ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

ড. আনু মাহ্মুদ

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর সহযোগিতায় নতুন দিগন্ত

প্রকাশিত: ০৪:১৫, ১৯ এপ্রিল ২০১৭

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর সহযোগিতায় নতুন দিগন্ত

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ২২টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় তাঁর ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে দিল্লীর হায়দ্রাবাদ হাউসে এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। বহুল আলোচিত প্রতিরক্ষা সহযোগিতাবিষয়ক তিনটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এছাড়া প্রতিরক্ষা ঋণ সহায়তাবিষয়ক একটি সমঝোতা স্মারকও স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ নিয়ে প্রতিরক্ষাবিষয়ক সমঝোতা স্মারকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চারটি। এছাড়া আর যেসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে তার মধ্যে মহাকাশের শান্তিপূর্ণ ব্যবহার, আণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার, পরমাণু নিরাপত্তা, পরমাণু বিদ্যুতকেন্দ্র, তথ্যপ্রযুক্তি, যোগাযোগ প্রযুক্তি, বিচারিত ক্ষেত্রে সহযোগিতা ও বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ, নৃ-বিদ্যা ও ভূবিদ্যা বিষয়ে সহযোগিতা, গণমাধ্যম ক্ষেত্রে সহযোগিতা, বর্ডার হাট, ট্রেন ও মোটরযান চলাচল ইত্যাদি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। প্রতিরক্ষা সহযোগিতাবিষয়ক চুক্তি বা সমঝোতা নিয়ে ইতোমধ্যে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এবারের ভারত সফর নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। তবে এটাও সত্য, সফরে বহুল প্রত্যাশিত অন্তত তিনটি ইস্যুর কোন সুরাহা হয়নি। এগুলোর মধ্যে প্রধান হচ্ছে তিস্তা চুক্তি। এছাড়া সীমান্ত হত্যা বন্ধ ও পাটপণ্যের ওপর এ্যান্টি ডাম্পিং ডিউটি প্রত্যাহার বিষয়েও দেশবাসীর সুনির্দিষ্ট প্রত্যাশা ছিল। তিস্তা চুক্তি যে এবার হচ্ছে না, আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের আগেই তা ঘোষণা করেছিল উভয়পক্ষ। তবে চুক্তি না হলেও এ বিষয়ে একটি সময়সীমা নির্ধারিত হওয়াটা নিশ্চয়ই বাঞ্ছনীয় ছিল। আনুষ্ঠানিক বৈঠকে তিস্তা চুক্তি সম্পাদনের কোন সময়সীমা নির্ধারিত না হওয়ার বিষয়টি নিঃসন্দেহে দুঃখজনক। বস্তুত তিস্তা চুক্তি প্রশ্নে আমরা ‘মোদি ম্যাজিক’ দেখার অপেক্ষায় ছিলাম। বলা হয়েছিল, তিস্তা প্রশ্নে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর সম্মতি না পাওয়া গেলে একটা নির্ধারিত সময়ের পর তাকে বাদ দিয়েই চুক্তিসই করতে পারে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু তা হয়নি। বরং মমতা ব্যানার্জী সবাইকে হতবাক করে তিস্তার বিকল্প অনুসন্ধান করছেন এবং সেটা দীর্ঘ ৬ বছর ধরে তিস্তা চুক্তি ঝুলিয়ে রাখার পর। তার প্রস্তাবে রয়েছে, ‘উত্তরবঙ্গে তোর্সা, জলঢাকাসহ চারটি নদী আছে। সেখানে পানি আছে। ফলে তিস্তার বিকল্প হিসেবে এই চারটি নদীর পানি ব্যবহার করা যেতে পারে। ‘প্রশ্ন হলো, এ চার নদী কি তিস্তার পরিপূরক? যদি তাই হতো, তাহলে নিশ্চয়ই আমরা এতদিন ‘তিস্তা-তিস্তা’ করে মাথা কুটতাম না! ২০১১ সালে তিস্তার পানিবণ্টন নিয়ে চুক্তি স্বাক্ষরের সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হলেও শেষ পর্যন্ত মমতা ব্যানার্জীর আপত্তির মুখে তা আটকে যায়। তিস্তা চুক্তি নিয়ে অনেক ঢাকঢোল পেটানো হলেও আওয়ামী লীগ সরকারের আগের মেয়াদে বাংলাদেশ সফরে আসা ভারতের তখনকার প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং পানিবণ্টন চুক্তি করতে ব্যর্থ হন। বলার অপেক্ষা রাখে না, বাংলাদেশের জন্য তিস্তাসহ ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়, সীমান্ত হত্যা বন্ধ ও বাণিজ্য বাধা অপসারণ গুরুত্বপূর্ণ। ভারত-বাংলাদেশের রক্তের সম্পর্ক বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে এবার রাষ্ট্রপতি ভবনে আতিথেয়তা দেয়া হয়েছে, যা নজিরবিহীন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে প্রটোকল ভেঙ্গে বরণ করে নিতে বিমানবন্দরে উপস্থিত হন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের প্রেসিডেন্টের ভারত সফরের সময় এই সম্মান পান। এবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও পেলেন সেই বিরল সম্মান। