ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ট্রাম্পের ইনার সার্কেল ॥ শুধু রইলেন পেন্স

প্রকাশিত: ০৩:৪১, ২০ আগস্ট ২০১৭

ট্রাম্পের ইনার সার্কেল ॥ শুধু রইলেন পেন্স

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেয়ার পর যে ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের নিয়ে নিজের ইনার সার্কেল গড়ে তুলেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, সাত মাসের মধ্যে তাদের একজন বাদে বাকিরা সাবেক হয়ে গেছেন। সবর্শেষ শুক্রবার হোয়াইট হাউসের চিফ স্ট্যার্টেজিস্ট পদ থেকে স্টিভ ব্যাননকে বরখাস্তের পর শুরুর সময়কার ইনার সার্কেলের শুধু একজন, ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সই এখন শুধু ট্রাম্পের সঙ্গে আছেন। খবর বিবিসির। ব্যাননের আগে দায়িত্ব ছাড়তে হয় রেইনস প্রিবাস, মাইকেল ফ্লিন, শন ¯পাইসারের মতো একসময়ের ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ব্যক্তিদের। হোয়াইট হাউসেরর অন্দরমহলে চলা চাপান-উতোরে প্রথম ইনার সার্কেল সদস্যদের বিদায়ের পর্বগুলো তুলে ধরা হলো। ডোনাল্ড ট্রাম্প, প্রেসিডেন্ট হিসেবে ২০ জানুয়ারি দায়িত্ব নেয়ার পর সাত মাস পেরিয়ে গেছে। নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ নিয়ে চলমান তদন্ত প্রেসিডেন্সিতে ছায়া ফেলেছে? ওবামাকেয়ার বাতিল কিংবা ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার মতো প্রতিশ্রুত নীতি বাস্তবায়নে হয়েছেন ব্যর্থ। শার্লোটভিলে সংঘর্ষে শ্বেত শ্রেষ্ঠত্ববাদীদের কড়া সমালোচনা না করায় ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকানদের ক্রমবর্ধমান বাক্যবানে বিদ্ধ হয়েছেন। এ রকম অনেক বিষয়ে তীব্র চাপে থাকার পরও এখনও স্বপদে বহাল আছেন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রেইনস প্রিবাস, (সাবেক) চিফ অব স্টাফ। নতুন প্রশাসনের বয়স যখন মাত্র ৬ মাস, তখনই জুলাইয়ের শেষদিকে কয়েক সপ্তাহের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির পর পদ ছাড়তে হয় প্রিবাসকে। এর কয়েকদিন আগে তখনকার (এখন সাবেক) কমিউনিকেশন ডিরেক্টর এন্থনি স্কারামুচি হোয়াইট হাউসের অভ্যন্তরীণ বিষয় ফাঁসের অভিযোগে প্রিবাসকে মস্তিষ্কবিকৃত অ্যাখ্যা দেন। অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল জন কেলি পরে রিপাবলিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের সাবেক প্রধান প্রিবাসের স্থলাভিষিক্ত হন। মাইক পেন্স, ভাইস প্রেসিডেন্ট ॥ ট্রাম্প ছাড়া তার ইনার সার্কেলের আর যে ব্যক্তি সাত মাস পরও দায়িত্বে বহাল আছেন তিনি মাইক পেন্স, যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট। যদিও স্বস্তিতে আছেন এমনটা বলা যাবে না। ২০২০ সালের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থিতার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, এ মাসের শুরুতে নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এমন এক প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যানে তাকে জোর করা হয়েছে এমন খবর মার্কিন গণমাধ্যমে ভেসে বেড়াচ্ছে। স্টিভ ব্যানন, (সাবেক) চিফ স্ট্যার্টেজিস্ট।। চিফ অব স্টাফ জেনারেল কেলি হোয়াইট হাউসের চিফ স্ট্যার্টেজিস্ট পদ বিষয়ে পুনর্বিবেচনা করছেন এমন গুঞ্জনের মধ্যেই পদ হারানোর তালিকায় সবর্শেষ যুক্ত হন স্টিভ ব্যানন। কট্টর ডানপন্থী এবং ব্রেইটবার্ট নিউজের সাবেক প্রধান ব্যানন ট্রাম্পকে ২০১৬-র নির্বাচনী বৈতরণী পারে সাহায্য করেছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ে হোয়াইট হাউসের মধ্যপন্থীদের সঙ্গে তার বিবাদ চলছিল বলেও ধারণা করা হয়। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি সারাহ হাকেবি স্যান্ডার্স এক বিবৃতিতে ব্যাননকে সরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত সব পক্ষের সম্মতিতে হয়েছে জানালেও এর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প নিজেই চিফ স্ট্যার্টেজিস্ট পদে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। শন স্পাইসার কমিউনিকেশন ডিরেক্টর এন্থনি স্কারামুচি যোগ দেয়ার পর শুরু হওয়া অস্থিরতায় জুলাইয়ের শেষে পদত্যাগ করেন শন স্পাইসার, যিনি গণমাধ্যমের সঙ্গে শীতল আচরণের জন্য পরিচিত ছিলেন। পরে ফক্স নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে স্পাইসার জানান, অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট হওয়ার ঝুঁকিতেই পদ ছেড়ে দেন তিনি। স্কারামুচি নিজেও অবশ্য বেশিদিন পদে থাকতে পারেননি, ১০ দিনেরও কম সময়ের মধ্যে তাকে হোয়াইট হাউস ছাড়তে হয়েছিল। মাইকেল ফ্লিন, (সাবেক) জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা। ফ্লিনের চলে যাওয়া ছিল ট্রাম্প প্রশাসনের বিতর্কিত বিষয়গুলোর একটি। রাশিয়ার সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে দায়িত্ব নেয়ার মাত্র ২৩ দিনের মাথায় তাকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদ ছাড়তে হয়।
×