ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

নন্দিত নায়ক সালমান শাহ মৃত্যুরহস্য মামলায় নতুন মোড়!

প্রকাশিত: ০৫:২৯, ৮ আগস্ট ২০১৭

নন্দিত নায়ক সালমান শাহ মৃত্যুরহস্য মামলায় নতুন মোড়!

আজাদ সুলায়মান ॥ নন্দিত নায়ক সালমান শাহ মৃত্যুরহস্য নিয়ে এবার বোমা ফাটালেন এই মামলার ৭ নম্বর আসামি রাবেয়া সুলতানা রুবি। বর্তমানে আমেরিকাপ্রবাসী এই নারী সোমবার হঠাৎ এক ভিডিও বার্তায় দাবি করেছেন, সালমান শাহ আত্মহত্যা করেননি। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার তিনি ভিডিও বার্তাটি প্রকাশ করার সঙ্গে সঙ্গেই এটি যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। রুবি স্বীকার করেছেন, তার স্বামী চীনা নাগরিক চ্যান লিং চ্যান ওরফে জন চ্যানই সালমানকে খুন করেছেন। পারিবারিক বিরোধের জের ধরেই লিং এ হত্যাকা- ঘটিয়েছে। সালমানের রহস্যজনক মৃত্যুর একুশ বছর পর নিজের স্বামীকে খুনী হিসেবে অভিযুক্ত করে যে বোমা ফাটালেন তা রহস্যজনক, নাকি প্রকৃত সত্য তা নিয়ে এখন নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। তবে এই ভিডিও বার্তার সত্যতা যাচাই করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ ইনভেস্টিগেশন ব্যুরোর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বশীর আহমেদ। তিনি জনকণ্ঠকে বলেছেন, রুবির দাবির সত্যতা পাওয়া গেলে অবশ্যই তা এই মামলার তদন্ত নতুন মোড় নেবে। রাবেয়া সুলতানা রুবি ভিডিও বার্তায় সুস্পষ্টই বলেছেন, তার চৈনিক স্বামী লিং বেশ ঠা-া মাথায় চীনাদের দিয়ে এই খুন করিয়েছে। চাঞ্চল্যকর এই মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত ছিলেন সালমান শাহের স্ত্রী সামিরার পরিবারও। এতে তিনি সালমান শাহের মা নীলা চৌধুরীকে উদ্দেশে বলেন, এই খুনের বিষয়ে তিনি বিস্তারিত জানেন। বিষয়টি যেভাবেই হোক আবার যেন তদন্তের ব্যবস্থা করা হয়। তিনি যেভাবে পারেন আদালতে সাক্ষ্য দেবেন। রাবেয়া সুলতানা রুবি আরও বলেছেন, ‘সালমান শাহ আত্মহত্যা করেনি। সালমান শাহকে খুন করা হইছে, আমার হাজব্যান্ড এটা করাইছে আমার ভাইরে দিয়ে। সামিরার ফ্যামিলি করাইছে আমার হাজব্যান্ডকে দিয়ে। আর সব ছিল চাইনিজ মানুষ। আমার স্বামীর নাম চ্যাংলিং চ্যাং, যিনি বাংলাদেশে জন চ্যাং নামে পরিচিত ছিলেন। ধানম-ি ২৭ নম্বর সড়কে সাংহাই রেস্টুরেন্ট নামে তার একটি চায়নিজ রেস্তরাঁ ছিল।’ রুবি দাবি করেন, হত্যাকা- ঘটানোর পর তার ভাই রুমিকেও খুন করা হয়েছে। ইমনরে (সালমান শাহর প্রকৃত নাম) সামিরা, আমার হাজব্যান্ড ও সামিরার সমস্ত ফ্যামিলি সবাই মিলে খুন করছে। ইমনরে আমার ভাই রুমিরে দিয়ে খুন করানো হইছে। পরে রুমিরেও খুন করানো হইছে। আমি জানি না, আমার ভাইয়ের কবর কোথায় আছে। রুমির লাশ যদি কবর থেকে তুলে পোস্টমর্টেম করে, তাহলে দেখা যাবে রুমিরে গলা টিপে মেরে ফেলা হইছে। এদিকে এমন অবিশ্বাস্য কায়দায় হঠাৎ ঝড় তোলা এই ভিডিওটি নিয়ে মুখ খুলেছেন দীর্ঘদিন ধরে লন্ডনপ্রবাসী সালমানের মা নীলা চৌধুরীও। তিনি নিজের ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন,‘প্রিয় দেশবাসী, আমাকে সাহায্য করুন। দেখুন, রুবি সুলতানার স্বীকারোক্তি। কীভাবে সালমানকে হত্যা করা হয়েছে। যেভাবে পারেন এফবিআইকে জানান, বাংলাদেশের সকল চ্যানেলকে অনুরোধ করছি রুবির স্বীকারোক্তিটা চালিয়ে দেন। প্রিয়জন, খেয়াল রাখবেন এই নিউজের পর