ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে ॥ হামলার পরিকল্পনা

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ১৬ আগস্ট ২০১৭

ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে ॥ হামলার পরিকল্পনা

গাফফার খান চৌধুরী/অমল সাহা ॥ রাজধানীর পান্থপথে হোটেল ওলিও ইন্টারন্যাশনালে পুলিশের অভিযানে এক আত্মঘাতী জঙ্গীর মৃত্যু হয়েছে। অভিযানটির নাম দেয়া হয়েছে ‘অপারেশন আগস্ট বাইট’। জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠান বিশেষ ৩২ নম্বরে আত্মঘাতী হামলা করে শত শত মানুষকে হত্যার পরিকল্পনা ছিল ওই জঙ্গীর। নিহত জঙ্গী সাইফুল শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল। পরবর্তীতে সে নব্য জেএমবির আত্মঘাতী (ফিদায়ী) স্কোয়াডের সদস্য হয়। তার পিতা জামায়াতে ইসলামী নেতা। পুলিশের অভিযানকালে জঙ্গী সাইফুল ইসলাম আত্মসমর্পণ না করে নিজের শরীরের বেঁধে রাখা শক্তিশালী বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আত্মঘাতী হামলা করে। সেই হামলায় সাইফুল মারা গেলেও আর কেউ হতাহত হয়নি। বিকট শব্দে বিস্ফোরণের পর হোটেলের দেয়াল, দরজা, জানালা ও গ্রিল উড়ে কয়েক শ’ গজ সামনে রাস্তায় ছিটকে পড়ে যায়। পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ওই এলাকার আশপাশে সোমবার রাত চারটা থেকে মঙ্গলবার বেলা তিনটা পর্যন্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। জঙ্গী আস্তানায় বিস্ফোরণের কারণে শোক দিবসের অনুষ্ঠানে যাওয়া মানুষদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল। অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তাদের ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। বিকেলে নিহত জঙ্গীর লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠায় পুলিশ। সোমবার রাত চারটার দিকে ধানম-ির ৩২ নম্বরের খুব কাছে পান্থপথের মূল সড়কে অবস্থিত ৫৭/১/সি নম্বর চারতলা ওলিও ইন্টারন্যাশনালে জঙ্গী আস্তানার সন্ধান পায় পুলিশ। পুলিশের কাউন্টার টেররিজম এ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের এক কর্মকর্তা জানান, জাতীয় শোক দিবসের মিছিলে সাধারণ মানুষ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর জঙ্গীদের হামলার পরিকল্পনার কথা কয়েকদিন আগেই জানা সম্ভব হয়। আগাম তথ্যের ভিত্তিতে তারা অভিযান চালাচ্ছিল। মাসের শুরুতেই পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী নব্য জেএমবির ফিদায়ী সদস্য হিসেবে সাইফুল ইসলামকে প্রস্তুত করে জঙ্গী সংগঠন নব্য জেএমবি হামলার জন্য পাঠায়। তাকে শক্তিশালী আত্মঘাতী হামলার চালানোর জন্য গ্রেনেড, সুইসাইডাল ভেস্টসহ অন্যান্য সরঞ্জাম সরবরাহ করে জঙ্গী সংগঠনটি। এসব বিস্ফোরক সাইফুলকে ঢাকায় সবররাহ করা হয়। সেই বিস্ফোরক একটি ট্রাভেল ব্যাগে ভরে সাইফুল হোটেলটির ৩০১ নম্বর কক্ষ ভাড়া নিয়েছিল। মূলত ৩২ নম্বরে হামলার উদ্দেশ্যেই কক্ষটি ভাড়া নিয়েছিল সাইফুল। প্রথম টার্গেট ছিল হোটেলের বারান্দা থেকে নিচ দিয়ে ধানম-ির ৩২ নম্বরের দিকে যাওয়া মিছিল। মিছিলে হামলা করলে শত শত মানুষ মারা যাবে। কিন্তু ধানম-ির ৩২ নম্বরসহ আশপাশের এলাকায় মিছিল