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তিস্তা চুক্তির পথে এগিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিতে সমর্থন দিয়েছে ভারত। দুই দেশের শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠকের পর চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী তৃতীয় লাইন অব ক্রেডিটের আওতায় বাংলাদেশকে সাড়ে ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দেবে ভারত। সামরিক কেনাকাটায় দেবে আরও ৫০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ। চুক্তি হয়েছে ৩৬টি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনে। আরও কিছু সীমান্ত হাট চালু করতে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। কলকাতা-খুলনা-ঢাকা বাস চলাচল, খুলনা-কলকাতা ট্রেন চলাচল ও রাধিকাপুর-বিরল রেললাইন উদ্বোধন হয়েছে। এ ছাড়া আরও বিদ্যুত বাংলাদেশকে দেবে ভারত। বলা যায়, নিকট প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আগের যেকোন সময়ের তুলনায় ভাল। নতুন করে সাড়ে ৪০০ কোটি ডলারের যে ঋণচুক্তি হয়েছে তা ব্যবহৃত হবে দেশের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে। গত ক’বছর আগে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সফরের সময় ১০০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি হয়েছিল। নেয়া হয়েছিল ১৫টি উন্নয়ন প্রকল্প। এসব প্রকল্পের আটটি এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরকালে ২০০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তিতে নেয়া প্রকল্পগুলোও বাস্তবায়নের পথে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের রক্তের সম্পর্ক। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে ভারত সহায়তা করেছে। এ দেশের মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে। ভারতের সেনাবাহিনীর সদস্যরা যুদ্ধে প্রাণ দিয়েছেন। কাজেই এ সম্পর্ক আগামী দিনে নিঃসন্দেহে আরও উচ্চমাত্রায় পৌঁছবে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর এবারের সফরে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কে যে উষ্ণতা প্রকাশ পেয়েছে, তার ভিত্তিতে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তিও দ্রুত হয়ে যাবে বলে আমাদের বিশ্বাস। দুই দেশের সম্পর্ক আরও গতিশীল হবে সম্পর্ক অতীতের তুলনায় অনেক বলে অপেক্ষা রাখে না, বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক আজ অতীতের যে কোন সময়ের তুলনায় ভাল। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার পাশাপাশি কানেক্টিভিটি, শিপিং, নদী খননসহ বহু বিস্তৃত ক্ষেত্রে এ সহযোগিতা সম্প্রসারণ হচ্ছে। এতে দুই দেশই উপকৃত হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর এ সফরে দুই দেশের সম্পর্ক আরও গতিশীল হবে। ভারত বাংলাদেশের নিকটতম প্রতিবেশী। নিকটতম প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কের বিষয়টি আরও তাৎপর্যপূর্ণ। এরই মধ্যে দুই দেশের মধ্যকার স্থলসীমান্ত ও সমুদ্রসীমা বিরোধের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি হয়েছে, যা পুরো বিশ্বের কাছে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এদিকে ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্ট প্রশ্নে ভারতের প্রত্যাশা পূরণে যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ। এর ধারাবাহিকতায় বহুল আকাক্সিক্ষত পানি বণ্টন ইস্যু বিশেষ করে তিস্তা নদীর পানি ব্যবহারের বিষয়টি নিষ্পত্তি হওয়া উচিত। লক্ষণীয়, ২০১১ সালে তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে চুক্তি স্বাক্ষরের সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার পরও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর আপত্তির মুখে তা আটকে যায়। ভারতের কাছে বাংলাদেশের জন্মের ঋণ রয়েছে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে দেশটির অবদান অনস্বীকার্য। এ কথা মাথায় রেখে বাংলাদেশ সব সময়ই ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে উৎসাহী। তাই সমঅংশীদারিত্বমূলক মনোভাব নিয়ে সবকিছু বিচার করলে অনেক সমস্যার সুরাহা এমনিতেই সহজ হয়। বন্ধুত্বের সোনালি যুগের