ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

মোজাফ্ফর হোসেন

বিশ্বসাহিত্যের ক্ষুদে জায়ান্ট

প্রকাশিত: ০৬:৫০, ১৪ জুলাই ২০১৭

বিশ্বসাহিত্যের ক্ষুদে জায়ান্ট

Si“e donÕt matter, chopping wood,’-কথাটি মার্কিন কথাসাহিত্যিক মারজরি কিনান রলিংসের ছোটগল্প ‘মাদার ইন ম্যানভিল’র কিশোর চরিত্র জেরি গল্পকথককে বলে। ‘আকার বা আকৃতি বিষয় না’-কথাটি ভীষণভাবে খাটে কিছু কিছু বইয়ের ক্ষেত্রেও। পৃথিবীতে অনেকগুলো ক্ষুদে-বই আছে যা আজ হোমারের ‘ইলিয়াড’, সার্ভেন্তেসের ‘দন কিহোতে’, দস্তয়েভস্কির ‘ব্রাদার কারমাজভ’, তলস্তয়ের ‘ওয়ার এ্যান্ড পিস’, টমাস মানের ‘ম্যাজিক মাউন্টেইন’, জেমস জয়েসের ‘ইউলিসিস’র মতো মহান গ্রন্থের পাশে বিশ্ব-ক্লাসিকের তকমা নিয়ে গৌরবের সঙ্গে মহাকালের-তরীতে স্থান করে নিয়েছে। সফোক্লিসের অতি ক্ষীণকায় নাটক ‘ইদিপাস’ পুরো বিশ্বে ঝড়তোলা সাহিত্য সৃষ্টির ভেতর একটি। এই নাটক থেকে তত্ত্ব হিসেবে পরবর্তীকালে মনোবিজ্ঞানী ফ্রয়েড ‘ইদিপাস কমপ্লেক্স’কে দাঁড় করান। সমগ্র শিল্প-সাহিত্যে এর প্রভাব বিশেষভাবে লক্ষণীয়। নাটকটি বিশ্বের প্রায় সকল ভাষায় অনূদিত ও মঞ্চস্ত হয়েছে। নানাভাবে এর বিষয়বস্তু উপন্যাস-কবিতায় চর্চিত হয়েছে। ইবসেনের ‘ডলস হাউস’ নাটকটি বিশ্বে নারীবাদী চেতনাকে মূল থেকে নাড়িয়ে দিয়েছে। স্বাধীনতার খোঁজে ঘর ছেড়ে যাওয়া নোরার বাইরে থেকে দরজা ভেড়ানোর শব্দ সম্পর্কে আরেক প্রখ্যাত নাট্যকার বার্নাড শ’ বলেছেন, ওই ধ্বনি ওয়াটারলুর কামানের আওয়াজের চেয়ে অনেক বেশি তাৎপর্যপূর্ণ। নোরা কেবল নারীমুক্তির প্রশ্নকেই উর্ধে তোলেনি, সে সমাজের অর্থব্যবস্থাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। নারীবাদের সামাজিক বা রাজনৈতিব আন্দোলনের অন্যতম প্রধান টেক্সট হিসেবে এই নাটকটি আজ বিশ্বে পঠিত। এটিও বিশ্বের প্রায় সকল গুরুত্বপূর্ণ ভাষায় অনূদিত ও মঞ্চস্থ হয়েছে। সামুয়েল বেকেটের ক্ষুদে নাটক ‘ওয়েটিং ফর গোডুট’ এ্যাবসার্ডিজম ধারণার প্রতিনিধিত্বশীল কাজ হিসেবে গণ্য। ফরাসী কথাসাহিত্যিক আলবেয়ার কামুর দার্শনিক রচনা ‘মিথ অব সিসিফাস’রই যেন নাট্যরূপ এটি। মানবজীবনের এই অর্থহীনতা বা নির্থকতার কথা কামু আরও সহজ করে বলেছেন তার অমর সৃষ্টি ‘দ্য আউটসাইডার’-এ। মানুষের জীবনের অর্থহীনতার কথা এর চেয়ে ভাল করে আর কোন উপন্যাসে উঠে আসেনি। বিশ্বসাহিত্য ও চিন্তার জগতে ঝড় তোলা সাহিত্যসৃষ্টি হলো কামুর এই ক্ষুদে আকৃতির উপন্যাসটি। আরেক ফরাসী কথাসাহিত্যিক ফ্রানৎস কাফকার বড়গল্প বা উপন্যাসিকা ‘মেটামরফোসিস’ মানুষকে ভোগবাদী সমাজে অস্তিত্বের প্রশ্নে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। আকারে সামান্যই, প্রভাব পাহাড়সমান। রাশিয়ার মহান কথাসাহিত্যিক তলস্তয়ের অনুরূপ উপন্যাসিকা ‘দ্য ডেথ অব ইভান ইলিচ’ সমানভাবে পঠিত ও আলোচিত। এ দুটি উপন্যাসিকা ভীষণভাবে পরস্পর সম্পর্কযুক্ত। বলা যায়, চেতনাগত দিক থেকে ‘মেটামরফোসিস’ যেখানে শেষ ‘ডেথ অব ইভান ইলিচ’ সেখান থেকে শুরু। দুটিরই গল্প শুরু হয় এক ধরনের বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে। ‘ডেথ অব ইভান ইলিচ’ শুরু হয় ইভান ইলিচের মৃত্যু আর ‘মেটামরফোসিস’ শুরু হয় গ্রেগর সামসার দৈহিক পরিবর্তন অর্থাৎ মানুষ থেকে পোকায় রূপান্তর ঘটার মধ্য দিয়ে। সাহিত্যপ-িতরা বলেন, আধুনিক সাহিত্যের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বাক্য হলো মেটামরফোসিসের সূচনা বাক্যটি : অং এৎবমড়ৎ ঝধসংধ ধড়িশব ড়হব সড়ৎহরহম ভৎড়স ঁহবধংু ফৎবধসং যব ভড়ঁহফ যরসংবষভ ঃৎধহংভড়ৎসবফ রহ যরং নবফ রহঃড় ধ মরমধহঃরপ রহংবপঃ। দুটি গল্পেই একটি সরল আখ্যানের মধ্য দিয়ে আমরা ঢুকে পড়ি মানব জীবনের গাড় ও গূঢ় রহস্যের মধ্যে। ব্রিটিশ কথাসাহিত্যিক জর্জ অরওয়েলের ক্ষুদে উপন্যাস ‘দ্য এনিম্যাল ফার্ম’ বিংশ শতকের প্রধানতম উপন্যাস হিসেবে বিবেচিত হয়। উপন্যাসটি প্রতিনিধিত্বশীল আধুনিক ফেবল। ব্যর্থ সমাজতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার দুর্দান্ত এক এলিগরি। পশুজগতে পরম সাম্যবাদী সমাজব্যবস্থার স্বপ্ন এঁটে পরিচালিত হলো আন্দোলন। আন্দোলনের মোটো হলো, ‘অষষ সবহ ধৎব বহবসরবং. অষষ ধহরসধষং ধৎব পড়সৎধফবং।’ এরপর সমবেত প্রচেষ্টায় আন্দোলন সফল হওয়ার কিছুদিন পর সেøাগান গিয়ে দাঁড়াল : ‘অষষ ধহরসধষং ধৎব বয়ঁধষ, নঁঃ ংড়সব ধহরসধষং ধৎব সড়ৎব বয়ঁধষ ঃযধহ ড়ঃযবৎং.’ এরপর আদর্শিক আন্দোলনটি সুবিধাভোগী শ্রেণীর কারণে ব্যর্থ আন্দোলনে রূপ নেয়। যেখান থেকে শুরু হয়েছিল পরিণতিটা সেখানে গিয়ে ঠেকে। এভাবেই আমরা ইতিহাসে রাশিয়ার সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের ব্যর্থরূপ মঞ্চস্থ হতে দেখেছি। ইংল্যান্ডের শুধু ভিক্টোরিয়ান সমাজবাস্তবতা নয়, মানুষের সামগ্রিক মননজগতের নগ্নরূপ উঠে এসেছে রবার্ট লুই স্টিফেনসন-রচিত ‘ড. জেকিল এ্যান্ড মিস্টার হাইড’ শীর্ষক ৬৪ পৃষ্ঠার ক্ষুদে উপন্যাসে। উপন্যাসটি একইসঙ্গে সায়েন্স ফিকশন, কিশোর থ্রিলার ও মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাস হিসেবে বিশ্বে বহুল পঠিত। এর চেয়ে শক্তিশালী স্যোসাল এলিগরি তো