ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নিউইয়র্ক টাইমসের বিশ্লেষণ

মুখ খুলছেন না ট্রাম্প ॥ সিরিয়া ইস্যু

প্রকাশিত: ০৪:৪০, ১২ এপ্রিল ২০১৭

মুখ খুলছেন না ট্রাম্প ॥ সিরিয়া ইস্যু

ডোলান্ড ট্রাম্প সিরিয়ার বিরুদ্ধে রাসায়নিক হামলার প্রতিশোধে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার নির্দেশ দেয়ার পর থেকে তার প্রশাসনের পরিবর্তিত সিরিয়া কৌশলের পক্ষে সোচ্চার রয়েছে ব্যাপকভাবে এবং ট্রাম্পের এ নীতি ব্যাখ্যার চেষ্টা চালাচ্ছেন প্রশাসনের অনেকেই। কিন্তু এ বিষয়ে কিছু বলছেন না কেবল একজন এবং তিনি হচ্ছেন ট্রাম্প। অনেক কর্মকর্তা বিষয়টাকে এই বলে উল্লেখ করছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র দেশটিতে তখনই কেবল হস্তক্ষেপ করবে যখন রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করা হবে অথবা যখনই নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করা হবে। এ ধরনের হস্তক্ষেপেই প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ ক্ষমতাচ্যুত হবেন অথবা তা চলবে ইসলামিক স্টেট (আইএস) গ্রুপকে পরাজিত করার পর। সিরিয়ায় আমেরিকার জাতীয় স্বার্থ হচ্ছে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই অথবা সেখানে মানবিক সঙ্কটের নিরসন অথবা স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা। ওয়াশিংটন ও ইউরোপে সোমবার সাম্প্রতিকতম মিশ্র বার্তাটি পাঠানো হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স ডব্লিউ টিলারসন গত সপ্তাহের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় রুশ ক্ষোভকে নাটকীয়ভাবে হস্তক্ষেপকারী উদ্যোগ বলে উল্লেখ করেন। তিনি এ উত্তেজনাকর মুহূর্তে মস্কো সফরে যাওয়ার পথে ইতালিতে যাত্রা বিরতিকালে একথা বলেন। তিনি বলেন, পৃথিবীতে যে কোন স্থানে নিরপরাধ মানুষের বিরুদ্ধে যারা অপরাধ সংঘটিত করবে তাদের যে কাউকে এবং সবাইকে জবাবদিহীতার জন্য আমাদের নিজেদের পুনঃউৎসর্গ করছি। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি শন স্পাইসার কয়েক ঘণ্টা পরে তার দৈনিক ব্রিফিংয়ে বলেছেন যে, গত সপ্তাহে ব্যবহৃত ‘স্যারিন স্নায়ু গ্যাসের মতো শুধু রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করলেই সিরিয়ার বিরুদ্ধে ট্রাম্প পদক্ষেপ নেবেন না, পদক্ষেপ নেবেন তিনি দেশটি প্রথাগত অস্ত্র ব্যবহার করলেও। তিনি বলেন, কেউ একটি শিশুর ওপর গ্যাস হামলা যদি চালায়। কেউ নিরপরাধ মানুষের ওপর ব্যারেল বোমা হামলা চালায় তাহলে তিনি প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে জবাব পাবেন বলে আমি মনে করি। ট্রাম্প সিরিয়ায় ব্যারেল বোমা হামলা বা যে কোন স্থানে যে কোন মানবাধিকারের অপব্যবহারের বিরুদ্ধে জবাব দিয়ে আমেরিকান নেতৃত্বের জন্য বয়ে আনবেন এক সুদূরপ্রসারী মান। বিশ্লেষকরা বলেছেন, টিলারসন বা স্পাইসার যা বলছেন তার সম্ভাব্য সুদূরপ্রসারী পরিণতি পুরোপুরি বুঝতে পারছেন না সম্ভবত কেউই। বিস্ফোরকপূর্ণ তেলের ড্রাম সদৃশ ব্যারেল বোমা সিরীয় গৃহযুদ্ধে নিয়মিত ব্যবহার করা হচ্ছে। মানবাধিকার বিষয়ক সিরীয় নেটওয়ার্ক বলেছে, সরকার কেবল মার্চেই ৪শ’ ৯৫ ব্যারেল বোমা ফেলেছে এবং ২০১৬ সালে ফেলেছে ১২ হাজার ৯শ’ ৫৮টি। Ñনিউইয়র্ক টাইমস।
×