অনেকে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করবে। শান্তভাবে কাজ করবে। একই স্ট্যাটাসে তিনি সালমানের স্ত্রী সামিরা ও তার পরিবার যেন দেশ থেকে পালিয়ে যেতে না পারে সে দিকেও নজর দিতে অনুরোধ করেন। বর্তমানে পেনসিলভানিয়ায় বসবাসকারী এই নারী নিজেও সালমান শাহ অপমৃত্যু মামলার সাত নাম্বার আসামি ভিডিও বার্তায় জীবন হারানোর আশঙ্কায় আছেন তিনি। তিনিই নাকি একমাত্র জীবিত মানুষ যার কাছে প্রমাণ আছে সালমানকে খুন করা হয়েছে। তাই তাকেও মেরে ফেলা হতে পারে। কেন খুন করা হতে পারে রুবিকে? তার ভাষ্যে, ‘কারণ আবার (সালমানের মৃত্যুরহস্য) কেস ওপেন হইছে। রুবির ভিডিও বার্তা দেখে তার কাছে ফোন নাম্বার চেয়ে নীলা চৌধুরী ফেসবুকে লেখেন, রুবি তুমি এতো কথা বলতে পারছ-তাহলে এফবিআই বা আমেরিকার পুলিশকে জানাতে পারছ না কেন, তারা যাতে তোমাকে নিরাপদে রাখে। তোমার ফোন নাম্বার দাও। এ বিষয়ে বর্তমান তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ইনভেস্টিগেশন ব্যুরোর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বশির আহমেদ জনকণ্ঠকে বলেন, শুনেছি এবং ওই ভিডিওটি দেখেছি। রুবির দাবি সত্য হলে তো অবশ্যই মামলা তদন্তে নতুন মোড় নিতে পারে। কারণ চাঞ্চল্যকর এই মৃত্যুরহস্য নিয়ে একাধিক সংস্থা তদন্ত করেছে। পুলিশ, ডিবি, সিআইডি, জুডিশিয়াল তদন্তের পর এখন সর্বশেষ পিবিআই কাজ করছে। তবে মাস চারেক আগে তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর তারা যে ‘ডকেট’ পাওয়া গেছে তাতে প্রয়োজনীয় অনেক আলামত মিলেনি। এমনকি সালমান শাহ’র মরদেহের ছবিও মিলেনি। এ সম্পর্কে আবুল কালাম আজাদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সংস্থা তদন্ত করলেও ডাকেটে মাত্র চারজনের সাক্ষীর কাগজপত্র আমরা পেয়েছি। আরও সাক্ষীর সাক্ষ্য থাকার কথা ছিল। একটি অপমৃত্যুর মামলা এতদিন ধরে তদন্ত করার নজির নেই। অনেক আলামত নষ্ট হয়ে গেছে। গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীর অধিকাংশই দেশের বাইরে চলে গেছেন বা তাদের পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।, কয়েকজন সাক্ষীর সঙ্গেও কথা হয়েছে। উল্লেখ্য একুশ বছর আগেকার এই তোলপাড় করা ঘটনার পর থেকেই সালমানের মা নীলা চৌধুরী বেশ জোর দিয়েই বলে আসছেন, সামিরা, আজিজ মোহাম্মদ ভাই ও রুবি ছাড়াও সামিরার মা লতিফা হক লুসি, রিজভী আহমেদ ওরফে ফরহাদ, সহকারী নৃত্যপরিচালক নজরুল শেখ, ডেভিড, আশরাফুল হক ডন, মোস্তাক ওয়াইদ, আবুল হোসেন খান ও গৃহকর্মী মনোয়ারা বেগম জড়িত। নীলার মতোই সালমান শাহর অগুনতি ভক্তেরও দাবি, তাদের নায়ক হত্যাকা-ের শিকার হয়েছিলেন। বিচার দাবিতে বিভিন্ন সময় আদালতেও বিক্ষোভ করেন তারা। এই নায়কের মৃত্যু শোক সইতে না পেরে দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মহত্যা করেছেন বেশ ক’জন ভক্ত তরুণ তরুণী। একুশ বছর আগে দেশে তোলপাড় করা এই রহস্যজনক মৃত্যুর পর সালমানেরই বিউটিশিয়ান’ রুবির এই দাবিকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছে পিবিআই। ওই দিন লাশ উদ্ধারের সময় ঘটনাস্থলে থাকা বিরুদ্বে হত্যাকা-ে জড়িত থাকার অভিযোগ করে আসছিলেন সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরী। অন্যদিকে হত্যাকা-ের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসা সামিরার বাবা শফিকুল হক হীরা এতদিন পর রুবির এই ধরনের বক্তব্য দেয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। নীলা চৌধুরীর অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে আলোচিত শিল্পপতি আজিজ মোহাম্মদ ভাই গতরাতে জনকণ্ঠকে বলেন, আমার কিছু বলার নেই। তদন্ত তো হচ্ছেই। দেখ কি হয়। