ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা বাড়ানোর ঘোষণা ইরানের

প্রকাশিত: ০৬:১৪, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭

ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা বাড়ানোর ঘোষণা ইরানের

ইরান কোন দেশের অনুমতি ছাড়াই ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা আরও জোরদার করবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। শুক্রবার এক সামরিক মহড়ায় দেয়া বক্তব্যে রুহানি এই মন্তব্য করেন। ওয়েবসাইট। এই ঘোষণার মাধ্যমে ইরান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রা¤েপর চাপ উপেক্ষা করল বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাধার মুখেও আমরা আমাদের সামরিক শক্তি বাড়াতে থাকব। আমরা ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা জোরদার করব। নিজেদের দেশকে রক্ষা করার জন্য আমাদের কারও কাছ থেকে অনুমতি চাইতে হবে না, রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচার করা ভাষণে এমনটাই বলেন রুহানি। মহড়ায় যেসব অস্ত্র প্রদর্শিত হয়েছে তার মধ্যে নতুন একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছিল বলে জানিয়েছে ইরানের সংবাদ মাধ্যমগুলো। বেশ কয়েকটি ওয়ারহেড পরিবহনে সক্ষম এ ক্ষেপণাস্ত্রটির পরিসীমা দুই হাজার কিলোমিটার। রেভ্যুলেশনারি গার্ডের এ্যারো¯েপস বিভাগের প্রধান আমিরআলি হাজিজাদেহ সংবাদ মাধ্যম তাসনিমকে ক্ষেপণাস্ত্রের খুঁটিনাটি নিয়ে আরও তথ্য দিয়েছেন। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ‘খোরামশার মিসাইল’ ছোড়ার ফুটেজও দেখানো হয়েছে। যদিও এই পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ শুক্রবারই হয়েছে না তার আগে, তা জানায়নি তারা। গত মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ট্রা¤প ইরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা বাড়িয়ে তারা ইয়েমেন, সিরিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য অংশে সহিংসতা রফতানি করছে। পরমাণু কর্মসূচী সীমিত করার বিনিময়ে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার শর্তে ২০১৫ সালে তেহরান ও ছয় বিশ্বশক্তির মধ্যে স্বাক্ষরিত পরমাণু চুক্তিরও সমালোচনা করেন তিনি। ট্রা¤প শুরু থেকেই একে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ‘বিব্রতকর ও একপাক্ষিক’ অ্যাখ্যা দিয়ে চুক্তি থেকে সরে আসার হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছেন। মধ্যপ্রাচ্যে জঘন্য কর্মকাণ্ড এবং ফেব্রুয়ারিতে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কারণ দেখিয়ে জুলাইতে ইরানের ওপর নতুন অর্থনৈতিক অবরোধও আরোপ করেছিলেন তিনি। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন সম্প্রতি বলেছেন, ইরানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত পরমাণু চুক্তিতে পরিবর্তন না আনলে যুক্তরাষ্ট্র তাতে থাকবে না। ইরান অবশ্য চুক্তি নিয়ে যে কোন নতুন আলোচনার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল ছাড়া বিশ্বের সব দেশ ইরানের পরমাণু চুক্তির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে বলেও টেলিভিশনে প্রচারিত ভাষণে মন্তব্য করেন রুহানি। রয়টার্স বলছে, বিশ্ব যখন উত্তর কোরিয়ার একের পর এক পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কবলে তখন ইরান পরমাণু চুক্তি নিয়ে ওয়াশিংটনের অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশগুলোকেও দুশ্চিন্তার মধ্যে ফেলেছে। বৃহ¯পতিবার রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধ আরোপ হবে অবৈধ এবং তা সম্মিলিত আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টাকে খাটো করবে। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঝাং ঝি বলেছেন, কোরীয় উপদ্বীপে চলমান উত্তেজনা ইরানের চুক্তির গুরুত্ব তুলে ধরেছে, চীন এ চুক্তিকে সমর্থন দিয়ে যাবে।
×