ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

রূপগঞ্জকে হারিয়ে সুপার লীগে আবাহনী

প্রকাশিত: ০৬:২৩, ১৮ মে ২০১৭

রূপগঞ্জকে হারিয়ে সুপার লীগে আবাহনী

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে পাত্তাই দিল না আবাহনী লিমিটেড। লিটন কুমার দাসের সেঞ্চুরিতে ৪৯ রানের বড় ব্যবধানেই রূপগঞ্জকে হারায় আবাহনী। এ জয়টি পেয়ে ওয়ালটন ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগের ২০১৬-১৭ মৌসুমে সুপার লীগে খেলা নিশ্চিত করে নিল আবাহনী। রূপগঞ্জের হারে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবও সুপার লীগে খেলা নিশ্চিত করল। প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাবতো সেরা খেলাই দেখিয়ে দিয়েছে। খেলাঘর সমাজকল্যাণ সমিতিকে পেয়ে ইমতিয়াজ হোসেনের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ১০ উইকেটে জয় তুলে নিয়েছে দোলেশ্বর। এই জয়ে দোলেশ্বরও সুপার লীগে খেলা নিশ্চিত করল। লীগের দশম রাউন্ডে এসে অবশেষে জয় পেয়েছে ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব। দলটি ২ উইকেটে পারটেক্সকে হারিয়েছে। বিকেএসপি চার নম্বর মাঠে হওয়া আবাহনী-রূপগঞ্জের ম্যাচের দিকেই বুধবার সবার নজর ছিল। ম্যাচটিও দুই দল দুর্দান্তভাবে খেলে। প্রতিদ্বন্দ্বিতাও হয়। টস জিতে আগে ব্যাট করে আবাহনী। শুরুতেই দুই ওপেনার লিটন ও সাদমান ইসলাম মিলে যে উদ্বোধনী জুটিতে ২০৭ রান করে, সেখানেই আসলে পার্থক্য গড়ে যায়। সাদমান ৮৫ রানে আউট হয়ে গেলেও লিটন ঠিকই উইকেট আঁকড়ে থাকেন। শেষ পর্যন্ত ১০১ বলে ২০ চার ও ৩ ছক্কায় ১৩৬ রান করে আউট হন লিটন। ২৩৪ রানে লিটন আউট হওয়ার পর বাকিরা মিলে দলকে ৩৩৩ রানে নিয়ে যান। ৫০ ওভার শেষ হতে এক বল বাকি থাকতে অলআউটও হয় আবাহনী। কিন্তু যে রান স্কোরবোর্ডে যোগ করে আবাহনী, সেখানেই আসলে জয়ের ভিত গড়া হয়ে যায়। তখন মনে হয় রূপগঞ্জ কিছুই করতে পারবে না। কিন্তু নাঈম ইসলামের ১২৩ ও মোশাররফ হোসেন রুবেলের ৬৭ রানে তিন শ’ রানের কাছাকাছি যায় রূপগঞ্জ। ৬ উইকেট হারিয়ে ৫০ ওভারে ২৮৪ রান করে। হারে রূপগঞ্জ। আবাহনী জিতে। তাতে করে ১০ ম্যাচে ৮ জয়ে ১৬ পয়েন্ট পায় আবাহনী। সুপার লীগে খেলাও নিশ্চিত হয়ে যায়। ফতুল্লায় খেলাঘরের বিপক্ষে দোলেশ্বর যে জিতবে তা আগে থেকেই অনুমিত। খেলাঘর দলটি যে দুর্বল। কিন্তু তাই বলে এত সহজে, এত বড় ব্যবধানে জিতবে দোলেশ্বর। আগে ব্যাট করে দোলেশ্বর ১৭৮ রান করতেই গুটিয়ে যায়। অমিত মজুমদার সর্বোচ্চ ৭৩ রান করেন। আরাফাত সানি ও চতুরঙ্গ ডি সিলভা ৩ উইকেট করে শিকার করেন। জবাব দিতে নেমে ইমতিয়াজ হোসেন ও আব্দুল মজিদই ম্যাচ জিতিয়ে দেন। দুইজন মিলে ৩৩.