ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকায় প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলবে শ্রীলঙ্কার ক্লাব দল

প্রকাশিত: ০৩:৫৮, ২১ জুন ২০১৭

ঢাকায় প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলবে শ্রীলঙ্কার ক্লাব দল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আগামী ১৯-২৩ জুলাই পর্যন্ত ফিলিস্তিনে অনুষ্ঠিত হবে এএফসি অনুর্ধ-২৩ চ্যাম্পিয়নশিপ বাছাইপর্বের ‘ই’ গ্রুপের খেলা। এতে অংশ নেবে বাংলাদেশ অনুর্ধ-২৩ জাতীয় ফুটবল দল। সোমবার ৫৪ জনের প্রাথমিক দল কাঁটছাঁট করে তা ৩৬ জনে নামিয়ে আনেন এই দলের নতুন অস্ট্রেলিয়ান কোচ এ্যান্ড্রু অর্ড। মঙ্গলবার থেকে সাভারের জিরানির বিকেএসপিতে শুরু হয়েছে যুবাদের দু’বেলা করে অনুশীলন। চলবে ২৪ জুন পর্যন্ত। এরপর তিনদিন ঈদের বিরতির পর আবারও আগামী ১ জুলাই থেকে আরম্ভ হবে ক্যাম্প। ফিলিস্তিন যাবার আগে বাংলাদেশ দলকে কমপক্ষে দুটি অনুশীলন ম্যাচ খেলানোর পরিকল্পনা আছে বাফুফের। একটি হোম ম্যাচ, একটি এ্যাওয়ে ম্যাচ। এ প্রসঙ্গে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ বলেন, ‘বিকেএসপিতে ইতোমধ্যেই অনুশীলন ক্যাম্প শুরু হয়ে গেছে। সম্ভবত ঈদের আগে ক্যাম্প বন্ধ হবার আগে ট্রায়াল থেকে আরও কিছু খেলোয়াড় হ্রাস করা হবে। দলের ভাল প্রস্তুতির জন্য প্রস্তুতি বা প্রীতি ম্যাচ খেলার কোন বিকল্প নেই। আমরা আপাতত একটি হোম ম্যাচ খেলার চেষ্টা করছি। সাফ অঞ্চলের কিছু দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা রয়েছে শ্রীলঙ্কার কোন শীর্ষ পর্যায়ের ক্লাবের ঢাকায় এসে খেলার। এক্ষেত্রে আমাদের প্রথম পছন্দ ছিল দেশটির অনুর্ধ-২৩ দলের সঙ্গে খেলা। কিন্তু সম্প্রতি সেখানে বন্যা এবং ফেডারেশনের কিছু সমস্যার কারণে দলটি এখন সক্রিয় নয়। তাই এই দলের ঢাকা আসা সম্ভব নয়। ফলে আমরা দেশটির একটি শীর্ষ সারির ক্লাব দলকে ঢাকায় আনার চেষ্টা করছি। সেক্ষেত্রে আমাদের প্রথম পছন্দ শ্রীলঙ্কা আর্মি স্পোর্টস ক্লাব। তারা গত দুই বছর ধরে সেখানকার এফএ কাপের চ্যাম্পিয়ন দল। আশাকরি আগামী দুই-তিনদিনের মধ্যে তাদের সঙ্গে খেলার বিষয়টি আমরা চূড়ান্ত করতে পারব।’ এতো গেল হোম ম্যাচের প্রসঙ্গ। এ্যাওয়ে ম্যাচ? সোহাগের ভাষ্য, ‘আমাদের দল যেহেতু এএফসির টুর্নামেন্ট খেলতে ফিলিস্তিন যাবে, সে দেশে ঢুকতে গেলে জর্দান হয়ে যেতেই হবে। এটাই একমাত্র রুট। এজন্য আমাদের কোচ অর্ডের পরিকল্পনা ছিল জর্দানের সঙ্গে একটি এ্যাওয়ে ম্যাচ খেলা। কিন্তু বিভিন্ন সমস্যা থাকায় জর্দান রাজি হয়নি। পরে আমরা যোগাযোগ করি বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং কাতার ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে জর্দানের মতো তারাও নেতিবাচক উত্তর দিয়েছে।’ তাহলে কি বাংলাদেশের যুবারা মাত্র ১টি ম্যাচই খেলবে প্রস্তুতি হিসেবে? ‘না। বাংলাদেশ দল দুটি ম্যাচই খেলবে। যদি বিদেশী দলগুলোর সঙ্গে খেলা সম্ভব না হয়, তাহলে ঢাকা আবাহনী লিমিটেডের সঙ্গে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে।’ সোহাগ আরও বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে এ্যাওয়ে ম্যাচ খেলা প্রসঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা না হলেও আমরা অন্য আরও কিছু দেশের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। সব ফলাফল জানা যাবে এই ঈদের আগেই।’ এএফসির এই আসরে বাংলাদেশের গ্রুপে আছে জর্দান, তাজিকিস্তান এবং স্বাগতিক ফিলিস্তিন। তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ম্যাচগুলো হবে যথাক্রমে ১৯, ২১ এবং ২৩ জুলাই। সিনিয়র দল ঘোষণা, ক্যাম্প শুরু এবং প্রস্তুতি... সবমিলিয়ে কোনবারই মাসখানেকও সময় পায় না। এখন একই অবস্থা হয়েছে অ-২৩ দলের বেলাতেও। এই বৃত্ত থেকে কেন বের হতে পারছে না বাফুফে? সোহাগের ব্যাখ্যা, ‘অ-২৩ দল বাদে অন্য বয়সভিত্তিক দলগুলোর ক্যাম্প শুরু হয়নি। তবে না হলেও তারা কিন্তু পাইওনিয়ার ফুটবলসহ বিভিন্ন খেলার মধ্যেই আছে। অনেকের ট্রায়ালও হয়েছে। পরে ক্যাম্প শুরু হলে তেমন সমস্যা হবে না। প্রতিটি দলের সঙ্গেই সম্পৃক্ত থাকবেন অর্ড। ঈদের পরেই অ-১৬ ও অ-১৯ দলের কার্যক্রম শুরু হয়ে যাবে।’
×