ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সিরিজে টিকে থাকল ওয়েস্ট ইন্ডিজ

প্রকাশিত: ০৬:৩১, ৪ জুলাই ২০১৭

সিরিজে টিকে থাকল ওয়েস্ট ইন্ডিজ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ব্যাটিং ভাল হলে বোলিং যুতসই হচ্ছিল না আবার বোলিং ভাল হলে ব্যাটিং খারাপ হচ্ছিল। আগের তিন ম্যাচে সেসবের খেসারত দিতে হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। সিরিজে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছিল। কিন্তু রবিবার এন্টিগার নর্থ সাউন্ডে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে নিজেদের খুঁজে পেল স্বাগতিক ক্যারিবীয়রা। লো-স্কোরিং ম্যাচে সফরকারী ভারতকে ১১ রানে হারিয়ে দিয়ে ৫ ম্যাচের সিরিজ বাঁচিয়ে রাখল তারা। নির্ধারিত ৫০ ওভারে মাত্র ৯ উইকেটে ১৮৯ রান করতে পেরেছিল তারা। এরপরও তাদের বিজয় রচিত হওয়ার ক্ষেত্রে মূল অবদান অধিনায়ক জেসন হোল্ডারের। এ পেসার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করে ৫ উইকেট শিকার করেন, ফলে ৪৯.৪ ওভারে ১৭৮ রানেই গুটিয়ে যায় ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপ। এ পরাজয়ের পরও ৫ ম্যাচের সিরিজে এখনও ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থাকল ভারত। উল্লেখ্য, প্রথম ম্যাচটি বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়েছিল। টস জিতে আগে ব্যাটিং নিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ভারতীয় পেসাররা দারুণ বোলিং করছিল। কিন্তু এর মাঝেই বেশ ধীরস্থির ব্যাটিং করে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন এভিন লুইস ও কাইল হোপ। ৫৭ রানের জুটি গড়েন তারা। কাইল ৬৩ বলে ৩৫ রান করেন ৪ চারে। জুটি ভাঙ্গেন হার্দিক পা-িয়া। তবে বিপদ খুব বেশি বাড়েনি, শাই হোপ এসে লুইসকে ভালই সঙ্গ দিচ্ছিলেন। কিন্তু লুইস ৬০ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় ৩৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন। তৃতীয় উইকেটে আরও ৪১ রানের জুটি গড়েন শাই ও রোস্টন চেস। এ দু’জনই (শাই ২৫, রোস্টন ২৪) বিদায় নেয়ার পর চরম বিপদে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষদিকে আর কোন ব্যাটসম্যান সুবিধা করতে পারেননি উমেশ যাদবের বোলিং তোপে। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১৮৯ রানের মামুলি সংগ্রহ পায় ক্যারিবীয়রা। ৩টি করে উইকেট নেন হার্দিক ও উমেশ। কুলদ্বীপ যাদব নেন দুই উইকেট। বোলিংয়ে দারুণ সাফল্য দেখানো ভারতের ব্যাটিং চিত্রটা ছিল পুরোই বিপরীত। প্রথম থেকেই বিপদ শুরু হয় তাদের। দলীয় ১০ রানে সাজঘরে ফেরেন শিখর ধাওয়ান (৫), ২৫ রানের সময় অধিনায়ক বিরাট কোহলি (৩) ও ৪৭ রানের সময় দিনেশ কার্তিক (২)। আলজারি জোসেফ ছিলেন ভারতীয়দের এ বিপদের মূল কারণ। তিনি ধাওয়ান, কার্তিককে সাজঘরে ফেরান। আর অধিনায়ক হোল্ডার দারুণ মিতব্যয়ী বোলিং করেন এবং শিকার করেন কোহলির গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। তবে একপ্রান্তে দাঁড়িয়ে দুর্দান্ত খেলছিলেন আজিঙ্কা