ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

আফগান সঙ্কট মোকাবেলা

চীনসহ তিন দেশের সঙ্গে মতৈক্যে পৌঁছেছে পাকিস্তান

প্রকাশিত: ০৩:২৭, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭

চীনসহ তিন দেশের সঙ্গে মতৈক্যে পৌঁছেছে পাকিস্তান

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দফতর বৃহস্পতিবার বলেছে যে, আফগানিস্তান পরিস্থিতির ওপর এ অঞ্চলের প্রধান দেশগুলোর সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছেছে ইসলামাবাদ। চীন, ইরান ও তুরস্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী খাজা আসিফের সফল সফরের পর এ কথা বলা হয়। খবর এক্সপ্রেস ট্রিবিউন অনলাইনের। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গত মাসে আফগানিস্তান ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক নতুন নীতি ঘোষণার প্রেক্ষাপটে বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলোর সমর্থন পাওয়ার জন্য পাকিস্তানের কূটনৈতিক উদ্যোগের অংশ হিসেবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওই আঞ্চলিক দেশগুলোর সফর করেন। এটাও প্রত্যাশা করা হচ্ছে যে, আসিফ নিউইয়র্কে জাতিসংঘের আসন্ন সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করবেন। পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র নাফিস জাকিরিয়া সাপ্তাহিক এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আঞ্চলিক সফর আফগানিস্তানসহ এ অঞ্চলের পরিস্থিতি বিষয়ক স্বার্থ ও পরিস্থিতির দৃষ্টিকোণের দিক থেকে সফল হয়েছে। তিনি বলেন, দেশগুলোর সঙ্গে যে সব বিষয়ে ঐক্যমত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যেগুলো হচ্ছে, এ অঞ্চলে স্থিতিশীলতার জন্য আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠা গুরুত্বপূর্ণ; আফগান সংঘাতের কোন সামরিক সমাধান নেই; আফগানিস্তানে এ পরিস্থিতিতে প্রয়োজন আঞ্চলিক সমাধান; শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আফগানদের উদ্যোগে ও আফগানদের নেতৃত্বে সংলাপ অনুষ্ঠান; পাকিস্তান সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ব্যাপক অবদান রেখেছে, নজিরবিহীন আত্মত্যাগ করেছে, মানুষের দুর্ভোগ ও অর্থনৈতিক ক্ষতির শিকার হয়েছে। আফগানিস্তানে সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর অস্তিত্ব রয়েছে এবং সন্ত্রাসীদের নিরাপদ স্থান আঞ্চলিক দেশগুলোর প্রতি হুমকি স্বরূপ। সন্ত্রাসের অস্তিত্ব রয়েছে সমগ্র বিশ্বে এবং তাই, তা নির্মূলে বৈশ্বিক সহযোগিতা প্রয়োজন; পারস্পরিক দোষারোপ কোন পক্ষের জন্য স্বার্থ বয়ে আনবে না; টেকসই আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কাশ্মীরের মতো বিরোধগুলোর জন্য সমাধান প্রস্তাব গুরুত্বপূর্ণ এবং নিয়ন্ত্রণ রেখায় মানবাধিকার লঙ্ঘন মারাত্মক উদ্বেগজনক ও ব্যাপক নিন্দনীয় বিষয়। ইসলামাবাদ এর মধ্যে ট্রাম্প প্রশাসনের কৌশল প্রত্যাখ্যান করেছে। কিন্তু কূটনৈতিক পথে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মতপার্থক্য খুঁজে বের করার জন্য দরজা খোলা রেখেছে। রাষ্ট্রদূতরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাজধানীতে সম্প্রতি পররাষ্ট্র দফতরে তাদের বৈঠকে সুপারিশ করেছেন যে, সরকার বিরোধিতার ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করবে এবং কূটনৈতিক উদ্যোগের প্রতি অগ্রাধিকারভিত্তিক গুরুত্ব দেবে। নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ভারতীয় সৈন্যদের প্রতিশ্রুত অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘনের ব্যাপারে ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনার জেপি সিংকে ইতোমধ্যে তলব করা হয়েছে। মহাসচিব ড. মোহাম্মদ ফয়সাল ভারতীয় ডেপুটি কমিশনার জেপি সিংকে ডেকে পাঠান এবং ফুকলিয়ান সেক্টরে ১৩ সেপ্টেম্বর ভারতীয় দখলদার বাহিনীর অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘনের নিন্দা জানান। ওই ঘটনায় ২ পাকিস্তানী বাসিন্দা নিহত ও ৩ জন আহত হয়, পররাষ্ট্র দফতরের এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়।
×