ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

দ্বিতীয় মেয়াদে জয়ী হাসান রুহানি

ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীর

প্রকাশিত: ০৪:৫১, ২১ মে ২০১৭

ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীর

ইরানে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ইব্রাহিম রইসি ভোটে অনিয়মের অভিযোগ করেছেন। প্রধান চ্যালেঞ্জার ইব্রাহিম রইসির দায়ের করা অভিযোগে বলা হয়, রুহানির শত শত সমর্থক নির্বাচনী বুথে তার পক্ষে প্রচার চালিয়েছে যা নির্বাচনী আইন অনুযায়ী নিষিদ্ধ। সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিত বর্তমান ইরানী প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানিই দ্বিতীয় দফা নির্বাচিত হয়েছেন বলে প্রাথমিক ফলে জানা গেছে। রুহানির আমলেই ইরান যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে ২০১৫ সালে পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষর করে। নয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই পরমাণু চুক্তির বিরোধিতা করলেও হোয়াইট হাউস এ সপ্তাহের গোড়ার দিকে তা নবায়ন করে। পরমাণু চুক্তির পর ইরানের ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হয়। খবর বিবিসি/ওয়েবসাইটের। এদিকে শনিবার ইরানের এক পদস্থ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে রয়টার্সকে জানিয়েছেন, এখন আর কোন অনিশ্চয়তা নেই। রুহানি নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। ওই সূত্র জানিয়েছে, তিন কোটি ৭০ লাখ ভোট গণনার পর দেখা গেছে, সংস্কারপন্থী রুহানি প্রায় দুই কোটি ১৬ লাখ ভোট পেয়েছেন। যেখানে কট্টরপন্থী হিসেবে পরিচিত তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইব্রাহিম রইসি পেয়েছেন প্রায় এক কোটি ৪০ লাখ ভোট। এবারের নির্বাচনে মোট ভোট পড়েছে চার কোটি ২০ লাখ। যা মোট ভোটারদের ৭০ শতাংশ। এবারের নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ছিল প্রায় পাঁচ কোটি ৬৪ লাখ। রুহানির দফতরের প্রধান কর্মকর্তা হামিদ আবুতালেবি এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, রুহানি ৬০ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। তবে তিনি এ তথ্যের পক্ষে কোন প্রমাণ দেননি। ৬৮ বছর বয়সী রুহানি গতবার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ছয় শক্তিধর দেশের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি করে আন্তর্জাতিক আর্থিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে পদক্ষেপ রাখেন। বিভিন্ন সংস্কারের মাধ্যমে নাগরিকদের আগের চেয়ে বেশি স্বাধীনতা দিয়েছেন বলে ইরানী তরুণদের কাছে তার জনপ্রিয়তা বেড়েছে বলে মনে করা হয়। স্থানীয় সময় শুক্রবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়, বিকেল ৬টায় ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ভোটারদের দীর্ঘ লাইনের কারণে তা চলে রাত ১২টা পর্যন্ত। ৬৩ হাজার ৫০০ ভোট কেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ চলে। বিশ্বের ১০২টি দেশে অবস্থানরত প্রবাসী ইরানী নাগরিকরাও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন। এজন্য বিভিন্ন দেশে স্থাপন করা হয়েছে ৩১০টি ভোট কেন্দ্র। ইরানের দ্বাদশ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তারা হলেন, বর্তমান প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি, ইরানের বিচার বিভাগের সাবেক উপ-প্রধান সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রইসি, ইরানের বিশেষজ্ঞ পরিষদের সদস্য আগা মিরসালিম এবং সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মোস্তফা হাশেমি তাবা। তবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় হাসান রুহানি এবং ইব্রাহিম রইসির মধ্যে।
×