ইংল্যান্ডে আইভিএফ পদ্ধতিতে জন্ম নেয়া শিশুকে নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতার কথা ব্যক্ত করেছেন তার মা। সেই মায়ের উপলব্ধি হলো, আমার ছেলে ও মেয়ে একই সময়ে আইকিয়া ক্রয়ডোন পদ্ধতিতে কনসিভ করেছিল। আইকিয়া ক্রয়ডোন হলো এমন একটি পদ্ধতি যাতে ডিম্বাণুকে ডিম্বাণু আকৃতি পাওয়ার আগে অপারেশন করে ভ্রƒণে স্থাপন করা হয়। তবে আমাদের ফার্টিলিটি ক্লিনিক কনসিভ করার তিনদিন পর মেয়েকে মায়ের গর্ভে স্থাপন করে। তবে তাদের ছেলেকে দু’বছরের জন্য হিমায়িত করে রাখা হয়। এখন সেই মেয়ের বয়স পাঁচ আর ছেলে তিন বছরের। কৌশলগতভাবে তারা যমজ। -গার্ডিয়ান।
মেয়ে যখন মা-বাবার সঙ্গে প্রথম ক্রিসমাস পালন করছে ছেলেটি দুটি বছর পার করে বিশেষ ধরনের ফ্রিজারে সংরক্ষিত থেকে। কিছুদিন পর শিশুটি ফ্রিজারটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে সেটি কোথায়? ফ্রিজারে তার সঙ্গে কি হয়েছে। তাকে জানানো হয়, সে সেখানে ফার্টিলিটি ডাক্তারের সহায়তায় থেকেছে। সে জিজ্ঞাসা করে, আমাকে কিসের মত দেখতে লাগত? আমি বুঝতাম, সে বরফের কিউবে কিভাবে ছোট শিশুর আকৃতি নিচ্ছে তা কল্পনা করছে। তার বাবা তাকে ব্যাখ্যা করল তুমি সেখানে এক ফোটা তরলের আকারে ছিলে।
হিমায়িত ফ্রিজারে দু’শ বা আরও বেশি কোষ নিয়ে ছিল। যার ভেতরে ছিল শিশুটি। আর বাইরের শেলটি হল প্লাসেনটা। সে বিস্মিত হয়ে পুনরাবৃত্তি করল একটি ফোটা। আমি কি সেখানে ঠা-া অনুভব করতাম। আমার কি চোখ ছিল? সম্প্রতি সে জানতে চায়, আমি কিভাবে মায়ের গর্ভে গেলাম? আমি কিভাবে সেখান থেকে বের হলাম? তার প্রশ্নের গুরুত্বের দিক থেকে কোন মূল্য নেই। একদিন সে জানতে পারবে কেন তার বোনকে আগে পৃথিবীতে আনা হয়েছে।