ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

জীবন-সম্পদ রক্ষায় নিজেরাই নির্মাণ করছেন বাঁধ

প্রকাশিত: ০৪:১৫, ৯ এপ্রিল ২০১৭

জীবন-সম্পদ রক্ষায় নিজেরাই নির্মাণ করছেন বাঁধ

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ৮ এপ্রিল ॥ এনজিও, জিও কিংবা কোন দাতা সংস্থা এগিয়ে আসেনি। অবশেষে নিজরাই নিজেদের বাঁচাতে, নিজের মাঠের ফসল, সম্পদ রক্ষায় নিজেরাই নির্মাণ শুরু করেছেন বেড়িবাঁধ। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধটি মেরামত কিংবা বিকল্প বাঁধ নির্মাণে বহু ধর্ণা দিয়েছেন ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের রমজানপুরের মানুষ। দশটি বছরে হেন কোন দরজা নেই যেখানে না ঘুরেছেন। এখন কয়েকশ’ নারী-পুরুষ বাঁধটি নির্মাণ করছেন। কবে নাগাদ এর মজুরি পাবেন তাও জানেন না এসব মানুষ। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড পরবর্তীতে জরুরী মেরামতের বরাদ্দ থেকে মানুষের পরিশ্রমের টাকা শোধ দেবেন বলে তাদের দাবি। তিন দিন আগে এসব মানুষ বিধ্বস্ত বাঁধটির নির্মাণ কাজে নেমেছেন। অন্তত মাঠের ফসল রক্ষায় প্রায় ২০০ ফুট বাঁধ নির্মাণ করছেন তারা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৪৭/২নং পোল্ডারে রমজানপুরে বেড়িবাঁধটি না থাকায় প্রায় ত্রিশ হাজার মানুষের জলোচ্ছ্বাস আতঙ্কে রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। কৃষিকাজ বন্ধের উপক্রম হয়েছে। শুধু তাই নয়, জীবন-জীবিকাসহ আশ্রয়স্থল হারানোর শঙ্কায় পড়েছেন তারা। আবাদি জমিসহ ঘরবাড়ি রক্ষায় নিজেরাই কোমর বেঁধে নেমেছেন বাঁধ নির্মাণে। ওই এলাকার প্রায় তিন শ’ একর কৃষি জমি আগেই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এখন বাড়িঘর বিলীনের শঙ্কায় মানুষ। বাঁধের ভাঙ্গা অংশ দিয়ে জলোচ্ছ্বাসের ঝাপটা কিংবা অস্বাভাবিক জোয়ার যেন হামলে পড়তে না পারে এ জন্যই এ মানুষগুলো নিজেরাই বাঁধ নির্মাণে নেমেছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কলাপাড়া জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়ের জানান, ডালবুগঞ্জের ৪৭/২নং পোল্ডারের বেড়িবাঁধটি সম্প্রতি বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধি দল পরিদর্শন করেছেন। তাদের নির্দেশনায় বাঁধটি জরুরীভিত্তিতে করা হচ্ছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে সবার মজুরি পরিশোধ করা হবে। তবে ঠিকাদার আসলে প্রায় ৭০০ মিটার বাঁধ মেরামত করা হবে।
×