ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আইপিএল ॥ প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ সাকিবও

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ২৩ এপ্রিল ২০১৭

আইপিএল ॥ প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ সাকিবও

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আইপিএলে বাংলাদেশ ‘কাটার মাস্টার’ মুস্তাফিজুর রহমান প্রথম ম্যাচেই ব্যর্থ হয়েছেন। এরপর আর খেলারই সুযোগ পাননি। বাংলাদেশ অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানেরও একই দশা। তিনি খেলারই সুযোগ পাচ্ছিলেন না। যেই শুক্রবার খেলার সুযোগ পেলেন, তিনিও প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ হলেন। সাকিবকেও কী তাহলে বসিয়ে রাখা হবে? সেই প্রশ্ন উঠে গেছে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ শেষ করেই শ্রীলঙ্কা থেকে ভারতে চলে যান সাকিব। আশা আইপিএল খেলবেন। কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) হয়ে মাঠ মাতাবেন। কিন্তু কেকেআর ৫ ম্যাচ খেলে ফেলে। সাকিবকে আর নামায় না। শেষপর্যন্ত শুক্রবার রাতে গুজরাট লায়ন্সের বিপক্ষে একাদশে সুযোগ পান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেননি সাকিব। ব্যাট হাতে এক বল খেলেন। ইনিংসের শেষ বলটি। ১ বলে ১ রান নেন। অপরাজিত থাকেন। কিন্তু বল হাতে একেবারে জৌলুসহীন থাকেন। প্রথম ওভারেই সাকিবকে দিয়ে বল করানো হয়। ৯ রান দিয়ে দেন সাকিব। ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম ২ বাউন্ডারি হাঁকান। তৃতীয় ওভারের সময়ই নিজের দ্বিতীয় ওভার করেন তিনি। এবার আরও রান দিয়ে দেন। ১৪ রান দেন। কিন্তু কোন উইকেটের দেখা পান না। যখন দলের ষষ্ঠ ওভারের সময় সাকিব নিজের তৃতীয় ওভার করতে আসেন, তখন মনে হয় কিছু হতে পারে। কিন্তু এবারও ব্যর্থ সাকিব। ৮ রান দেন। আর সাকিবকে দিয়ে বলই করানো হয়নি। তিন ওভার বল করে ৩১ রান দিয়ে বসেন। কলকাতা দলটি নিয়ে সাকিবের অনেক আশা। দলটিতে বরাবরই ভাল খেলেন সাকিব। তাইতো কলকাতাকে দ্বিতীয় ঘরও বলেন তিনি। সাকিব বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি সবসময় বলি যে, কলকাতা আমার সেকেন্ড হোম। কলকাতার হয়ে খেলছি ছয় কি সাত বছর হতে চলল। আমরা একই ভাষায় কথা বলি। আমাদের সংস্কৃতি একই রকম। আবহাওয়াও প্রায় একই ধাঁচের। এরচেয়ে ভাল আর কিছু হতে পারে না। আমি যদি সড়কপথে বাড়ি (মাগুরা) যাই, তাহলে সেটাও খুব বেশি দূরে না। বড়জোর চার কি পাঁচ ঘণ্টা লাগে।’ এবং আইপিএল নিয়েও সাকিব জানান, ‘এখানকার পরিবেশ অত্যন্ত ভাল এবং এটি ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে বড় আসর।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘আগের থেকে আইপিএল আরও জনপ্রিয় হয়েছে। আগে মানুষ শুধু কেকেআরের খেলা দেখত এখন মুস্তাফিজ হায়দরাবাদে খেলায় সে খেলাগুলোও দেখছে এবং বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা বাইরের যে কোন দেশের আসরে খেলতে গেলে সমর্থন করছে। আইপিএলের আবহটাই অন্যরকম, ইন্টেনসিটি অনেক বেশি। ক্রিকেটীয় দৃষ্টিকোণ থেকে আসলে খুব একটা পার্থক্য নেই। সত্যি কথা হলো আমি এ রকম তুলনায় যেতে পছন্দ করি না। তবে যদি আসলেই তুলনায় যান, তাহলে আইপিএলকেই সবগুলোর মধ্যে সেরা বলতে হয়। নিঃসন্দেহে এই টুর্নামেন্টটা খেলতে সবারই আগ্রহ থাকে।’ আইপিএল শুরুর আগে কেকেআরের অফিসিয়াল টুইটার পেজে সাকিবকে নিয়ে লেখা হয়েছিল, ‘সাকিব আল হাসান শক্তিশালী খেলোয়াড় এবং তিনি কেকেআরের মেরুদ-।’ কিন্তু সেই মেরুদ-কেই কাজে লাগানো হয়নি এতদিন। যেই কাজে লাগানো হলো, সাকিবও দেখাতে পারলেন না ঝলক। মুস্তাফিজকে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এক ম্যাচ খেলিয়ে আর খেলায় না। এক ম্যাচে খেলতে নেমে মুস্তাফিজও খারাপ করেন। তাই আর খেলারই সুযোগ মিলেনি। তাই মুস্তাফিজ দেশে ফিরে আসছেন। হয়ত আর এবার আইপিএলেই খেলবেন না। দলের সঙ্গে ইংল্যান্ডের সাসেক্সে প্রস্তুতি ক্যাম্প করতে যাবেন। তাহলে কী সাকিবও সেই পথ ধরবেন? জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার, ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ হার্শা ভোগলে তো তাই মজা করেই সাকিবকে প্রশ্ন করেছেন, আপনি তো তাহলে বাড়ি গিয়ে ঘুমিয়ে আসতে পারেন... হা হা...।’ সাকিবের জবাব ছিল এমন, ‘আমি এটা গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকবার করেছিও। একটা ব্রেক লাগলেই এখান থেকে দেশে সকালের ফ্লাইটে চলে যাওয়া যায়। আবার সন্ধ্যার ফ্লাইটে চলে আসা যায়। সত্যি এটা মজার বিষয়।’ দেখা যাক, এখন সাকিব কী করেন। প্রথম ম্যাচেই ব্যর্থ হওয়া সাকিবকে কেকেআরও কতটা কাজে লাগায়।
×