ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

খেলাই ছেড়ে দেবেন সীমান্তরা!

প্রকাশিত: ০৬:৪৮, ১৫ জুলাই ২০১৭

খেলাই ছেড়ে দেবেন সীমান্তরা!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ বিভিন্ন ইস্যুতে এবার কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে দেশের ভারোত্তোলকরা। চলতি মাসের মধ্যে তাদের দাবি পূরণ না হলে খেলাই ছেড়ে দেবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বেশ ক’জন ভারোত্তোলক। সেই সঙ্গে অশোভন আচরণের জন্য ফেডারেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহজালাল মুকুলের বিচার দাবি করেছেন তারা। তবে খেলোয়াড়দের আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মুকুল। তারকা ভারোত্তোলক মাবিয়া আক্তার সীমান্ত বলেন, ‘আমি মাবিয়া। আমাকে আর কয়েকদিন পর কে চিনবে, যদি আমি ভাল পারফর্মেন্স না দেখাতে পারি। আমার বর্তমানে যে সুনামের বিষয় আছে তা তো নষ্ট করব না। আমি বলব যে, আমি আর ওয়েট লিফটিং করব না। খেলোয়াড়দের মধ্যে এই সিদ্ধান্তটাই চলছে যে আমাদের কথা যদি না মানে তাহলে আমরা খেলা ছেড়ে দেব।’ প্রতি বছর বাজেটে ক্রীড়ার ক্ষেত্রে বরাদ্দ করা হয় প্রায় শত কোটি টাকা। অথচ একটু ভাল সুযোগ না পাওয়ার আক্ষেপে খেলাই ছেড়ে দিতে যাচ্ছেন দেশসেরা ভারোত্তোলক মাবিয়া আক্তার সীমান্ত। শুধু মাবিয়াই নয়, এই তালিকায় আছেন আরও ১০ থেকে ১৫ ভারোত্তোলোক। ভারোত্তোলনে খেলোয়াড়দের আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও খেলোয়াড়দের সঙ্গে ফেডারেশন কর্তাদের অখেলোয়াড়সুলভ আচরণসহ ৬টি কারণ দেখিয়ে গত ৯ জুলাই ফেডারেশন ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বরাবর চিঠি দেয় বেশ ক’জন ভারোত্তোলক। সীমান্ত আরও বলেন, আমাদের জিমনেশিয়ামে কোন যন্ত্রপাতি নাই যেগুলো দিয়ে আমরা ট্রেনিং করব। আমরা একজন বিদেশী কোচ চেয়েছিলাম, আমাদের একজন ভাল কোচ দেয়া হোক যাতে আমরা তার অধীনে ভাল ট্রেনিং করতে পারি। তারা সেটারও কোন কিছু করছে না। আমরা এনএসসি বরাবর চিঠি দিয়েছি। ফেডারেশনেও ওটার কপি গেছে।’ এদিকে যার বিরুদ্ধে এত অভিযোগ, সেই ফেডারেশনের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক শাহজালাল মুকুলের দাবি, চিঠির বিষয়ে কিছুই জানেন না তিনি, ‘এখন পর্যন্ত এ রকম কোন স্মারকলিপি আমরা পাইনি বা কেউ আমাকে এ ব্যাপারে অবগত করেনি। বয়স কম, তারা বিভিন্ন রকমের চিন্তা করে, মন্তব্য করে। তাদের এই মন্তব্যের সঙ্গে অভিভাবক হিসেবে আমাদের মেলানোর সুযোগ নাই। আমাদের শুধু চিন্তা করতে হবে আমরা যে কাজগুলো করছি সেগুলো সঠিক করছি কি না।’ এই ভারোত্তোলকের হাত ধরেই সর্বশেষ এসএ গেমসে উড়েছিল লাল-সবুজের পতাকা। সেদিন মাবিয়ার কান্নায় কেঁদেছিল পুরো বাংলাদেশ। তাইতো দেশের স্বার্থেই এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরও সচেতন হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন খেলোয়াড়রা।
×