ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পশ্চিম তীরে জৈব জ্বালানির দিকে ঝুঁকছে ফিলিস্তিনীরা

প্রকাশিত: ০৭:০১, ২২ এপ্রিল ২০১৭

পশ্চিম তীরে জৈব জ্বালানির দিকে ঝুঁকছে ফিলিস্তিনীরা

বিভিন্ন উপায় থেকে বিদ্যুত উৎপাদন হয়ে থাকে। কিন্তু এবার ফিলিস্তিনে গরুর গোবর থেকে বিদ্যুত উৎপাদন করা হয়েছে। দেশটির কামাল আল-জেব্রিনির পরিবার গরুর গোবর থেকে বিদ্যুত উৎপন্ন করে দেখিয়েছে। খবর এএফপির। এই পরিবারটি বিদ্যুত উৎপাদন করতে গরুর বর্জ্য পুনঃপ্রক্রিয়াজাত শুরু করেছে। ফিলিস্তিনের সবচেয়ে বড় ডেইরি প্লান্টসের মধ্যে একটির জন্য বিদ্যুত উৎপাদন করছে। বিদেশে ভ্রমণকালীন তারা এই ধারণা আবিষ্কার করেছে এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছে গরুর গোবর থেকেই করবে। অন্যথায় প্রতিবেশী কৃষকদের ব্যবহার করা কিছু সার আলাদা করে তা রোদে গলিয়ে বিদ্যুত উৎপাদন করবে। জেব্রিনি বলেছেন, যখন আমরা এটা থেকে বিদ্যুত উৎপাদন করতে পেরেছি তখন পরিবেশের ওপর প্রভাব এবং সব সার নষ্ট হবে এটা মেনে নিতে খুব লজ্জাবোধ করছিল। ভাইয়ের সঙ্গে তার এক হাজার গরুর বড় একটি খামার আছে। গোদোহনের একটি কক্ষ পরিদর্শনের পর তিনি এ কথা বলেন। সেখানে শ্রমিকরা গরুর জগদ্দল দেখাশোনা করেন। ফিলিস্তিনী অঞ্চলে অধিকৃত পশ্চিম তীরে এ ধরনের প্রকল্প এটাই প্রথম। যেখানে সাধারণত সৌর প্যানেলে নবায়নযোগ্য বিদ্যুত উৎপাদন হয়ে থাকে। ওই পরিবারটি হেব্রনের পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ মাহের মাগালসের কাছে গিয়েছে। পশ্চিম তীরের দক্ষিণে ফিলিস্তিনের এই প্রধান শহরটি অবস্থিত। যা ৫০ বছর ধরে ইসরাইলের দখলে আছে। মাগালসে এই প্রকল্পটিকে উন্নয়নের জন্য জার্মানি থেকে একটি বড় উৎপাদন যন্ত্র ও কয়েকজন ইঞ্জিনিয়ারদের এনেছিলেন, যা গরুর গোবরে তাপ দিয়ে তা থেকে বায়োগ্যাস ও মিথেন উৎপাদন করা হয়। সবশেষে তা থেকে বিদ্যুত উৎপাদন হয়। এখন তিনি গর্বের সঙ্গে খামারে দুটি টাওয়ার দেখান। যেখানে সার ও বায়োগ্যাস জমা থাকে। যা পরে ঠা-া ও বিদ্যুতে রূপান্তরিত হয়। দুই ঘণ্টায় ৩৮০ কিলোওয়াট উৎপন্ন করতে জেব্রিনির গরুর ৩০ টন গোবর থেকে বিদ্যুত উৎপাদন করা হয়। জেব্রিনি বলেছেন, তার কোম্পানির জন্য খুব বেশি বিদ্যুত বিল দিতে হবে না এটাই যথেষ্ট। এই কোম্পানি পশ্চিম তীর ও জেরুজালেমের সর্বত্র দুধ, দই ও অন্যান্য দুগ্ধজাত পণ্য বিক্রি করে। এমনকি তিনি স্থানীয় কোম্পানিতে বিদ্যুত উৎপাদন করতে পারবেন। পশ্চিম তীরে বিদ্যুত উৎপাদনের কোন মেশিন নেই। ইসরাইল থেকে কেনা ৫.৩ গিগাওয়াট বিদ্যুতের ৯০ শতাংশ ব্যয় হয়। নির্দিষ্ট অঞ্চলের জন্য ফিলিস্তিনী কর্তৃপক্ষ অথবা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বিদ্যুত বিল দিয়ে থাকে। যখন ফিলিস্তিন বিল অপরিশোধিত রাখে তখন ইসরাইল ওই অঞ্চলগুলোর বিদ্যুত লাইন কেটে দেয়। মাগালসে বলেন, পরবর্তী পর্যায়ে আমরা কয়েক ঘণ্টায় ৬৫০ কিলোওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন করতে আরেকটি মেশিন ব্যবহার করতে যাচ্ছি এবং দীর্ঘমেয়াদির পর আমরা ঘণ্টায় এক মেগাওয়াটে পৌঁছাব। আমরা দুইশ’ থেকে তিনশ’ বাড়িতে বিদ্যুত সরবরাহ করতে পারব।
×