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে রহস্যাবৃত এই মৃত্যুর ঘটনায় মিডিয়ায় ব্যাপক লেখালেখির দরুণ তদন্ত ঘুরপাক খেয়েছে। সরকারের একাধিক তদন্ত সংস্থা বার বার তদন্ত করলেও তেমন নতুন কোন তথ্যই মিলেনি। সর্বশেষ তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই কর্মকর্তা বশির আহমেদ বলেছেন, তদন্ত শেষ না করেই কিছু বলা যাচ্ছে না। রুবির বক্তব্যের ফুটেজ সরাসরি সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। নব্বই দশকের শুরুতে ঢালিউডে হঠাৎ ধূমকেতুর আবির্ভাব ঘটে এই জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহর। তার স্বল্প সময়ের ক্যারিয়ারে অভাবনীয় সাফল্য যেমন গল্প হয়ে আছে ইন্ডাস্ট্রিতে, তেমনি তার অকাল মৃত্যুও রহস্যের মিথ হয়ে আছে। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর নিজ বাসভবনের শোয়ার ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় সালমানের মরদেহ। ঘটনাটি আত্মহত্যা হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে পুলিশ অপমৃত্যুর মামলা করলে তাতে আপত্তি জানায় পরিবার। এরপর সালমানের স্ত্রী সামিরা হক, চলচিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মাদ ভাইসহ ১১ জনকে সালমান শাহের মৃত্যুর জন্য দায়ী করে হত্যা মামলা দায়ের করে সালমানের পরিবার। এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সামিরার মা লতিফা হক লুসি, রিজভী আহমেদ ওরফে ফরহাদ, সহকারী নৃত্যপরিচালক নজরুল শেখ, ডেভিড, আশরাফুল হক ডন, রাবেয়া সুলতানা রুবি, মোস্তাক ওয়াইদ, আবুল হোসেন খান ও গৃহকর্মী মনোয়ারা বেগম। এ মামলার নিয়ে বার বার তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেন নীলা চৌধুরী। গত একুশ বছরে মামলার তদন্তে উল্লেখযোগ্য তেমন কিছু না পেলেও তিনি কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না তার ছেলে সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছেন। আজ অবধি তদন্তকারীরা হত্যার পক্ষে তেমন তথ্য জোরালোভাবে সংগ্রহ করতে পারেনি। এমন অবস্থায় সোমবার হঠাৎ বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতোই বোমা ফাটালেন রাবেয়া সুলতানা রুবি। আমেরিকার একটি অনলাইনে তিনি সালমানকে পরিকল্পিত হত্যা করার বিষয়ে মুখ খোলার পরই ঢাকাতেও ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে গেছে। ফেসবুকে অধিকাংশেরই প্রশ্ন কে এই রুবি? কেনই বা তিনি এতদিন পর মুখ খুললেন তাও আবার নিজের স্বামীকে খুনী হিসেবে দাবি করছেন। তবে কি এটা তার দাম্পত্য দ্বন্দ্ব সংঘাতেরই প্রকাশ- এ ধরনের অনেক প্রশ্ন ওঠেছে বিভিন্ন স্ট্যাটাসে। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রুবি এখন এক পড়ন্ত যৌবনের নারী। সালমান শাহ স্ত্রী সামিরাকে নিয়ে যে এ্যাপার্টমেন্টে থাকতেন, সেখানেই একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন। লাশ উদ্ধারের সময় তার উপস্থিত থাকার তথ্যও রয়েছে। এই রুবি তখনও ছিলেন বেশ আলোচিত সমালোচিত। নিজে একটি বিউটি পার্লারের মালিক হওয়ার সুবাদে সালমানের ব্যক্তিগত বিউটিশিয়ান হিসেবে কাজ করার সুযোগ পান। কিন্তু এই মামলায় তাকেও আসামি করার পর