নিষিদ্ধ থাকায় সে পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী সরাসরি শরীরে বেঁধে রাখা সুইসাইডাল ভেস্টে গ্রেনেড নিয়ে আত্মঘাতী হামলা চালানোর কথা ছিল নিহত জঙ্গী সাইফুল ইসলামের। কিন্তু বিধি বাম! হোটেলের কক্ষে অভিযানকালে বোর্ডারদের ডেকে তোলা হচ্ছিল। আর ডাকার কাজটি করছিলেন হোটেল ম্যানেজার ও তার সঙ্গে থাকা কর্মকর্তা কর্মচারীরা। সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা থাকলেও, তারা কোন কথা বলছিলেন না। ভোর চারটার দিকে সাইফুলের কক্ষে ডাকাডাকি করার পরও সে দরজা খুলছিল না। এতে সন্দেহ আরও বেড়ে যায়। এ সময় হোটেল ম্যানেজারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কৌশলে সাইফুলের কক্ষের বাইরে থাকা ছিটকিনি আটকে দেয়। এরপর ভেতরে থাকা বোর্ডারের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে নিশ্চিত হওয়া যায় সে জঙ্গী। এরপরই পর্যায়ক্রমে অভিযানের প্রস্তুতি শুরু হয়। পুলিশ পুরো আস্তানা ঘিরে রাখে। কাওরানবাজার, ধানম-ি ৩২ নম্বর, কলাবাগান, পান্থপথ সিগন্যালসহ আশপাশের সব রাস্তা বন্ধ করে দেয়। রাতভর হ্যান্ডমাইক দিয়ে পুলিশ ভেতরে থাকা জঙ্গীদের আত্মসর্মপণ করতে আহ্বান জানায়। তাতে সাড়া আসে না। সকালেও কয়েক দফা জঙ্গীদের আত্মসর্মপণের আহ্বান জানায় পুলিশ। ইতোমধ্যেই আশপাশের বাসাবাড়ির লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নেয় পুলিশ। হোটেলে থাকা বোর্ডারদেরও নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নেয়া হয়। হোটেলের সঙ্গে লাগোয়া ছয়তলা বাড়ির বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়া হয়। সেখানকার বিদ্যুত ও গ্যাসের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। বার বার আহ্বানের পরে সাড়া মিলছিল না। সাড়া না মেলায় সকাল দশটার দিকে চূড়ান্ত অভিযান শুরু হয়। পুলিশ ও পুলিশের বিশেষায়িত বাহিনী সোয়াট ‘অপারেশন আগস্ট বাইট’ অভিযান চালায়। সোয়াট সদস্যরা ভারি আগ্নেয়াস্ত্র থেকে আস্তানা লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকে। এ সময় ভেতরে থাকা জঙ্গী শক্তিশালী বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে প্রথমে কক্ষের দরজা উড়িয়ে দেয়। এরপর আবার গুলি চালাতে থাকে সোয়াট। এমন পরিস্থিতিতে দ্বিতীয় বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে পুরো এলাকা প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। চোখের পলকে হোটেলটির চারতলার বারান্দার অন্তত একশ’ ফুট দেয়াল উড়ে গিয়ে পাশের রাস্তার উপর পড়ে। সেই সঙ্গে বারান্দার গ্রিল উড়ে গিয়ে রাস্তার প্রায় অপরপ্রান্তে পড়ে। উপরে থাকা একটি সাইনবোর্ড উড়ে গিয়ে পড়ে রাস্তার অপরপ্রান্তে থাকা একটি বহুতল ভবনের নিচে। পাশের ছয়তলা বাড়ির চার ও তিন তলার বাইরের জানালার কাঁচ গুঁড়োগুঁড়ো হয়ে যায়। প্রচ- বিস্ফোরণে এসিগুলো খুলে ঝুলে পড়ে। আশপাশে থাকা মানুষের মধ্যে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় সোয়াট গুলি চালাতে শুরু করে। এর পর পরই আরেকটি বিস্ফোরণ ঘটে। তারপর আর বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে বাইরে থেকে দেখা যায় হোটেলটির চারতলার