বিশ্বসাহিত্যেই দুর্লব। স্টিফেনসন লিখে প্রথমে তার স্ত্রীকে পড়তে দেন। স্ত্রী আঁতকে ওঠেন। বলেন, লেখাটি নষ্ট করে ফেলতে, কারণ এটি তৎকালীন ভিক্টোরিয়ান সমাজ সহ্য করতে পারবে না। স্টিফেনসন বউয়ের কথা শুনে ছিঁড়ে ফেলেন পা-ুলিপিটি। কয়েক বছর পর দ্বিতীয়বার লিখে প্রকাশ করেন। উপন্যাসটির প্রধানতম বিষয় হলো মানুষের দ্বৈতস্বভাব বা ‘ংঢ়ষরঃ ঢ়বৎংড়হধষরঃু’। ভিক্টোরিয়ান যুগে মানুষ সামাজিক বা বাহ্যিকভাবে ভাল বা সৎ মানুষ হিসেবে নিজেকে তুলে ধরলেও, ভেতরে ভেতরে ছিল পশুর মতো নোংরা আর কুৎসিত স্বভাবের। সমাজের চোখে ভাল থাকার জন্যেই উপন্যাসের কেন্দ্র্রীয় চরিত্র ড. জেকিল নিজের পশুসত্তাকে অন্যরূপে হাইড নামে রাতের অন্ধকারে ছেড়ে দেন। দিনের আলোয় যিনি ভদ্রজন প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ড. জেকিল, রাতের অন্ধকারে তিনিই নোংরা চরিত্রের হাইড। উপন্যাসের অন্য চরিত্রগুলোও আমরা দেখি নানাভাবে অন্ধকার জগতের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। লাতিন আমেরিকার শক্তিশালী কথাশিল্পী হুয়ান রুলফোর এক বসাতেই পড়ে ফেলার মতো উপন্যাস ‘পেদ্রো পারামো’; তবে সমগ্র বিশ্বসাহিত্যে এর প্রভাব কয়েক হাজার পৃষ্ঠার উপন্যাসের সমান। ম্যাজিক রিয়েলিজম দীক্ষার জন্য এর চেয়ে উপযুক্ত কাজ আর হয় না। যে কারণে মার্কেস বলেছেন, ‘পেদ্রো পারামো’ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি ‘ওয়ান হানড্রেড ইয়ার্স অব সলিটিউড’ লিখতে পেরেছেন। এই শতকের শুরুর দিকে উরুগুয়ের নামকরা দৈনিক ঊষচধল্পং ভোটিং পল খুলে দেশটির লেখক ও সমালোচকদের কাছে জানতে চায়, লাতিন আমেরিকার সবচেয়ে বিখ্যাত উপন্যাস কোনটি। দৃশ্যত ব্যবধানে প্রধান উপন্যাস হিসেবে উঠে আসে মেহিকোর হুয়ান রুলফোর ‘পেদ্রো পারামো’র নাম। এই ক্ষিণকায় উপন্যাসটিকে হোর্হে লুই বোর্হেস বলেছিলেন লাতিন আমেরিকা তো বটেই গোটা বিশ্বেরই উল্লেখযোগ্য গুটিকতক ভাল কাজের একটি। উপন্যাসে অলীক এবং বাস্তবতা এমনভাবে মিশে গেল যে তা আর আলাদা করে চিহ্নিত করার অবস্থায় রইল না। রুলফো কমলা নামের যে গ্রামের কথা বললেন সেটি মৃতদের গ্রাম। মৃত মানুষের কণ্ঠস্বর বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে। হুয়ান প্রিসিয়াদো মা মারা যাওয়ার পর মায়ের কথাগুলো বাবার সন্ধানে কমলা গ্রামে এসেছে। লোকজন সেখানে আছে বটে কিন্তু তারা কেউ স্বাভাবিক মানুষ না। সবকিছু এমনভাবে বলা হচ্ছে যেন সেটা ভিন্ন একটা জগতÑস্মৃতির অন্য একটা স্তর। গ্রামটি সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘ংরঃং ড়হ ঃযব পড়ধষং ড়ভ ঃযব বধৎঃয, ধঃ ঃযব াবৎু সড়ঁঃয ড়ভ যবষষ।’ হুয়ান গ্রামে এসে জানতে পারে তার বাবা পেদ্রো পারামো অনেক আগেই মারা গেছে। হুয়ান মানুষের কণ্ঠস্বর ও বাতাসে শব্দ শুনতে পেয়ে গ্রামটি এখনও জীবিত আছে বলে মনে করে। সে মনে করে তার মা তাকে কথা দিয়েছিল, এই গ্রামে আসলে সে তার মায়ের কণ্ঠস্বর শুনতে পাবে। রুলফো এক বৃদ্ধার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। বৃদ্ধা দেখা মাত্রই হুয়ানকে চিনতে পারে। তার ভ্রমণের উপলক্ষ সম্পর্কেও সে পূর্বাগত। বৃদ্ধা জানায় মারা যাওয়ায় সময় হুয়ানের মা সব বলে গেছে। অথচ তার মা মারা গেছে দূরবর্তী কোন স্থানে। এভাবে উপন্যাসের গল্প যতই এগোই তত রহস্য তৈরি হয়। উপন্যাসটি ১৯৫৫ সালে লেখা হলেও উত্তরাধুনিক উপন্যাসের নানা উপকরণ বা রচনাকৌশল বিদ্যমান। উপন্যাসের প্রথম দিকে ন্যারেটর থাকে হুয়ান প্রিসিয়াদো নিজেই। দ্রুতই গল্পকথকের ভূমিকায় অন্য একজন চলে আসে। মাঝে মাঝেই হুয়ানের মৃত-মা বর্ণনাকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। আখ্যানে এই গ-গল থাকার কারণে উপন্যাসের সময়টা ঠিকমতো ধরা যায় না। এটি অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যতের নানা মুহূর্ত চষে বেড়ায়। কোন কোন সমালোচক কমলা গ্রামকে নরকের সঙ্গে তুলনা করে বলেছেন, ক্লাসিক মহাকাব্যে যেমন একজন গাইড এসে মূলচরিত্রকে নরকের পথ চিনিয়ে দেয়, এখানেও তেমন আবানদিও চরিত্রটি হুয়ানকে কমলা গ্রামে পৌঁছে দেয়। আরও অনেক ইন্টারপ্রিটেশন এই উপন্যাসের আছে। প্রভাবশালী বই হিসেবে এইচ জি ওয়েলস-এর সায়েন্স ফিকশন ‘দ্য টাইম মেশিন’ এই তালিকায় আসবে। ১৮৯৫ সালে বইটি প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে টাইম ট্রাভেলের কনসেপ্টে আরও অনেক বই লেখা হয়েছে, চলচ্চিত্রও নির্মিত হয়েছে প্রচুর। বলা হয় জোনাথন সুইফট এই উপন্যাসিকা দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েই তাঁর মাস্টারপিস ‘গ্যালিভার ট্রাভেলস’ রচনা করেন। প্রখ্যাত মার্কিন কথাসাহিত্যিক আর্নেস্ট হেমিংওয়ের নোবেল জয়ের পেছনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে তাঁর সবচেয়ে ক্ষুদে উপন্যাসটিÑ‘ওল্ড ম্যান এ্যান্ড দ্য সি’। এর আগেই হেমিংওয়ে অপেক্ষাকৃত বড় পরিসরের উপন্যাস ‘দ্য সান অলসো রাইজেস’, ‘ফর হুম দ্য বেল টলস’ ও ‘ফেয়ারওয়েল টু আর্মস’ লিখে ফেলেন। তবে সবচেয়ে বেশি বিক্রিত ও পঠিত হয় তাঁর এই ১২৮ পৃষ্ঠার ক্ষুদে মাস্টারপিসটি। ১৯৫২ সালে প্রকাশিত হয়, এর দুই বছর