ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ইন্টারনেট ও মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন

কাশ্মীরে লস্কর-ই-তৈয়বার কমান্ডারসহ নিহত ১১

প্রকাশিত: ০৩:৫৮, ১৮ জুন ২০১৭

কাশ্মীরে লস্কর-ই-তৈয়বার কমান্ডারসহ নিহত ১১

ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের অনন্তনাগে বন্দুক লড়াইয়ে জঙ্গীগোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈয়বার শীর্ষ কমান্ডার জুনায়েদ মাত্তো নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় পুলিশ। মাত্তোর লাশ পাওয়ার পর শনিবার পুলিশের দেয়া এক বিবৃতিতে এ কথা জানা গেছে। খবর এনডিটিভি অনলাইনের। অনন্তনাগ এলাকায় জঙ্গীদের বিরুদ্ধে শুক্রবার বিকেলে চালানো অভিযানে ভারতীয় সেনাবাহিনী, দেশটির স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (এসওজি) ও সিআরপিএফ জওয়ানরা অংশ নেয়। এতে মাত্তো ছাড়াও পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গীগোষ্ঠীটির আরও দুই সদস্য নিহত হয়েছে। মাত্তো দক্ষিণ কাশ্মীরে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর চালানো বেশ কয়েকটি হামলায় জড়িত ছিল বলে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। দুই সহযোগীসহ সে অনন্তনাগের আরওয়ানি এলাকায় লুকিয়ে ছিল। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একে-৪৭ রাইফেল ও ছয়টি ম্যাগাজিনসহ তিনটি অস্ত্র উদ্ধার করেছে। শুক্রবারের অভিযানের পর কাশ্মীরে শনিবার বন্ধ ডেকেছে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলো। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ইন্টারনেট ও মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে। আরওয়ানিতে দু’পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির সময় ঘটনাস্থলের দিকে মিছিল নিয়ে এগিয়ে আসে একদল লোক। তারা পাথর ছুড়তে থাকলে ও নিরাপত্তা বাহিনীর বেষ্টনী ভাঙ্গার চেষ্টা করলে গুলিতে এক কিশোরসহ দু’জন নিহত হয়। এ ঘটনার পর কাশ্মীর উপত্যকার কয়েকটি এলাকায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। অনন্তনাগে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর একই এলাকার অপর একটি স্থানে জঙ্গীদের চোরাগুপ্তা হামলায় ছয় পুলিশ সদস্য নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে আচাবাল পুলিশ স্টেশনের এসএইচও রয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। জঙ্গীদের অতর্কিত হামলায় নিহত পুলিশ সদস্যদের মুখ বিকৃত হয়ে গেছে। হামলার দায় স্বীকার করেছে লস্কর-ই-তৈইয়্যবা। এটি আরওয়ানি এলাকায় চালানো অভিযানের প্রতিক্রিয়ায় প্রতিশোধমূলক হামলা বলে মনে করছে পুলিশ, যে অভিযানে গোষ্ঠীটির অন্যতম নেতা মাত্তো নিহত হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের মহাপরিচালাক (ডিজিপি) এস পি ভায়িদ বলেন, এটি প্রতিশোধমূলক হামলা। এই হামলায় জড়িতদের খুঁজে বের করা হবে।
×