নিজস্ব সংবাদদাতা, কিশোরগঞ্জ, ২২ এপ্রিল ॥ করিমগঞ্জে প্রতিপক্ষের লোকজন এক মুক্তিযোদ্ধার ফিশারি দখলের চেষ্টা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার সকালে ফিশারি দখলের প্রতিবাদ করলে প্রতিপক্ষের সশস্ত্র আঘাতে একই উপজেলার কুর্শাখালি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ উদ্দিন ও তার তিন ছেলে গুরুতর আহত হয়েছে। বর্তমানে তারা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ উদ্দিন জানান, করিমগঞ্জের সাঁতারপুর গ্রামে ওই মুক্তিযোদ্ধার প্রায় আড়াই একরের একটি ফিশারি রয়েছে। এতে নজর পড়ে একই এলাকার মৃত আতিউর রহমান মন্তাজের ছেলে তাজুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলামের। ফলে এ নিয়ে ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে মোকদ্দমা করে সর্বোচ্চ আদালত পর্যন্ত হেরে যায় তারা। এরপরও শহরের ভাড়াটিয়া মস্তান নিয়ে তারা নানাভাবে অত্যাচার করে আসছিল ওই মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে। শনিবার সকালে আবারও তাজুল ও সাইফুলের নেতৃত্বে ২০/২৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মুক্তিযোদ্ধার ওই ফিশারিতে অতর্কিতে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ফিশারির গার্ডশেড ভাংচুর করে ফিশারিপারের শতাধিক গাছ কেটে ফেলে। এ সময় তারা ফিশারিতে জাল ফেলে প্রায় দুই লাখ টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রজাতির মাছ লুট করে। এতে মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ ও তার ছেলেরা বাধা দিলে তাদের দা দিয়ে কুপিয়ে ও আঘাত করে মারাত্মক জখম করে।
সাক্ষ্য দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধাকে কুপিয়ে জখম
স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ মোরেলগঞ্জের নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের গুলিশাখালী গ্রামে আবুল কাসেম গাজী নামে এক মুক্তিযোদ্ধাকে শুক্রবার রাতে বেপরোয়া কুপিয়ে ও পিটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তাকে গুরুতর আহতাবস্থায় মোরেলগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। একটি মামলায় সাক্ষী দেয়ার ‘অপরাধে’ চিহ্নিত দুর্বৃত্তরা তার ওপর হামলা চালায়। মোরেলগঞ্জ হাসপাতালের ডাক্তার কামাল হোসেন মুফতি জানান, গুরুতর আহত আবুল কাসেম গাজীর শরীরে প্রচুর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মাথায় কয়েকটি সেলাই দেয়া হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। থানার ওসি রাশেদুল আলম জানান, স্থানীয় বাবুল গাজী ও তার লোকজন মুক্তিযোদ্ধার ওপর হামলা করেছে। বাবুল গাজী একজন চিহ্নিত অপরাধী এবং চাঁদাবাজ বলেও ওসি উল্লেখ করেন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: