ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

পাহাড়ে প্রধান উৎসব বৈসাবি শুরু

প্রকাশিত: ০৫:০২, ১০ এপ্রিল ২০১৭

পাহাড়ে প্রধান উৎসব বৈসাবি শুরু

নিজস্ব সংবাদদাতা, রাঙ্গামাটি, ৯ এপ্রিল ॥ পাহাড়ে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসাবি। এ উৎসবকে ঘিরে শহর থেকে পাহাড়ের চূড়ার জুম ঘর পর্যন্ত শুরু হয়েছে নানা আয়োজন। পাহাড়ের ১১টি জাতি গোষ্ঠী অনাদিকাল থেকে ঘটা করে এ উৎসব পালন করে আসছে। বাংলা চৈত্র মাসের শেষের আগের দিন, শেষদিন ও পহেলা বৈশাখের দিন এ উৎসব পালন করে। চাকমারা এ উৎসবকে বলে বিজু, মারমারা বলে সাংগ্রাই, ত্রিপুরারা বলে বৈসুক ও তংচঙ্গারা বলে বিষু। তিনদিনের এ উৎসবের প্রথমদিনকে বলে ফুলবিজু এ দিন চাকমা ও ত্রিপুরা মেয়েরা নদীর জলে ফুল ভাসিয়ে তাদের ঐতিহ্যবাহী ফুলবিজু উৎসব শুরু করে। চৈত্র মাসের শেষ দিনকে বলে মূলবিজু। এ দিন পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের লোকেরা ঘরদোর পরিষ্কার করে ঘরে ঘরে সুস্বাদু পাচন রান্না করে। এ উৎসবে পাহাড়ী বাঙালী সকল নারী-পুরুষ দল বেঁধে একের ঘরে অপর গিয়ে পাচন খেয়ে আসে এবং বয়োজ্যেষ্ঠকে প্রণাম করে। পরের দিনকে গজ্যাপজ্যা বলে এ দিন সবাই গল্পগুজব করে আরাম করে। মূলত তিনদিনের এ উৎসব হলেও তিন পার্বত্য জেলায় এ উৎসব চলে পক্ষকালব্যাপী। রাঙ্গামাটিতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী মাঠে ৬ এপ্রিল থেকে তিন দিনের বৈসাবি মেলা করেছে রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ। পাহাড়ের চিত্র শিল্পীরা শিল্পকলা একাডেমিতে ৭তম চিত্রশিল্প প্রদর্শন করেছে ৭ এপ্রিল থেকে। এছাড়া এ উপলক্ষে পাহাড়ে প্রতিদিন খেলাধুলা, নাটক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে। ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের মতে গঙ্গাদেবির উদ্দেশ্যে ফুল ভাসিয়ে পুরোনো বছরের সব দুঃখ গানি মুছে দেয়া হয়। ত্রিপুরা সম্প্রদায় এ দিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এছাড়াও সকাল থেকে তাদের গৃহিণীরা নিমপাতা ও রং-বেরঙের ফুল দিয়ে ঘর সাজানো শুরু করে। দিনভর চলবে নানা আনুষ্ঠানিকতা ও অতিথি আপ্যায়ন।
×