ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ব্রিটেনে জনমত জরিপ

করবিনের সমর্থন বাড়ছে

প্রকাশিত: ০৬:১৫, ২৯ মে ২০১৭

করবিনের সমর্থন বাড়ছে

ব্রিটিশ লেবার পার্টি নেতা জেরেমি করবিন জনমত জরিপে কনজারভেটিভ প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে’র সঙ্গে ব্যবধান কমিয়ে এনেছেন। দেশটি মধ্যবর্তী নির্বাচনের মাত্র ১০ দিন সময় বাকি থাকতে জরিপের এ ফল স্বভাবতই ক্ষমতাসীন দলে কিছুটা উদ্বেগ তৈরি করতে পারে। গার্ডিয়ান অনলাইন। অপিনিয়াম ও অবজারভার পোল পরিচালিত জনমত জরিপে দেখা যায় ৩৯ শতাংশ উত্তরদাতা করবিনের নেতৃত্ব ইতিবাচক ধারণা পোষণ করে, নেতিবাচক মনে করে ১৪ শতাংশ। অন্যদিকে টেরেসা মে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যেভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখেন ৩৭ শতাংশ ব্রিটিশ এবং নেতিবাচক মনে করেন ২৫ শতাংশ। নিজের নেতৃত্বের প্রতি জনমত যাচাই করার উদ্দেশে মধ্যবর্তী নির্বাচনের ডাক দিয়েছিলেন। কিন্তু জরিপের এই ফল ধারণা দিচ্ছে নির্বাচন ফল মে’র জন্য বিপর্যয়কর হতে পারে। এপ্রিলে জনমত জরিপে মে করবিনের তুলনায় ৫৬ পয়েন্টে এগিয়ে ছিলেন, সর্বশেষ জরিপে যা ২২ শতাংশে কমে এসেছে। দল হিসেবে টোরি দল (কনজারভেটিভ) লেবারের চেয়ে ১৯ শতাংশে এগিয়ে ছিল এখন সেই ব্যবধান হয়েছে ১০ পয়েন্ট। টোরির প্রতি সমর্থন ৪৫, লেবার ৩৫ শতাংশ। সামগ্রিকভাবে টোরি দল লেবারের চেয়ে এগিয়ে থাকলেও ব্যবধান কমে আসাটা দলের জন্য উদ্বেগজনক। সর্বশেষ জনমত জরিপ থেকে আভাস পাওয়া যায়, দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দল কাটিয়ে লেবার এখন নির্বাচনের মাঠে নিজের অবস্থান মজবুত করেছেন। সাবেক চ্যান্সেলর অব এক্সচেকার জর্জ মনে করেন মে’র নীতি করবিনকে রাজনৈতিকভাবে সুবিধা করে দিয়েছে। মে অসবোর্নকে বরখাস্ত করেছিলেন। অসবোর্ন এখন লন্ডন ইভনিং স্ট্যান্ডার্ডের সম্পাদক। তিনি মনে করেন, ‘আন্তর্জাতিক উদারনৈতিকতা ও বিশ্বায়নের’ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ফিরে আসাই রাজনৈতিকভাবে সরকারকে পিছিয়ে দিয়েছে। মে’র প্রতি এক হাত নিতেই সম্প্রতি তার পত্রিকায় পরিবর্তন আনা হয়েছে কি না, এ রকম এক প্রশ্নের জবাবে অসবোর্ন বলেন ‘প্রতিশোধ’ নয় বরং রাজনীতি নিয়ে পাঠকদের উদ্বেগের কথা বিবেচনায় রেখে এ পরিবর্তন আনা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘অনেক পাঠকই প্রকৃত ঘটনা সম্পর্কে অবহিত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না, তাদের কথা চিন্তা করেন ইভনিং স্ট্যান্ডার্ডে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। এ কারণে টোরি সমর্থকরা এখন পত্রিকাটি পছন্দ করছেন না। মে’র নেতৃত্ব নিয়ে এখন তার নিজ দলেই দেখা দিয়েছে হতাশা। ক্ষমতাসীন দলের অনেক নেতাকর্মীই মনে করেন যে তাদের মেনিফেস্টো ব্যবসাবান্ধব নয়। এছাড়া জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ নিক টিমোথি ও ফিয়োনা হিলের সঙ্গে সম্প্রতি মে’র ক্ষমতার দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছিল বলে খবর পাওয়া গেছে। ম্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক রবাট ফোর্ড মনে করেন, ‘জনমত জরিপ আর নির্বাচনের ফল এক জিনিস নয়।’ তিনি আরও বলেন, বয়স্ক লোকজন সম্ভবত টোরি দলকে ভোট দেবে। কিন্তু তরুণরা কাকে ভোট দেবে তা নিশ্চিত নয়। তার মতে, জরিপের ফল গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এ থেকে ভোটারদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের ধারণা পাওয়া যায়।
×