ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বেজিংয়ে ইয়াং-অজিত দোভাল বৈঠকে সিদ্ধান্ত

সৈন্য সরিয়ে নেবে চীন-ভারত

প্রকাশিত: ০৩:৫০, ৩০ জুলাই ২০১৭

সৈন্য সরিয়ে নেবে চীন-ভারত

ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল বলেছেন, চীনের সঙ্গে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ ইস্যুগুলোতে আলোচনা হয়েছে। ব্রিকস দেশসমূহের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের বৈঠক উপলক্ষে দোভাল চীন সফরে যান। পারস্পরিক আস্থা ও সহযোগিতা বাড়াতে এই সম্মেলন ভূমিকা রাখবে বলে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং আশা প্রকাশ করেন। ভুটানের সঙ্গে ত্রিমুখী জংশনস্থলে অবস্থিত দোকলামে সৈন্য সমাবেশ নিয়ে সীমান্তে মাসব্যাপী অচলাবস্থা চলা অবস্থায় তিনি একথা বলেন। টাইমস অব ইন্ডিয়া ও এনডিটিভি। ভারত ও চীনের মধ্যে দীর্ঘ টানাপোড়েনের মধ্যে বোঝাপড়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার অজিত দোভাল ও চীনের স্টেট কাউন্সিলর ইয়াং জিয়েচির মধ্যে আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয়েছে অক্টোবরে শীত পড়ার আগেই দুদেশ দোকলাম থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেবে। বেজিংয়ে ব্রিকসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের বৈঠকে দু’দিন ধরে জিয়েচির সঙ্গে সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। শুক্রবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে আলোচনা করেন দোভাল। এতে সীমান্তে অচলাবস্থা নিরসন নিয়ে দুই দেশ কোন সমঝোতায় পৌঁছতে পারেনি। কেবল ‘সৈন্য প্রত্যাহার ছাড়া ভারতের সঙ্গে কোন আলোচনা নয়, এই অবস্থান থেকে সরে এসেছে বেজিং’। এ ছাড়া দোভালের সফর থেকে ভারত উল্লেখযোগ্য কিছু অর্জন করতে পারেনি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে চীনের একজন বিশ্লেষক বলেছেন বেজিং যেখানে জাপানের সঙ্গে বিতর্কিত সমুদ্রসীমায় একতরফাভাবে বিমান প্রতিরক্ষা এলাকা প্রতিষ্ঠা করেছে। দক্ষিণ চীন সাগরেও যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি উপেক্ষা করে কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করে তাতে সামরিক স্থাপনা বসিয়েছে, তাই দেশটি ভারতের আপত্তি কানে নেবে বলে মনে হয় না। সেপ্টেম্বরে ব্রিকস দেশগুলোর শীর্ষ বৈঠকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এর আগ পর্যন্ত দোকলামে স্থিতাবস্থা বজায় থাকবে। ভুটানের ভূখ-ে চীন ও ভারতের সেনা মুখোমুখি অবস্থানেই থাকবে। দোভাল ও জিয়েচির আলোচনার পর দুদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে কোন বক্তব্য দেয়নি। দিল্লীতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, চীনের পক্ষ থেকে দোভালকে বলা হয়েছে, ১ আগস্ট চীনের গণমুক্তি ফৌজ দিবস। তার আগে সেনা প্রত্যাহার করলে সেনাদের জাতীয়তাবাদে আঘাত লাগবে। আবার অক্টোবর থেকে সেখানে শীত পড়বে। তাই সেসময় সেনা মোতায়েন রাখা চীনের জন্য কঠিন হবে। কারণ এলাকাটি চীনে সামরিক সাপ্লাই লাইন থেকে কিছুটা দূরে। দুপক্ষই ঠিক করেছে এখনই সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা না দিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বেজিং সফরের ঠিক আগে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হবে। বিষয়টি উভয় দেশ কূটনৈতিকভাবে সুবিধাজনক বিবেচনা করছে। চলতি বছর শেষে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির কংগ্রেস। তার আগেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক, এটি স্বাভাবিকভাবে বেজিং প্রত্যাশা করবে।
×