১ ওভারে ১৮১ রান করেন। ৯৯ বলে ১০ চার ও ৩ ছক্কায় অপরাজিত ১০৭ রান করেন ইমতিয়াজ। আর মজিদ অপরাজিত ৬৪ রান করেন। এই জয়ে ১৪ পয়েন্ট হলো দোলেশ্বরের। তাতে করে সুপার লীগে খেলাও নিশ্চিত করল। বিকেএসপি তিন নম্বর মাঠে আগে ব্যাট করে ইরফান শুকুরের ৯৫, সাজ্জাদুল হকের ৭৫ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে ৫০ ওভারে ২৯৮ রান করে পারটেক্স। মাহবুবুল আলম রবিন ৪ উইকেট নেন। জবাব দিতে নেমে অরুণ কার্তিকের ৮৯ ও রুবেল মিয়ার অপরাজিত ৭৩ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ৪৯.৩ ওভারে ২৯৯ রান করে ভিক্টোরিয়া জয় তুলে নেয়। চরম প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় ম্যাচটিতে। শেষ হাসিটা ভিক্টোরিয়াই হাসে। এবার লীগে এটি ভিক্টোরিয়ার প্রথম জয়। টানা নয় ম্যাচ হারের পর জিতল ভিক্টোরিয়া। দশম রাউন্ডের প্রথমদিন শেষ হতেই চারটি দলের সুপার লীগে খেলা নিশ্চিত হয়ে গেছে। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স আগেই সুপার লীগে খেলা নিশ্চিত করেছে। বুধবার আবাহনী ও প্রাইম দোলেশ্বর নিশ্চিত করল। সেই সঙ্গে রূপগঞ্জের হারে প্রাইম ব্যাংকের সুপার লীগে খেলা নিশ্চিত হয়ে গেছে। এখন বাকি আর দুই দল। আজ ব্রাদার্স ইউনিয়নকে হারাতে পারলে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবেরও সুপার লীগে খেলা নিশ্চিত হবে। যাদেরই ১৪ পয়েন্ট হবে, তারা সুপার লীগে খেলার নিশ্চয়তা পেয়ে যাবে। গাজী গ্রুপ (১৮ পয়েন্ট), আবাহনী (১৬ পয়েন্ট), প্রাইম ব্যাংক (১৪ পয়েন্ট) ও প্রাইম দোলেশ্বরের (১৪ পয়েন্ট) সেই পয়েন্ট এরই মধ্যে হয়ে গেছে। স্কোর ॥ আবাহনী-রূপগঞ্জ ম্যাচÑ বিকেএসপি-৪ আবাহনী ইনিংস ৩৩৩/১০; ৪৯.৫ ওভার (লিটন ১৩৬, সাদমান ৮৫; মোশাররফ ৩/৩০)। রূপগঞ্জ ইনিংস ২৮৪/৬; ৫০ ওভার (নাঈম ১২৩, মোশাররফ ৬৭; রাহি ৩/৪৪)। ফল ॥ আবাহনী ৪৯ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ লিটন কুমার দাস (আবাহনী)। প্রাইম দোলেশ্বর-খেলাঘর ম্যাচÑ ফতুল্লা খেলাঘর ইনিংস ১৭৮/১০; ৪৫.৩ ওভার (অমিত ৭৩, সুরাজ ৪১; আরাফাত ৩/১৪, সিলভা ৩/২৯)। দোলেশ্বর ইনিংস ১৮১/০; ৩৩.১ ওভার (ইমতিয়াজ ১০৭*, মজিদ ৬৪*)। ফল ॥ দোলেশ্বর ১০ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ ইমতিয়াজ হোসেন (প্রাইম দোলেশ্বর)। পারটেক্স-ভিক্টোরিয়া ম্যাচÑ বিকেএসপি-৩ পারটেক্স ইনিংস ২৯৮/৯; ৫০ ওভার (ইরফান ৯৫, সাজ্জাদুল ৭৫; মাহবুবুল ৪/৬৬)। ভিক্টোরিয়া ইনিংস ২৯৯/৮; ৪৯.৩ ওভার (কার্তিক ৮৯, রুবেল ৭৩*; ইমরান ৪/৫৫)। ফল ॥ ভিক্টোরিয়া ২ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ অরুণ কার্তিক (ভিক্টোরিয়া)।
×