ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আরিয়ানাকে হঠাৎ কাছে পেয়ে আপ্লুত ভক্তরা

প্রকাশিত: ০৪:১০, ৪ জুন ২০১৭

আরিয়ানাকে হঠাৎ কাছে পেয়ে আপ্লুত ভক্তরা

ব্রিটেনের ম্যানচেস্টার হামলায় আহতদের দেখতে শুক্রবার হাসপাতালে হঠাৎ হাজির হন আরিয়ানা গ্রান্ডে। প্রিয় শিল্পীকে দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন ভক্তরা। খবর বিবিসির। গত ২২ মে ম্যানচেস্টারে মার্কিন এই সংগীত শিল্পীর কনসার্টে আত্মঘাতী হামলার ঘটনা ঘটে। ওই হামলায় ২২ জন নিহত হন। আহত হন ৬৪ জন। হতাহত ব্যক্তিদের সম্মানে ও অর্থসহায়তায় রবিবার ম্যানচেস্টারে আয়োজিত এক কনসার্টে যোগ দিচ্ছেন আরিয়ানা গ্রান্ডে। এই কনসার্ট উপলক্ষে তিনি শুক্রবার ব্রিটেনে পৌঁছান। এ সময় রয়েল ম্যানচেস্টার চিলড্রেন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত শিশু ভক্তদের দেখতে যান তিনি। হামলায় আহত হয়ে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আট বছরের লিলি হ্যারিসনকে দেখতে গেলে সে খুশিতে ফেটে পড়ে। তাকে জড়িয়ে ধরে ছবি তোলেন আরিয়ানা। লিলির বাবা বলেন, তিনি তার মেয়েকে এত খুশি কখনও দেখেননি। জাদেন নামে আহত এক মেয়ের মা পিটার মান এই সংগীত তারকার আকস্মিক হাসপাতাল পরিদর্শন নিয়ে লিখেছেন, তিনি আসায় আমি এতটাই খুশি যে মনে হচ্ছে আনন্দে ফেটে পড়ব। জাদেনকে এত আনন্দিত হতে কখনও দেখিনি। সে আবেগে কেঁদে ফেলেছিল। এভি মিলস নামের ১৪ বছর বয়সী আরেক কিশোরীকেও দেখতে যান আরিয়ানা গ্রান্ডে। এ সময় তিনি হাসপাতালে সেবিকা ও কর্মীদের সঙ্গেও কথা বলেন। তারকাবহুল কনসার্টে আরিয়ানার সঙ্গে গাইবেন কেটি পেরি, জাস্টিন বিবার, মাইলি সাইরাস, উশার, ফ্যারেল উইলিয়ামস, নিয়াল হোরান, ব্যান্ড টেক দ্যাট ও কোল্ড প্লে। ‘ওয়ান লাভ ম্যানচেস্টার’ নামের এই কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছে ওল্ড ট্রাফোর্ড ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। ভেনিজুয়েলায় সংবিধান সংস্কারের অঙ্গীকার মাদুরোর ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো নিজ দলের সমালোচনা বন্ধ করতে ও তাকে উৎখাতে বিরোধীদের প্রচেষ্টাকে নস্যাৎ করার জন্য সংবিধান সংস্কারের মাধ্যমে গণভোটের অঙ্গীকার করেছেন। দেশটিতে দুই মাস ধরে চলা সরকার বিরোধী ভয়াবহ রক্তক্ষয়ী বিক্ষোভের পর বৃহস্পতিবার রাতে আকস্মিকভাবে ঘোষণাটি এল। খবর এএফপির। বিক্ষোভরত ছাত্ররা শুক্রবার সরকারী টেলিভিশন চ্যানেল ভিটিভির সদর দফতরে ঢুকে পড়ে। সেখানে তারা যোগাযোগমন্ত্রী আর্নেস্টো ভিলেগাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে। বিরোধী দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মাদুরো তার ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখতে সংবিধান সংস্কার করতে যাচ্ছেন। এদিকে এ্যাটর্র্নি জেনারেল লুইসা ওর্তেগার মতো মাদুরোর প্রধান মিত্ররা তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন। ইউনিয়ন রেডিওকে ওর্তেগা বলেন, এই দেশে কি ঘটছে তা নিয়ে আলোচনার জন্য আমি এই সংবিধান সংশোধনীর জন্য কনস্টিটিউশন এ্যাসেম্বলিতে বিষয়টি প্রত্যাহার করার জন্য বলেছি। পাশাপাশি ন্যাশনাল ইলেক্টোরাল কাউন্সিলকে আঞ্চলিক নির্বাচনের অগ্রগতি জানানোর জন্য ও সংলাপের জন্য সরকারের প্রতি চাপ প্রয়োগের কথা জানিয়েছে। তারা একে ‘অগণতান্ত্রিক’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। মাদুরোর ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগে তার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে ওর্তেগা আইনী চ্যালেঞ্জ জানান। আর প্রেসিডেন্ট তার পরিকল্পনার বিরোধীতাকারীদের ‘বিশ্বাসঘাতক’ হিসেবে অভিহিত করেন।
×