ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ইউনিডো ডিজির সাক্ষাতকালে প্রধানমন্ত্রী

সরকার কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে শিল্পায়নের ওপর জোর দিচ্ছে

প্রকাশিত: ০৫:১২, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭

সরকার কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে শিল্পায়নের ওপর জোর দিচ্ছে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর সরকার দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের জন্য দ্রুত শিল্পায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। তিনি বলেন, মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ এবং জনগণের কর্মসংস্থান সৃষ্টিই মূল লক্ষ্য, আর কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য শিল্পায়ন অত্যন্ত জরুরী। ইউনিডোর মহাপরিচালক লি ইয়ং বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। খবর বাসসর। বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (ইউনিডো) মহাপরিচালক বাংলাদেশকে তাঁর অন্তর্ভুক্তিমূলক টেকসই উন্নয়নের ধারায় সহযোগিতা করতে আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর সময়ে গৃহীত ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের প্রসারের বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু শিল্প খাতকে সরকারী এবং বেসরকারী উভয় খাতে এবং সমবায়ের মাধ্যমে বিকাশের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তাঁর সরকারও সেই পদাঙ্ক অনুসরণ করেই এগিয়ে যাচ্ছে। তাঁর সরকার বিদেশী বিনিয়োগ (এফডিআই) আকৃষ্ট করতে বেসরকারী খাতকে উন্মুক্ত করে দিয়ে বিভিন্ন আকর্ষণীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তাঁর সরকার সারাদেশে এক শ’ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলে সেখানে বিনিয়োগের জন্য প্লট বরাদ্দ করছে, চাইলেই এই সুযোগ নিয়ে বিনিয়োগকারীরা সেখানে নিজস্ব শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পারেন। তিনি বলেন, তাঁর সরকার স্থানীয় পণ্যের ওপর ভিত্তি করে এ্যাগ্রো-বেজ্ড শিল্প প্রক্রিয়াকরণ প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার একটি পরিকল্পনাও বাস্তবায়ন করে চলেছে এবং বর্তমানে দেশে-বিদেশে পাট শিল্পের চাহিদার কারণে পাটপণ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণকে উৎসাহিত করছে। বাংলাদেশ তাঁর বৃহৎ জনসংখ্যা নিয়েই পণ্য বাজারজাতকরণের একটি সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র এবং ক্রমেই এর অভ্যন্তরীণ বাজার সম্প্রসারিত হচ্ছে এবং পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে বাজার সম্প্রসারণের জন্য এটি ইতোমধ্যেই বিবিআইএন (বাংলাদেশ, ভুটান, ইন্ডিয়া, নেপাল) এবং বিসিআইএম (বাংলাদেশ, চীন, ইন্ডিয়া, মিয়ানমার) নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হয়েছে। তাঁর সরকার শিল্প খাতের জন্য দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলায় গুরুত্বারোপ করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে কারণে দেশে অনেক কারিগরি এবং প্রকৌশল শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে। সারাদেশ এখন ইন্টারনেট সংযোগের আওতায় আসায় শিল্পায়ন আরও বিকশিত হচ্ছে। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করে লি ইয়ং বলেন, যেকোন দেশের জন্যই বৃহৎ এই জনসংখ্যা চ্যালেঞ্জস্বরূপ হলেও বাংলাদেশের এই জনসংখ্যার মধ্যে একটি বড় অংশ তরুণ সমাজ হওয়ায় এটি দেশটির জন্য অমিত সম্ভবনার সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশকে অবশ্যই এই ডেমোগ্র্যাফিক ডিভিডেন্ডের সুবিধা নিতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তরুণদের প্রশিক্ষণ, আরও বেশি করে এ্যাগ্রো-বেজ্ড শিল্প স্থাপন এবং পণ্যের মানোন্নয়ন ঘটাতে হবে। এ বিষয়ে ইউনিডো বাংলাদেশকে সবরকম সহায়তা দিতে প্রস্তুত বলেও তিনি উল্লেখ করেন। শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম এবং অস্ট্রিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবু জাফর এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
×