অধ্যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যদিও বলেছেন, হাসিনা-মোদি আমলেই তিস্তা চুক্তি হবে। মোদির আন্তরিকতায় আমাদের সন্দেহ নেই। যেমন সন্দেহ ছিল না তার পূর্বসূরি মনমোহনের আন্তরিকতা নিয়েও। তবে তিস্তা চুক্তিই হোক আর গঙ্গা ব্যারাজ ইস্যুই হোক সেটা স্পষ্টতই পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর মেজাজ-মর্জির ওপর নির্ভরশীল। আঞ্চলিক কূটনীতি বা দু’দেশের পারস্পরিক সমঝোতা-সহযোগিতার বিষয়টি তিনি অতীতে আমল দেননি। তাকে সব সময় উল্টোপথে চলতেই আগ্রহী মনে হয়েছে। মনমোহন সরকার তার জন্য ২০১১ সালে ঢাকা সফরে এসে বিব্রত হয়েছিলেন। অনেক সতর্ক অবস্থায় নিয়ে মোদি তিস্তা চুক্তি করার জোরালো আশ্বাস দিয়েছেন। অন্যদিকে মমতা তিস্তার বিকল্প হাজির করেছেন। তারপরও আমরা আশা করতে চাই, তিস্তা ইস্যুতে তিনি এক সময় বাংলাদেশের ন্যায্য পাওনার বিষয়টি অনুধাবন করবেন। একথা সত্য যে, বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি এখনও অনেক বেশি। তবে আশার কথা, পাট রফতানির ক্ষেত্রে এ্যান্টি ডাম্পিং করারোপের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছে ভারত। তৃতীয় ঋণ চুক্তির আওতায় বাংলাদেশকে ৪ বিলিয়ন ডলার দেবে দেশটি। এর আগে দুই দফায় ৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ ঋণ দিয়েছে। দু’দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা স্মারক সই হয়েছে। যদিও বিএনপি এর বিরোধিতা করে আসছে। তবে তাদের বিরোধিতাকে মনে হয়েছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। নতুন কিছু ক্ষেত্র নিয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করার কথা বলেছেন হাসিনা-মোদি। পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার, মহাকাশ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রভৃতি ক্ষেত্রে আশাবাদী হওয়ার মতো বিষয় রয়েছে। হাসিনার সফরকে দুই দেশের বন্ধুত্বের আরেকটি সোনালি যুগের অধ্যায় বলে মন্তব্য করেছেন মোদি। প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে তিনি তার সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন। শেখ হাসিনা আশা করছেন, অমীমাংসিত ইস্যু সমাধান দ্রুতই ভারতের সহযোগিতা মিলবে। আমরাও আশাবাদী হতে চাই। আমরা বলতে চাই, কিছু অপ্রাপ্ত থাকলেও প্রধানমন্ত্রীর সফরে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক সঠিক পথেই অগ্রসর হচ্ছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর উষ্ণ অভ্যর্থনা আমাদের মনোযোগ কেড়েছে। ভারত দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক শক্তিসম্পন্ন একটি দেশ। বাংলাদেশও নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে মধ্যমে আয়ের দেশের মহাসড়কে হাঁটছে। জাতিসংঘ, বিশ্বব্যাংকসহ আন্তর্জাতিক নানা সংস্থা বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উন্নয়নকে ইতিবাচক হিসেবে দেখে আসছে। বিশ্বের কোন কোন দেশ বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবেও গ্রহণ করেছে। এসবই বাংলাদেশের অনন্য অর্জন। বলার অপেক্ষা রাখে না, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী পরিকল্পনা গ্রহণ ও তার সুষ্ঠু বাস্তবায়নের মধ্য দিয়েই দেশ এগিয়ে চলছে। স্মর্তব্য যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের অবদান চিরস্মরণীয়। বাংলাদেশ তা মনে রেখে, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে বিশ্বাসী। ভারতকে নানাভাবে সহযোগিতা প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশ তা স্বীকারও করে আসছে। এরপরও দু’দেশের সম্পর্কে কিছু বিষয় নিয়ে জটিলতা রয়েই গেছে। উভয় দেশ আরও আন্তরিক হলে এসব জটিলতা কাটিয়ে ওঠা অসম্ভব নয়। এতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে যে অপপ্রচার চলে মাঝেমধ্যে, তাও স্তিমিত হতো বলে আশা করা দোষের নয়। পরস্পর বন্ধুপ্রতিম দুটি দেশের মধ্যকার সম্পর্ক নিয়ে কোন দেশের সরকাবিরোধী গোষ্ঠী অপপ্রচারে লিপ্ত হলে তা এক ধরনের ভ্রান্ত সৃষ্টি করে বৈকি। এবারের চুক্তি ও সমঝোতা নিয়েও ইতোমধ্যে নানা কথা শোনা যাচ্ছে। এ ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে চুক্তি ও স্মারকগুলো প্রকাশ করে, এসবের যোগ্য জবাব দিতে পারে বলেও আমরা মনি করি। চলবে... লেখক : শিক্ষাবিদ ও গবেষক
×