পূর্ব দিকের কোণার বারান্দায় একজনের দুই পা দিয়ে রক্ত ঝরছে। রাস্তা থেকে পায়ের গোড়ালি দেখা যাচ্ছিল। নিচে হোটেলের সব আসবাবপত্র বিস্ফোরণে চুরমার হয়ে পড়ে আছে। চারতলা ভবনটির তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় হোটেল। আর দ্বিতীয় তলায় একটি ফার্নিচারের শোরুম। আর নিচতলায় রিল্যাক্স ট্রেডিং, রহিম আফরোজ ব্যাটারির দোকান, বিসমিল্লাহ মোটরস, ন্যাশনাল ট্রাভেল এজেন্সি, কোহিনুর ইলেকট্রনিক্স, ঢাকা রেন্ট-এ কার ও রাহী ট্রেড নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। সকালে সেখানে হাজির হলেও ব্যবসায়ীরা আর তাদের প্রতিষ্ঠান খুলতে পারেননি। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর বাইরের কিছু কিছু অংশ বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া হোটেলটির আশপাশের ভবনে বোমার স্পিøন্টারবিদ্ধ হয়েছে। আশপাশের ভবনগুলোর কাঁচের দরজা ভেঙ্গে গেছে। অনেক ভবনের কাঁচের ভেতরে স্পিøন্টারবিদ্ধ হয়ে আছে। এমনকি রাস্তার অপরপ্রান্তে থাকা ভবনগুলোর কাঁচেও বোমার স্পিøন্টার বিদ্ধ হয়েছে। স্পিøন্টারবিদ্ধ হয়ে একজন নিরাপত্তাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। বিস্ফোরণের শব্দ পুরোপুরি থেমে গেলে সেখানে অভিযান চালায় বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও সিআইডির ক্রাইম সিন টিম। তখন সকাল সাড়ে দশটার মতো বাজে। দূরে রাস্তা থেকে দাঁড়িয়েই হোটেলটির চতুর্থ তলায় পূর্ব দিকের কোণায় একজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তার শরীর ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করে সিআইডির ক্রাইম সিন টিম। সেখানে অভিযান পরিচালনাকারী বম্ব ডিসপোজাল টিমের অতিরিক্ত কমিশনার ছানোয়ার হোসেন জানান, ভেতরে একটি ট্র্যাভেল ব্যাগে বোমার সন্ধান পাওয়া যায়। ব্যাগে বোমা ছিল। পরে তা নিষ্ক্রিয় করা হয়। বোমাগুলো খুবই শক্তিশালী ছিল। নিহত জঙ্গী শরীরে বেঁধে রাখা সুইসাইডাল ভেস্টের মাধ্যমে গ্রেনেডের বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে আত্মঘাতী ওই জঙ্গীর মৃত্যু হয় বলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মনে হয়েছে। অভিযান শেষে পুলিশ মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের জানান, নিহত জঙ্গীর নাম সাইফুল ইসলাম। বাড়ি খুলনার ডুমুরিয়ায়। এক সময় ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল। তার বাবা আবুল খায়ের জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। পাশাপাশি স্থানীয় একটি মসজিদের ইমাম। জঙ্গী সাইফুল মাদ্রাসার ছাত্র ছিল। পরবর্তীতে কলেজে পড়াশুনা করে। সে খুলনার বিএল কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল। আইটি আরও জানান, জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে আত্মঘাতী হামলা করে শত শত মানুষকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র ছিল নিহত জঙ্গীর। এজন্যই সুবিধাজনক জায়গা হিসেবে ওই হোটেলটি বেছে নিয়ে ছিল। গুলশান হামলার পর কোণঠাসা হয়ে পড়া নব্য জেএমবি ১৫ আগস্টের শোক দিবস কেন্দ্র করে ধানম-ি ৩২ নম্বরে হামলার মাধ্যমে নিজেদের ক্ষমতার জানান দিতে