ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ট্রেন থেকে ফেলে হত্যা ॥ ৪২ দিন পর লাশ উত্তোলন

প্রকাশিত: ০৬:৪৩, ১৩ জুন ২০১৭

ট্রেন থেকে ফেলে হত্যা ॥ ৪২ দিন পর লাশ উত্তোলন

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভৈরব, ১২ জুন ॥ নিহতের ৪২ দিন পর সোমবার দুপুরে ভৈরব পৌর কবরস্থান থেকে ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমানের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য উত্তোলন করা হয়। লাশ উত্তোলনের সময় উপস্থিত ছিলেন মামলার বাদী এ্যাডভোকেট আয়ুব হোসেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চিত্রা শিকারী, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চট্টগ্রামের পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ওসি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, ভৈরব থানার উপ-পরিদর্শক আসাদুল হক আসাদসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ। জানা গেছে, ভৈরবপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে হাবিবুর রহমান সপরিবারে চট্টগ্রামে বসবাস করছিলেন। সেখানে তিনি মানিচেঞ্জার ব্যবসা করতেন। গত ১ মে ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়ে চট্টগ্রাম থেকে মেঘনা ট্রেনে চাদপুর যাচ্ছিলেন। ট্রেনটি সীতাকুন্ড এলাকায় এলে রেলওয়ে পুলিশ তার ব্যাগ তল্লাশি করতে চাইলে তিনি ব্যাগে টাকা আছে বলেন। পুলিশ ব্যাগভর্তি টাকা দেখে হাবিবুরকে সিট থেকে তুলে ট্রেনের দরজার কাছে নিয়ে আসে। এ সময় পুলিশ টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিতে চাইলে হাবিব বাধা দেন। টাকার ব্যাগ দিতে অস্বীকৃতি জানালে পুলিশ হাবিবকে বেধড়ক মারপিট করে। এতে সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। তার সঙ্গে থাকা ১৭ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে তাকে ট্রেন থেকে ছুড়ে ফেরে পুলিশ। হাবিবকে ট্রেনে কাটা পরে মারা গেছে প্রচার করে রেলওয়ে পুলিশ। ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। এ ঘটনায় তার বড় ভাই আয়ুব হোসেন বাদী হয়ে চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ওসি এসএম শহীদুল ইসলাম, সীতাকুন্ড রেলওয়ে থানার ইনচার্জ এসআই সাইফুল আলম, আব্দুর রউফ এসআই ও ১১ পুলিশ সদস্যসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার এটিএসআই মশিউর রহমান, কনস্টেবল মিথিল, জাকির চট্টগ্রাম। চাঁদপুর রেলওয়ে থানার এটিএসআই দুলাল চন্দ্র গুলদার, কনস্টেবল আল আমিন, মাহের ও কনস্টেবল নাজিম। মামলাটি পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত করছে। ২৯ মে চট্টগ্রাম জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিহতের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়না তদন্তর জন্য নির্দেশ দিলে সোমবার লাশ উত্তোলন করে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
×