ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

অবশেষে নিজেরাই নির্মাণ করলেন রাস্তা

প্রকাশিত: ০৬:৩১, ৩১ মে ২০১৭

অবশেষে নিজেরাই নির্মাণ করলেন রাস্তা

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার ধরনা দিয়েও কাজ না হওয়ায় নিজেদের টাকাতেই রাস্তা নির্মাণ করল সিরাজদিখান উপজলার ইছাপুরা ইউনিয়নের শিয়ালদী ঢালীবাড়ি গ্রামবাসী। আশপাশের গ্রামগুলো থেকে শিক্ষা দীক্ষা, অর্থনীতিতে অনেকটাই এগিয়ে শিয়ালদী গ্রাম। এখানে দুটো সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি আলিম মাদ্রাসা রয়েছে। এক কিলোমিটার দূরে রয়েছে মোস্তফাগঞ্জ-সিরাজদিখান-ঢাকা সড়ক। কিন্তু মাত্র এক কিলোমিটার সড়ক না থাকায় শিয়ালদী ঢালীবাড়িবাসীকে ঘুরে মোস্তফাগঞ্জ-সিরাজদিখান-ঢাকাসড়কে উঠতে হয়। শিয়ালদী ঢালীবাড়িবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি শিয়ালদী ঢালীবাড়ি মোস্তফাগঞ্জ- মালখানগর সংযোগ সড়ক। কিন্তু সরকারের বিভিন্ন মহলে ধরনা দিয়েও কাজ হয়নি। সবাই শুধু প্রতিশ্রুতিই দিয়ে গেছেন। কাজের কাজ কেউ করেননি। তাই এবার শিয়ালদী ঢালীবাড়ি গ্রামের ইছাপুরা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের জনগণ নিজেদের টাকাতেই এ সংযোগ সড়ক তৈরি করছে। প্রায় ৫ লাখ টাকা ব্যয়ে এ সড়কটি তৈরি হচ্ছে। প্রচলিত শ্রমিকের দিয়ে আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার না করায় এবং কিছুটা স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে খরচ কমিয়ে এনেছে। এলাকার জনগণ জনপ্রতিনিধি ও সরকারী দফতরগুলোতে একাধিকবার গেছেন। কিন্তু রাস্তা নির্মাণের আশ্বাস পাননি। তাই আর অপেক্ষা না করে মুন্সীগঞ্জ সিরাজদিখান উপজেলার শিয়ালদী গ্রামের লোকজন মেম্বার ভবন দাসকে সঙ্গে নিয়ে নিজেরাই রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু করে দিয়েছেন। উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের সেই গ্রামটিতে শনিবার সকালে গিয়ে দেখা যায়, নিজেদের জমির ওপর দিয়ে নিজেদের টাকায় চলছে রাস্তা নির্মাণের কাজ। পাঁচদিন ধরে চলছে এ কাজ। পাঁচ ফুট উচ্চতা ও ছয় ফুট চওড়া প্রায় অর্ধকিলোমিটার রাস্তা তৈরি হয়ে গেছে। শিয়ালদী ঢালীবাড়ি মোশারফ ঢালী, ইছাপুরা ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ড সদস্য ভবন দাস, ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মতিন হাওলাদার, মোস্তফা ঢালী, আয়েছ ঢালী, কাদীর ঢালীসহ গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা রাস্তাটি নির্মাণের উদ্যোগ নেন। পরে জমির মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে গ্রামবাসীকে জমি দান ও রাস্তাটি নির্মাণে মাটি কাটার খরচ দেয়ার প্রস্তÍাব দেয়া হয়। এতে গ্রামবাসী সম্মতি দেন। প্রধান প্রকল্প বাস্তবায়নকারী ও ইছাপুরা ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ভবন দাস বলেন, মানুষ স্বেচ্ছায় প্রকল্পে টাকা দিয়েছে তাদের সামর্থ্য থেকে। কারও থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করা হয়নি। এ সড়কটি আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি। এখন থেকে আমরা খুব সহজেই মোস্তফাগঞ্জ-মারখানগর ও সিরাজদিখান সড়কে উঠতে পারব। ইছাপুরা ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন হাওলাদার বলেন, ভবিষ্যতে এ রাস্তাটি প্রশস্তকরণ, পাকাকরণ ও কালভার্ট নির্মাণের ব্যাপারে সহযোগিতা করা হবে।
×