ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

ঈদ সামনে রেখে কেরানীগঞ্জে টুপি তৈরির ধুম

প্রকাশিত: ০৬:৩১, ৩ জুন ২০১৭

ঈদ সামনে রেখে কেরানীগঞ্জে টুপি তৈরির ধুম

নিজস্ব সংবাদদাতা, কেরানীগঞ্জ, ২ জুন ॥ ঈদকে সামনে রেখে কেরানীগঞ্জে পাঁচটি কারখানায় তিন শতাধিক কারিগর এখন টুপি তৈরির কাজে ব্যস্ত। তারা নাওয়া-খাওয়া ভুলে দিনরাত কাজ করছে। সারা দেশসহ বিদেশে মুসলিম দেশগুলোতে ১২ মাসই টুপির যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। কিন্তু ঈদ মৌসুমে চার মাস আগ থেকেই এই কাজটির চাহিদা বেড়ে যায়। কেরানীগঞ্জের টুপি ব্যবসায়ীরা বলছেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর টুপির চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে। বাংলাদেশে উন্নতমানের বিভিন্ন ডিজাইনের হরেক রকম টুপি দেখে বিদেশী পাইকারদেরও মন জয় করেছে ইতোমধ্যে। তাই বর্তমানে বাংলাদেশে তৈরি টুপি রফতানি হচ্ছে সৌদি আরব, ওমান, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভুটান, ভারতসহ বিশ্বের অন্যান মুসলিম দেশে। আল-ফারুক ক্যাফ প্রোডাকশনের মালিক ফারুক বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের টুপির চাহিদা মিটিয়ে এখন বিদেশেও টুপি রফতানি করে আসছি। বাংলাদেশের সিলেট, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, কুমিল্লা, যশোর, কুষ্টিয়া ও খুলনার পাইকাররা রমজানের ২ মাস আগ থেকেই কেরানীগঞ্জের পাইকারি মার্কেট থেকে বিকিকিনি শুরু করে দিয়েছে। আশা করি, এ বছর আমরা টুপি ব্যবসায় টার্গেটে পৌঁছতে পারব। ওই একই প্রতিষ্ঠানের সুপার ভাইজার আবু সাঈদ মিজী বলেন, বছরের দুটি ঈদে আমরা খুবই ব্যস্ত থাকি। এ সময় আমরা খাওয়া-দাওয়া ও ঘুমের সময় পর্যন্ত পাই না। শুধু কাজ আর কাজ। বর্তমানে আমাদের কারখানায় ১৩০ কারিগর দিনরাত টুপি তৈরির কাজ করছে। এখানকার কর্মচারীরা মাসিক বেতন পাচ্ছে শ্রেণী ভেদে আট হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত। আমাদের কারখানার তৈরি টুপি দেখতে আকর্ষণীয় এবং দামেও কম। তাই দেশ ও বিদেশের ক্রেতারও আকৃষ্ট হচ্ছে। আমাদের টুপির চাহিদাও দ্বিগুণ। জনতা টুপি হাউসের কর্মচারী জলিল মিয়া বলেন, ৪ চার মাস ধরে এই কারখানায় একটানা কাজ করে আসছি। দিনরাত টুপি তৈরির মেশিন চলছে। বর্তমানে এই কারখানায় আমরা ৮০ কর্মচারী কাজ করছি। বেতন ও ঈদ বোনাস ইতোমধ্যেই পেয়ে গেছি। ২৮ রোজা পর্যন্ত আমাদের কাজ চলবে।
×