পর ১৯৫৪ সালে নোবেল পান হেমিংওয়ে। ‘ইডিয়টস’, ‘ব্রাদার কারমাজব’, ‘ক্রাইম এ্যান্ড পানিশমেন্ট’-এর মতো ঢাউস সাইজের উপন্যাস লিখে পৃথিবীসেরা কথাসাহিত্যিকদের একজন হয়ে ওঠা ফিওদর দস্তইয়েভস্কি লেখেন ক্ষুদে উপন্যাস ‘নোটস ফ্রম আন্ডারগ্রাউন্ড’। তখন তিনি নির্বাসনে। এই সামান্য উপন্যাসে আধুনিক হয়ে ওঠা রাশিয়াকে যেভাবে দেখানো হয়েছে, তা সত্যিই বিস্ময়কর। ‘মাদাম বোভারি’র মতো ঢাউস উপন্যাস লিখে বিশ্বখ্যাত হওয়া আরেক কথাসাহিত্যিক গুস্তাভ ফ্লবেয়ার ক্ষুদে উপন্যাস ‘নবেম্বর’ দিয়ে লেখক জীবন শুরু করেন। এটি পাঠকপ্রিয়ও হয়। পেপারব্যাকে ১১২ পৃষ্ঠার এই উপন্যাসটির সাম্প্রতিক সংস্করণের মুখবন্ধে কথাসাহিত্যিক নাদিন গর্ডিমার লিখেছেন, অহ রহঃবহংব, ঢ়ধংংরড়হধঃব, ধহফ ঢ়ৎড়ভড়ঁহফষু সড়ারহম ড়িৎশ, ঋষধঁনবৎঃ’ং ঘড়াবসনবৎ বীঢ়ষড়ৎবং ঃযব হড়ঃরড়হং ড়ভ ফবংরৎব ধহফ ষড়হমরহম ঃড় সড়ংঃ ৎবসধৎশধনষব বভভবপঃ. এই তালিকায় আমি আমার পাঠ থেকে আরও রাখতে চাই, জোসেফ কনরাডের ‘দ্য হার্ট অব ডার্কনেস’, আন্দ্রে জিদের ‘স্ট্রেইট ইজ দ্য গেট’, অস্কার ওয়াইল্ডের ‘দ্য পিকচার অব ডরিয়ান গ্রে’, টমাস মানের ‘ডেথ ইন ভেনিস’, হারমান হেসের ‘সিদ্ধার্থ’, ফরাসী দার্শনিক জা পল সাঁতের ‘নওসিয়া’, আফ্রিকার কথাসাহিত্যিক আমোস তুতুওলার ‘দ্য পাম ট্রি’, মেহিকোর কথাসাহিত্যিক কার্লোস ফুয়েন্তেসের ‘আউরা’, স্টেইনবেকের ‘অব মাইস এ্যান্ড মেন’, গাবরিয়েল গারসিয়া মার্কেসের ‘ক্রনিকলস ডেথ ফরটল্ড’, স্টিফেন কিংয়ের ‘দ্য বডি’কে বিস্তারিত আলোচনায় না গিয়ে আমার নিজস্ব পাঠ থেকে বাংলা সাহিত্যের কয়েকটি ক্ষুদে মহান উপন্যাসের নাম উল্লেখপূর্বক আমার এই সংক্ষিপ্ত গদ্যের ইতি টানতে চাই। বাংলা সাহিত্যে বঙ্কিমচন্দ্র্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘দুর্গেশনন্দিনী’, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘শেষের কবিতা’, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পদ্মানদীর মাঝি’, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কবি’, অমীয়ভূষণ মজুমদারের ‘মহিষকুড়ার উপকথা’, সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর ‘লাল সালু’, মাহমুদুল হকের ‘কালো বরফ’, মহাশ্বেতা দেবীর ‘হাজার চুরাশির মা’, জহির রায়হানের ‘আর কতদিন’, সৈয়দ শামসুল হকের ‘নিষিদ্ধ লোবান’, রিজিয়া রহমানের ‘রক্তের অক্ষর’, সেলিনা হোসেনের ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’, নবারুণ ভট্টাচার্যের ‘হারবার্ট’, ইমদাদুল হক মিলনের ‘অধিবাস’ প্রভৃতি।
×