চেয়েছিল। কিন্তু নব্য জেএমবির সে পরিকল্পনা নস্যাত করা সম্ভব হয়েছে। অল্পের জন্য বড় ধরনের বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল পান্থপথের অভিযানের বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, সন্দেহভাজন এক জঙ্গীর অবস্থানের তথ্য পেয়ে সোয়াটসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান শুরু করেছে। সেখানে নাশকতার সরঞ্জাম থাকতে পারে বলেও তাদের কাছে খবর আছে। পুলিশের কাউন্টার টেররিজম এ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানান, এক সময় শিবির করা সাইফুল নব্য জেএমবির হয়ে কাজ করছিল। শোকের মাসে জঙ্গীদের বড় ধরনের নাশকতা ঘটানোর পরিকল্পনা ছিল থাকার তথ্যের ভিত্তিতে অনেক দিন ধরেই ঢাকায় অভিযান চলছিল। তারই ধারাবাহিকতায় অভিযানকালে ওই হোটেলে জঙ্গী আস্তানার সন্ধান মেলে। সোমবার রাতেই ওই জঙ্গী হোটেলে ওঠে। হোটেলের রেজিস্টার খাতা অনুযায়ী তার নাম সাইফুল ইসলাম। বাড়ি খুলনার ডুমুরিয়া থানা এলাকায়। গত ৭ আগস্ট সাইফুল কাজের জন্য ঢাকায় এসেছিল। মূলত সাইফুল হিজরত করেছিল। খুলনায় সে একটি মেসে থাকত। সেখান থেকেই সে অনলাইনের মাধ্যমে র‌্যাডিক্যাল হয়ে ওঠে বলে জানা গেছে। পুলিশ সদর দফতরের ইন্টেলিজেন্স এ্যান্ড স্পেশাল এ্যাফেয়ার্স শাখার সহকারী পুলিশ মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, গুলশান ও শোলাকিয়া হামলার পর সাঁড়াশি অভিযানের মুখে থাকা জঙ্গীরা আগস্টে তাদের সক্ষমতা জানান দিতে পারে। এমন গোয়েন্দা তথ্য ছিল তাদের কাছে। এসব তথ্য এসেছে মূলত গ্রেফতারকৃত জঙ্গীদের জিজ্ঞাসাবাদে। সে মোতাবেক অনেক কিছুই মনিটরিং করা হচ্ছে। মনিটরিংয়ের সূত্র ধরেই নানা জায়গায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযান চলছে। সেই সঙ্গে গোয়েন্দা নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে। সেই অভিযানের ধারাবাহিকতায়ই মূলত সাইফুল ইসলামের সন্ধান পাওয়া যায়। খুলনার ডুমুরিয়া থানার ওসি হাবিল হোসেন জানান, সাইফুলের পিতা আবুল খায়ের মোল্লাকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। নিহত জঙ্গী সাইফুলের বাড়ি ডুমুরিয়ার উপজেলার সাহস ইউনিয়নের নোয়াকাঠি গ্রামে। সাইফুলের পিতা নোয়াকাঠির মাঠেরহাট মসজিদের ইমাম। তিনি সাহস ইউনিয়নের জামায়াতের কোষাধ্যক্ষ। গত রবিবার সাইফুল তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। সাইফুল বলেছিল, সে সোমবার বাড়ি ফিরতে পারে। সাইফুল ইসলাম ডুমুরিয়া উপজেলার উলা মজিদিয়া আলিয়া মাদ্রাসা থেকে দাখিল এবং খুলনা আলিয়া মাদ্রাসা থেকে আলিম পাস করেছিল। দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে সে সবার বড় ছিল। বড় বোনের নাম সাবিহা খাতুন ইরানী আর ছোট বোন তামান্না খাতুন। তার মা আসমা খাতুন বাক প্রতিবন্ধী। বোন সাবিয়া খাতুন ইরানী জানান, সাইফুল খুলনার সরকারী বিএল কলেজে পড়াকালীন একটি মেসে থাকত এবং মাঝে মধ্যে বাড়ি আসত। তবে সে কারও সঙ্গে মিশত না। তার ভাই সাইফুল গত ৪ আগস্ট শুক্রবার জুমার নামাজ আদায় করে চাকরি খোঁজার কথা বলে বাড়ি থেকে চলে যায়। এলাকায় সাইফুল কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত ছিল না।
×