রাহানে। চতুর্থ উইকেটে তিনি মহেন্দ্র সিং ধোনির সঙ্গে ৫৪ রানের জুটি গড়ে বিপদ কিছুটা কাটিয়ে তোলেন। কিন্তু দেবেন্দ্র বিশু ৯১ বলে ৭ চারে ৬০ রান করা রাহানেকে ফিরিয়ে দিয়ে ক্যারিবীয়দের আবার খেলায় ফেরান। দ্রুতই ফিরে যান কেদার যাদবও (১০)। কিন্তু ধোনি উইকেট আঁকড়ে থাকেন। ষষ্ঠ উইকেটে হার্দিকের সঙ্গে ৪৩ রানের জুটি গড়ে জয়ের পথে এগিয়ে নেন ভারতকে। এরপরই হোল্ডারের বিধ্বংসী রূপ বেরিয়ে আসে। তিনি একে একে শিকার করেন হার্দিককে বোল্ড (২১ বলে ২০), রবীন্দ্র জাদেজা (১১), উমেশকে বোল্ড (০) এবং মোহাম্মদ শামিকে (১)। এর মাঝেই ভারতের একমাত্র আশা ধোনিকে সাজঘরে ফিরিয়ে দিয়েছেন কেসরিক উইলিয়ামস। তিনি ও এ্যাশলে নার্স দারুণ মিতব্যয়ী বোলিং করে ১০ ওভারে মাত্র ২৯ রান করে দিয়েছেন। ধোনি তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে ধীরগতির ফিফটি হাঁকান ১০৮ বলে। ২০০১ সালের পর কোন ভারতীয় ব্যাটসম্যানের ওয়ানডে ক্রিকেটে এটাই ধীরতম ফিফটি। তিনি শেষ পর্যন্ত ১১৪ বলে মাত্র ১ চারে ৫৪ রান করতে পেরেছেন। ২ বল বাকি থাকতেই ১৭৮ রানে শেষ হয় ভারতের ইনিংস। হোল্ডার এর আগে ক্যারিয়ারে ৩ বার ৪ উইকেট শিকার করলেও এই প্রথম ৫ উইকেট নেন। স্কোর ॥ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংস- ১৮৯/৯; ৫০ ওভার (লুইস ৩৫, কাইল ৩৫, শাই ২৫, রোস্টন ২৪; উমেশ ৩/৩৬, হার্দিক ৩/৪০, কুলদ্বীপ ২/৩১)। ভারত ইনিংস- ১৭৮/১০; ৪৯.৪ ওভার (রাহানে ৬০, ধোনি ৫৪, হার্দিক ২০; হোল্ডার ৫/২৭, জোসেফ ২/৪৬)। ফল ॥ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১১ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ জেসন হোল্ডার (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)। সিরিজ ॥ ৫ ম্যাচের সিরিজে ভারত ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে। রিয়াল ফরোয়ার্ড ডায়াজ লিও-তে স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সদ্য সমাপ্ত মৌসুমে দুটি বড় শিরোপাই জিতেছে রিয়াল মাদ্রিদ। লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লীগে শিরোপা জিতেছে তারা। তবে কোপা ডেল রে ছোঁয়া হয়নি বলে শত ভাগ সাফল্য আসেনি। সেই রিয়ালের তাঁবু ছেড়ে গেলেন স্ট্রাইকার মারিয়ানো ডায়াজ মেজিয়া। ৫ বছরের চুক্তিতে তিনি ফরাসী ক্লাব লিও-তে যোগ দিয়েছেন। ৮ মিলিয়ন ইউরোতে এ ট্রান্সফার সম্পন্ন হয়েছে। ফরাসী ক্লাবটির পক্ষ থেকে এটি জানানো হয়েছে। ২৩ বছর বয়সী ডায়াজ গত মৌসুমে মাত্র ১৪টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন। তিনি গোল করেছেন ৫টি। স্পেনে জন্ম নেয়া এ ফুটবলার ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক ফুটবলেও পদার্পণ করেছেন। তবে স্পেনের জার্সিতে নয়, ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রের হয়ে খেলেছেন তিনি। এ বিষয়ে ডায়াজ বলেন, ‘এটা নিশ্চিতভাবেই খুবই দারুণ পরিস্থিতি যে এমন একটি বড় ক্লাবে আসতে পেরেছি।’ চলতি গ্রীষ্মে ডায়াজ লিও ক্লাবে চতুর্থ নতুন চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়।
×