতে রয়েছে। এর আগে রবিবার প্রকাশ পায়, ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিনিয়র উপদেষ্টা ইভাঙ্কা ট্রাম্পের স্বামী জেরার্ড কুশনারের ব্যক্তিগত ই-মেইল এ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে সরকারী কর্মকা- পরিচালনার বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। ডেমোক্রেট সিনিয়র কংগ্রেসম্যান এলিজাহ কামিংস কুশনারের কাছে চিঠি লিখে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি যেন তার সব ধরনের ব্যক্তিগত ই-মেইল সংরক্ষণ করেন। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডার্স জানিয়েছেন, এসব ই-মেইল প্রকাশ করা হবে না। রবিবার কুশনারের একজন আইনজীবী নিশ্চিত করেন, জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত ১০০ মতো ই-মেইল কুশনার তার স্ত্রী ইভাঙ্কা ট্রাম্পের ব্যক্তিগত এ্যাকাউন্ট থেকে পাঠানো হয়েছে। এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা ও উর্ধতন উপদেষ্টা জারেড কুশনার হোয়াইট হাউসের কাজে ব্যক্তিগত ই-মেইল এ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেছেন। অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বার্তা চালাচালির জন্য হোয়াইট হাউসের অফিসিয়াল এ্যাকাউন্টের পাশাপাশি ব্যক্তিগত ই-মেইল এ্যাকাউন্টও ব্যবহার করেছেন তিনি। পলিটিকো জানায়, মিডিয়া কভারেজ সম্পর্কিত চিঠিপত্র, অনুষ্ঠান পরিকল্পনা এবং অন্যান্য কাজে কুশনার ব্যক্তিগত ই-মেইল ব্যবহার করেছেন। কুশনারের আইনজীবীর দাবি, তার মক্কেল সরকারী তথ্য রক্ষণাবেক্ষণ আইন মেনে চলেছেন এবং ব্যক্তিগত ই- মেইল এ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে যেসব ই-মেইল তিনি পাঠিয়েছেন সেগুলোর সবই তিনি অফিসের ই-মেইল এ্যাকাউন্টে ফরোয়ার্ড করেছেন। পিলিটিকোর খবরে বলা হয়, ট্রাম্পের অন্যান্য শীর্ষ সহযোগীরাও অফিসের কাজে ব্যক্তিগত ই-মেইল এ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেন; যাদের মধ্যে সাবেক চীফ অব স্টাফ রাইনস প্রিবাস, সাবেক প্রধান কৌশলবিদ স্টিভ ব্যানন এবং অর্থনৈতিক উপদেষ্টা গ্রে কনও ছিলেন।
×