রেইন ট্রি হোটেলে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে ॥ তদন্ত কমিটি প্রধান

স্টাফ রিপোর্টার॥ বনানীর বহুল আলোচিত রেইন ট্রি হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় হোটেলটিতে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। আবাসিক হোটেলের সব ধরনের নিয়ম-কানুন লঙ্ঘন করেই এখানে সেই রাতে এমন ঘটনা ঘটে। শনিবার হোটেলটি পরিদর্শনের পর জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তদন্ত কমিটির প্রধান নজরুল ইসলাম এমন তথ্যই উপস্থাপন করেন সাংবাদিকদের সামনে। নজরুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে আমাদের প্রতীয়মান হয়েছে ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। যে কক্ষ দুটিতে ধর্ষণের ঘটনার অভিযোগ উঠেছে সেই কক্ষ দুটি আজ (শনিবার) বন্ধ ছিল। তবে আমরা বাইরে থেকে দেখেছি। হোটেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। আমরা আমাদের প্রতিবেদনে সব কিছু উল্লেখ করব। তিনি বলেন, বনানীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় একটি তথ্য অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটির কার্যপরিধির একটা অংশ হিসেবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলা, যে কক্ষে ধর্ষণের ঘটনার অভিযোগ তা আমরা পরিদর্শন করেছি, সিসিটিভি ক্যামেরা কোনটা কোথায় তা আমরা দেখেছি। সিকিউরিটি, ম্যানেজমেন্ট ও যারা খাবার পরিবেশন করেছেন এরকম ৮-৯ জন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছি। ভিকটিম ও অভিযুক্তরা এখানে এসেছিলেন। এখানে বুকিং দেয়া, কখন আসছিলেন, তা শুনেছি। হোটেল কর্তৃপক্ষ বলেছেন, তারা (অভিযুক্তরা) এখানে সাড়ে ৩টার দিকে এসেছিলেন। জন্মদিনের অনুষ্ঠানের কথা বলে অভিযুক্তরা গেস্টসহ এসেছিলেন বলে আমরা পূর্ণ বিবরণ পেয়েছি। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সম্পর্কে কোন তথ্য পেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, হোটেলে কর্তৃপক্ষ ২৮ দিনের বেশি সময়ের কোন সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ রাখেন না বলে আমাদের জানিয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, দুটি রুম তারা বুকিং দিয়েছেন। হোটেল কর্তৃপক্ষ তাদের মতো করে বলছেন যে, তারা হোটেলে ওই রাতে অস্বাভাবিক কিছু দেখেননি। আমরা সবটা পাওয়ার পর ও ভিকটিমদের সঙ্গে কথা বলার পর প্রতিবেদন দাখিল করব। নির্ধারিত ১৫ দিনের মধ্যেই প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। আকস্মিক পরিদর্শন শেষে আপনাদের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ কি জানতে চাইলে মানবাধিকার কমিশনের এ কর্মকর্তা বলেন, অনেক এজেন্সি তদন্ত করছে। শক্তিশালী মিডিয়ার কারণে অনেক তথ্য আমরা জেনেছি। প্রাথমিকভাবে আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে এখানে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। তবে এ বিষয়টি চূড়ান্তভাবে বলতে গেলে আমাদের আরও অনেকের সঙ্গে কথা বলা দরকার। ওই রাতে হোটেলে মদ্যপানের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে তারা পানীয় পরিবেশন করেছেন বলে দাবি করেছেন। তবে আমাদের বিস্তারিত মদের বিষয়ে কিছু বলেননি। ধর্ষণের ঘটনা যে কক্ষে ঘটেছে তা আমরা বাইরে থেকে পরিদর্শন করেছি।