থেকেই তিনি দেশান্তরী হন। এখন আমেরিকার পেনসিলভিয়ায় বসবাস করছেন। তিনি ছিলেন- এই মামলার ৭ নম্বর আসামি। তিনি রাজনীতিবিদ, সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রশিদের মেয়ে। প্রয়াত ক্যাপ্টেন জামিল ছিলেন তার স্বামী। জিয়াউর রহমান মারা যাওয়ার পর যে ১৩ জন সেনা কর্মকর্তাকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝোলানো হয়- তার স্বামী ছিলেন তাদের একজন। বর্তমানে এক চাইনিজের সঙ্গে সংসার করছেন। ক্যাপ্টেন জামিলের সংসারে জন্ম নেয়া পুত্র ভিকিকে নিয়ে ৩১ বছর আগে তিনি এই চাইনিজকে বিয়ে করেন। সালমানের মৃত্যুর পর বেশ কয়েক বছর পর তিনি আমেরিকায় পাড়ি দেন। সেখানেই স্বামী-সন্তান নিয়ে বাস করছেন তিনি। তবে এখন তার চৈনিক স্বামীর সঙ্গে ঘর সংসার করছেন নাকি ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সালমানের ঘটনার সময় রাজধানীতে মে-ফেরার নামে তার একটি বিউটি পার্লার ছিল। তার স্বামী একটি চায়নিজ রেস্টুরেন্ট চালাতেন যার নাম- ছিল সাংহাই রেস্টুরেন্ট। রুবির দাবি তার ভাই রুমিকে দিয়েই সালমানকে খুন করিয়েছে এই স্বামী। পরে আবার সেই রুমিকেও খুন করা হয়েছে। আর এখন সালমান হত্যা মামলার সর্বশেষ প্রত্যক্ষদর্শী রুবিকেও খুন করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে স্বামী জন চেন লিং। এজন্যই তিনি ভিডিও এর মাধ্যমে সব ফাঁস করে দিতে বাধ্য হয়েছেন। এমনকি সালমানের মা নীলা চৌধুরীর কাছেও সাহায্য চেয়েছেন তিনি এই ভিডিও দিয়ে। যদিও রুবি এখনও স্বামীর বর্তমান অবস্থান ও পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি কিছুই বলেননি। এদিকে ঘটনার পর রুবির বিরুদ্ধে সালমানের স্বজনদের অভিযোগের অন্ত ছিল না। সালমানের মায়ের সঙ্গে তার বেশ ঘনিষ্ঠতা ছিল। যে কারণে তিনি সবকিছুতেই নাক গলাতেন বলে তাকে পছন্দ করতেন না সালমান। একবার স্ত্রী সামিরার সঙ্গে ঝগড়ার সময় সেখানে গিয়েও নাক গলান রুবি। পরে ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে আর কখনও বাসায় না আসতে নির্দেশ দেন সালমান শাহ। এই অপমান তিনি হজম করতে পারেননি। এই সূত্র ধরে সালমানের মা নীলা চৌধুরীর সঙ্গেও দূরত্ব বাড়ে রুবির। চলতে থাকে মন কষাকষি। সালমানের মায়ের অভিযোগ, এর কথা ওর কানে, ওর কথা এর কানে লাগাত রুবি। উল্টাপাল্টা বুঝিয়ে মানুষজনকে বিভ্রান্ত করাতে তার খ্যাতি আছে। এ কাজে তিনি বরাবরই সিদ্ধহস্ত। তার ইচ্ছা ছিল আমেরিকা পড়ুয়া ছোট ভাইর জন্য সামিরাকে স্ত্রী করে ঘরে তুলবেন। কিন্তু তার আগেই বিয়ে হয়ে যায় সালমান-সামিরার। তারপর থেকেই সালমান-সামিরার দাম্পত্য কলহের পশ্চাতে রাবেয়া সুলতানা রুবি ছিল সক্রিয়। এমনকি সালমানের মরদেহ একপাশে রেখে রুবি-সামিরা বসে গল্প করার অভিযোগ করেছিলেন নীলা চৌধুরী। তখন সালমানের মা নীলা চৌধুরীকে কটাক্ষ করে অনেক কথা বলেছেন। সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছেন এমন কথা খুব জোর দিয়েই তিনি বলেছেন। অথচ সালমান শাহ হত্যা মামলা এখনও পিবিআই পুনর্তদন্ত করছেন! সালমানের স্ত্রী সামিরার সঙ্গেও রুবির আজও নিয়মিত যোগাযোগ আছে বলে দাবি সালমানের মা নীলা চৌধুরীর। এ অবস্থায় নতুন ভিডিও বার্তা প্রকাশ করে হৈচৈ ফেলে দিয়েছেন রাবেয়া সুলতানা রুবি। প্রশ্ন হচ্ছে- সবসময় সালমানের মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে দাবি করা এই নারী কেন হঠাৎ করেই এটিকে খুন বলে দাবি করেছেন?
×