ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সর্বত্র বর্জ্য!;###;সাহিদা সাম্য লীনা

সমাজ ভাবনা ॥ বিষয় ॥ এত্তা জঞ্জাল!

প্রকাশিত: ০৪:০৭, ৬ এপ্রিল ২০১৭

সমাজ ভাবনা ॥ বিষয় ॥ এত্তা জঞ্জাল!

মাটির সোঁদা গন্ধ আমাদের পূর্বপুরুষদের মনে প্রফুল্ল জাগাত। প্রকৃতির অকৃ্িত্রম মায়ায় তারা গ্রাম ছেড়ে কখনও কোথাও থাকতে পারত না। মা-মাটির গন্ধের টানে থাকে এক অবিরাম আকুলতা। নগরে এমন হিজিবিজি আর দুর্গন্ধ দেখে তারাও অবাক হতেন! দিনকে দিন সেই নগর আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে। অনেকে প্রয়োজনে গ্রাম ছেড়েছে বটে। কিন্তু নগর পরিকল্পনায় সেই মাটির সুভাস কবেই হারিয়েছে বাঙালী তাও ভুলেছে কবে যেন। এমনি এক অবস্থা আজ চতুর্দিকে! কেননা, যে আবর্জনার স্তূপের পাশে নগরবাসীর নিত্য চলাচল তা যে ভয়ানক কষ্টের তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। রাজধানী থেকে শুরু করে দেশের সর্বত্র এই বর্জ্য নিবারণের ব্যবস্থাপনা রয়েছে। রাজধানীতে সিটি কর্পোরেশন এবং মফস্বলে পৌরসভা কর্তৃক এসব আবর্জনা ও পয়ঃনিষ্কাশনের জন্য ব্যবস্থাপনা থাকা সত্ত্বেও তা যথাযথ কার্যকর হয় না। নগরের আনাচে-কানাচে অলিগলিতে বর্জ্য ফেলার নাম মাত্র ভাগাড়খানা। যে ভাগাড়খানা এতই সীমিত যে লক্ষ্য মানুষের নিত্য ফেলা ময়লা ফেলে তা অবশেষে উপচে রাস্তা দখল করে। যেহেতু চলাচলের রাস্তার কোণে এই ভাগাড়ের স্থান তাই গন্ধ নাকে আসাটা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু চরম একটা গন্ধ এবং অযাচিত দৃশ্য না দেখার জন্য কাপড় মুখে দিয়ে আপাতত নিজেকে যেন বাঁচানো বৈ কিছু নয়। সেই রবিঠাকুরের আমার ছেলেবেলা প্রবন্ধের চাকর ব্রজেস্বর যেমন গোসল সেরে এমন ভঙ্গিমায় হাঁটতেন যেন কোনভাবে বিধাতার নোংরা পৃথিবীটা পাশ কাটাতে পারলে তার জাত বাঁচে। ঠিক এখনকার জনসাধারণের এমনি অবস্থা। তবে এসব নোংরা আবর্জনা মানুষেরই সৃষ্টি। কিন্তু এমন হবে কেন? এই শহর আমার, আপনার, সকলের। নগরে বাড়ির মালিকও এই ব্যাপারে মুখ্য ভূমিকা নিতে পারেন। শুধু ভাগাড়খানা পর্যন্ত তাদের দেখাশোনা। কিন্তু সেটার নাকাল দুর্দশা শীঘ্রই সরানোর জন্য তাদের উদ্যোগ যথাসময়ে আসে না। কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা ও চাপ প্রয়োগ করতে পারেন বাড়ির মালিকগণ। পয়ঃনিষ্কাশন ও আবর্জনা নিয়ে জীবনযাত্রা অব্যাহত থাকলে নানাবিধ রোগ ছড়াতে পারে। বিষাক্ত ও দুর্বিষহ জীবন কারও কাম্য নয়। সুন্দর নগরী ও সুস্বাস্থ্য সকলের রক্ষা করা উচিত। পশ্চিম উকিলপাড়া, ফেনী থেকে
×