ইসরাইলী-ফিলিস্তিনী সংঘাতের সুষ্ঠু সমাধানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কতটা সফল হবেন তা নিয়ে মন্তব্য করার সময় এখনই আসেনি। ট্রাম্পের রাজনৈতিক বৈরীরা তার রাশিয়া সংশ্লিষ্টতা নিয়ে তদন্তের ব্যাপারে যখন সন্দিহান এমন এক সময় তিনি আটদিনের বিদেশ সফরে গেলেন ।
তিনি অবাধে সফর করলেন সৌদি আরব, ইসরাইল ও পশ্চিম তীর। একই সঙ্গে সন্ত্রাসবাদ, ইরান ও শান্তি বিষয়ে মার্কিন নীতির ওপর বিবৃতি দিলেন সুস্পষ্টভাবে। এ কারণে তার এখন উচিত হবে মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ায় ব্যক্তিগতভাবে নিজেকে জড়িত করা এবং ইসরাইল ও ফিলিস্তিনীদের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় তার পররাষ্ট্রনীতিতে বড় ধরনের অগ্রাধিকার দেয়া থেকে সরে না যাওয়া। ঠিক যেমনটা ছিল সাবেক প্রেসিডেন্ট ওবামার নীতিতে। যে সকল প্রেসিডেন্টকে নিজ দেশে অস্বস্তি পোহাতে হয়েছে তাদের প্রত্যেকের মতো বৈদেশিক সফলতার প্রত্যাশায় বিদেশ সফরের এ উদ্যোগ নিয়েছেন ট্রাম্প এবং তা তিনি অর্জন করেছেন যথার্থভাবেই। তাকে দেখা গেছে সন্ত্রাস ও ইরানের বিরুদ্ধে একটি জোট গঠনে উৎসাহ জোগাতে এবং মুসলিম দেশগুলোর উগ্রপন্থীদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেয়ার দাবি জানাতে সরাসরিভাবেই। এমনকি সৌদি আরবে তার ভাষণে ‘আমেরিকা প্রথম’ আদর্শ বিষটির যে সামান্য উল্লেখ ছিল তাও তিনি বর্জন করেছেন অনেকটা। তিনি ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও নারীদের আকাক্সক্ষা পূরণে মর্যাদা দেয়ার জন্য একদল আরব ক্ষমতাধর রাজনীতিবিদদের প্রতি আহ্বান জানান। ট্রাম্প সৌদি আরব সফর শেষে যান ইসরাইলে। এখানে তিনি ইহুদি রাষ্ট্রটির সঙ্গে আমেরিকার জোটবদ্ধতার বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেন। -ইয়াহুনিউজ