ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

জলবায়ু চুক্তি থেকে প্রত্যাহার, জাতিসংঘকে যুক্তরাষ্ট্রের চিঠি

প্রকাশিত: ০৫:১০, ৬ আগস্ট ২০১৭

জলবায়ু চুক্তি থেকে প্রত্যাহার, জাতিসংঘকে  যুক্তরাষ্ট্রের চিঠি

যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন অবশেষে শুক্রবার ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য প্রথম লিখিত নোটিস জারি করেছে। এ জন্য তারা জাতিসংঘকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জাতিসংঘের কাছে লেখা চিঠিতে জানিয়েছে, ওয়াশিংটন এ জন্য আলোচনা প্রক্রিয়া শুরু করতে চায়। এর আগে গত জুন মাসে হোয়াইট হাউসে দেয়া এক ঘোষণায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছিলেন যে, তিনি প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নাম প্রত্যাহার করবেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেয়া এ সিদ্ধান্তের কথাও জাতিসংঘকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। সে সময় তিনি অভিযোগ করেন যে, চুক্তিটি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য শাস্তির সমতুল্য এবং এর ফলে লাখ লাখ মার্কিনী চাকরিচ্যুত হবে। অবশেষে শুক্রবার এক ঘোষণায় জানান হলো, প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘকে জানিয়ে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। খবর বিবিসি অনলাইনের। শুক্রবারের ঘোষণাটিকে অবশ্য প্রতীকী হিসেবে দেখা হচ্ছে, কেননা কোন সদস্য দেশই ২০১৯ সালের ৪ নবেম্বরের আগে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাবার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে পারবে না। আর বেরিয়ে যাবার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে আরও এক বছর সময় লেগে যাবে। অর্থাৎ ২০২০ সালের শেষভাগে যুক্তরাষ্ট্র যখন পুরোপুরি প্যারিস চুক্তি থেকে বেরিয়ে যেতে সক্ষম হবে ততদিনে দেশটিতে আরেকটি প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার পর কয়েক সপ্তাহ পেরিয়ে যাবে। তখন যদি নতুন কোন ব্যক্তি দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তিনি আবার এই চুক্তিতে পুনরায় যুক্ত হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েও নিতে পারেন। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র প্যারিস চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য জাতিসংঘের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে। আমরা সবনিয়ম মেনেই চুক্তিটি থেকে বের হতে পারব। আগামী দিনগুলোতে জলবায়ু সংক্রান্ত যেসব বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে সেগুলোতে আমরা নিয়ম মেনেই যোগ দেব, যাতে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থ রক্ষা হয় এবং ভবিষ্যতের নীতি নির্ধারণের জন্য বিকল্প পথগুলো খোলা রাখা যায়। গত জুনে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের জন্য প্রযোজ্য অরেকটি জলবায়ু চুক্তি করার কথা বলেন। নির্বাচনের আগে থেকেই জলবায়ু পরিবর্তনের ইস্যু নিয়ে সর্বজনগ্রাহ্য তত্ত্বটি নিয়ে সন্দেহের কথাটি নানাভাবে বলে আসছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। আর গত জুনে তিনি যখন প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার ঘোষণা দেন তখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তিনি অনেক সমালোচিত হন। জলবায়ু চুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের জন্য গতমাসে জার্মানিতে অনুষ্ঠিত জি২০ সম্মেলনে বিভক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সম্মেলনের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয় সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্যারিস চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত নয়। তারা চুক্তিতে থাকবে।
×