ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

এসপির জরুরী প্রেস ব্রিফিং

হবিগঞ্জে যে কোন সময় জঙ্গী হামলার আশঙ্কা

প্রকাশিত: ০৫:৪২, ৩ এপ্রিল ২০১৭

হবিগঞ্জে যে কোন  সময় জঙ্গী হামলার আশঙ্কা

নিজস্ব সংবাদদাতা, হবিগঞ্জ, ২ এপ্রিল ॥ সিলেট বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জেলা হবিগঞ্জের যে কোন স্থাপনা বা ব্যক্তির ওপর বড় ধরনের জঙ্গী হামলার আশঙ্কা করে তা প্রতিরোধে পুলিশের প্রস্তুতি এবং জনসচেতনতা সৃষ্টিতে ভাড়াটিয়াদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন এসপি জয়দেব কুমার ভদ্র। রবিবার এসপি তার কার্যালয়ের সভা কক্ষে এক জরুরী প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, জঙ্গীরা যেহেতু পুলিশের বিশেষ বাহিনী ও সেনা সদস্যদের কাছে পর্যুদস্ত হচ্ছে,তাই ওরা এখন মরিয়া হয়ে উঠবে। তারা এখন এমনটাই ভাবতে পারে যে, ঘরে বসেও আমরা যেহেতু সঠিক সময়ের অপেক্ষা করে পার পাচ্ছি না বরং একের পর এক মৃত্যুবরণ করতে হচ্ছে, তাই আমরা এখন প্রকাশ্যেই আত্মঘাতী হামলা চালাব। এ ক্ষেত্রে এ জঙ্গীরা সিগন্যাল পেলেই যে কোন জেলার যে কোন স্থানে এ্যাটাক করতে পারে। জয়দেব কুমার ভদ্র বলেন, হবিগঞ্জে রয়েছে বিস্তীর্ণ পাহাড়ী এলাকা, গ্যাস ক্ষেত্র, বিদ্যুত উৎপাদন কেন্দ্র ও বিদেশীদের পদচারণার মতো নানা গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। শুধু তাই নয়, এ হবিগঞ্জেই সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়ার ওপর গ্রেনেড হামলা, জেএমবি’র বর্তমান প্রধান সাঈদুর রহমানের বাড়িও রয়েছে। সেহেতু পাহাড়ী ওই এলাকায় অনায়াসে জঙ্গীরা ট্রেনিং নিতে পারে, তেমনি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোও তাদের হামলার টার্গেট হতে পারে। এ জন্য এসব জঙ্গী নানা কায়দায় বাসাবাড়ি ভাড়া নিয়ে অস্ত্র ও বিস্ফোরকের আস্তানা গড়ে তুলতে পারে। এখন পর্যন্ত হবিগঞ্জে কোন জঙ্গী আস্তানার খবর পাওয়া না গেলেও এ জেলার কোথাও তাদের আস্তানা নেই তা বলা সম্ভব নয়। তবে এ জেলায় জঙ্গী তৎপরতা চালাতে দেবে না পুলিশ। তিনি বলেন, সম্প্রতি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার শায়েস্তাগঞ্জের বাসিন্দা ব্যক্তির কন্যা ও মাদ্রাসাপড়ূয়া ‘ইস্তা’ নামে এক ছাত্রী লোকচক্ষুর আড়ালে চলে গেছে। এ মেয়েটি যাবার বেলায় চিরকুটে লিখে গেছে, আমি চলে গেলাম আল্লাহ’র পথে। তাই মেয়েটির জঙ্গী তৎপরতায় অংশ নেয়ার বিষয়টি উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। ফলে সার্বিক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে হবিগঞ্জের বাড়িওয়ালাদের সহযোগিতা করতে ভাড়া নামা সংক্রান্ত ফরম তৈরি করেছে পুলিশ। যাবতীয় তথ্যাদি মেনে এ ফরম পূরণ করেই তাদের যেমন ভাড়া দিতে হবে, তেমনি তা পুলিশের কাছেও জমা দিতে হবে। একজন মানুষের চালচলনে কিভাবে সন্দেহ পোষণ করা যায় যে সে জঙ্গী হতে পারে এমন কয়েকটি লক্ষণ উল্লেখ করে এসপি জয়দেব বলেন, হবিগঞ্জকে জঙ্গীমুক্ত জেলা রাখতে পুলিশকে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের বিষয়ে অবহিত করার পাশাপাশি জনগণকেও ত্র্যালার্ট থাকতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, এডিশনাল এসপি মোঃ সামছ, এএসপি (হেডকোয়ার্টার) মোঃ নাজিম উদ্দিন, সদর থানার ওসি মোঃ ইয়সিনুল হকসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা।
×