ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ইসরাইল-মার্কিন উষ্ণতা কোন্ পর্যায়ে

প্রকাশিত: ০৩:৪৩, ২৪ মে ২০১৭

ইসরাইল-মার্কিন উষ্ণতা কোন্ পর্যায়ে

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সোমবারের জেরুজালেম সফরকে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম ঘনিষ্ঠ সহযোগী দেশ ইসরাইলের সঙ্গে এক কঠিন কূটনৈতিক পরীক্ষা হিসেবে মনে করা হচ্ছে। ইসরাইল থেকে আগত কর্মকর্তাদের উক্তি অনুযায়ী ট্রাম্প রুশ কূটনীতিবিদদের কেবল তথ্যই দেননি, তার কয়েকজন সহযোগী প্রকাশ্যেই প্রশ্ন তুলেছেন, ইহুদীদের অন্যতম পবিত্র স্থান ‘ওয়েস্টার্ন ওয়াল’ যথার্থই ইসরাইলের মালিকানাধীন কি-না। এ সঙ্গে তাদের বেশকিছু ক্ষুদ্র কূটনৈতিক ভুল বোঝাবুঝি ও এ ধরনের পদক্ষেপ আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ট্রাম্পও পরীক্ষা করে দেখেছেন ইসরাইলী রাজনীতি এবং প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু তাকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে ইসরাইলের বড় বন্ধু নেই। ট্রাম্প যা চাইছেন তা হচ্ছে বৃহত্তর আরব অঞ্চলকে সঙ্গে রেখে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনীদের মধ্যে চূড়ান্তভাবে একটি শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর এবং ইসরাইল সফরের সময় তার বন্ধু ও সহযোগী নেতানিয়াহুকেই দেখা যায় কম সহযোগিতামূলক অধিকৃত পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনকারী ও তার নিজস্ব জোটের কাছ থেকে তিনি যে চাপের সম্মুখীন হচ্ছেন তা তুলে ধরবেন। এদের বেশিরভাগই ‘দুই রাষ্ট্র’ সমাধান ধারণার তীব্র বিরোধী, একটি ইসরাইলের জন্য একই সময়ে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে মনে হতে পারে, ট্রাম্প যা চান সে ব্যাপারে আরও খোলাখুলি। অনেকেই মনে করেন এ সমস্যা সমাধানে দ্বিধাগ্রস্ত ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী। এ অঞ্চল কেন এতটা অনিশ্চিত এবং নতুন প্রেসিডেন্ট নমনীয়তা দেখাবেন কি-না বা তার অনেক ব্যর্থ পূর্বসূরি যা বুঝতে পারেননি তার কিছুটা তিনি বুঝতে পেরেছেন কি-না সে ব্যাপারটিই বোঝা যাবে এ সফরে। জুয়িশ হোম দলের পার্লামেন্ট সদস্য শুলি মোয়ালেম রাফায়েলি ট্রাম্পের উক্তি প্রসঙ্গে বলেছেন, আমরা ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং একই বিশ্ব ধারণার অংশীদার। কিন্তু তিনি নেতানিয়াহুর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, ট্রাম্প সমাধান হিসেবে দু’রাষ্ট্র ধারণা নিয়ে কথা বলতে চাইলেও তিনি (নেতানিয়াহু) যেন সে দিকটায় সাড়া না দেন। শুলির দল নেতানিয়াহুর জোটের অংশীদার। তিনি বলেন, আমার প্রার্থনা এ প্রক্রিয়ার কারণে মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে আমাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক যেন কোনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। আমার প্রত্যাশা, আমাদের মধ্যকার সুসম্পর্ক অব্যাহত থাকবে, এমনকি আমরা তা স্বীকার না করলেও। ইসরাইলী কর্মকর্তারা রুশদের সঙ্গে তথ্য প্রকাশ বিষয়ে নীরবতা পালন করছেন। তাই এটা বলা শক্ত যে, বিষয়টি ইসরাইলের সঙ্গে ট্রাম্পের অবস্থান ক্ষতিগ্রস্ত হবে কি-না। কোন কোন বিশেষজ্ঞের মধ্যে গুঞ্জন রয়েছে যে, এ নতুন উত্তেজনার কারণে ইসরাইলী আকাক্সক্ষা পূরণে ট্রাম্পের কাছে বিষয়টি আরও সম্ভাব্য হয়ে উঠবে। -নিউইয়র্ক টাইমস
×