ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রতিরক্ষা চুক্তি হচ্ছে চীন ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে

প্রকাশিত: ০৪:৩১, ২৩ মার্চ ২০১৭

প্রতিরক্ষা চুক্তি হচ্ছে চীন ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে

শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মৈত্রীপালা শ্রীমেলা ও চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল চ্যাং ওয়ানকুয়ান আভাস দিয়েছেন, দুদেশের মধ্যে প্রতিরক্ষাবিষয়ক চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শ্রীমেলা সফররত চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও স্টেট কাউন্সিলর জেনারেল চ্যাং ওয়ানকুনকে সোমবার বলেছেন, এ চুক্তি স্বাক্ষরে শ্রীলঙ্কার আত্মসম্মান, স্বাধীনতা ও জাতীয় নিরাপত্তার জন্য কোন ক্ষতি ডেকে আনবে না। খবর ডন ও ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস অনলাইনের। প্রেসিডেন্ট শ্রীমেলা বলেছেন, শ্রীলঙ্কার নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য চীনের সামরিক প্রশিক্ষণসহ কয়েকটি নতুন চুক্তি স্বাক্ষর করবে দুই দেশ। কূটনৈতিক সূত্র বলেছে, তিনি সোমবার কলম্বোতে চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠককালে দুদেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধির জন্য এ আহ্বান জানান। জেনারেল চ্যাং ওয়ানকুয়ান আশ্বাস ব্যক্ত করে বলেছেন, চীন অর্থনৈতিক ক্ষেত্রের মতোই প্রতিরক্ষায় যে কোন সম্ভাব্য সহযোগিতা দেবে শর্তহীনভাবে। শ্রীমেলার দৃঢ়প্রত্যয়ী মন্তব্যে শ্রীলঙ্কার দক্ষিণাঞ্চলে হামবানতোতা বন্দরে চীনের এক রাষ্ট্রীয় কোম্পানিকে ৯৯ বছরের জন্য ৮০ শতাংশ শেয়ার প্রদানের ব্যাপারে যে বিতর্ক চলছে। যে প্রসঙ্গে গুরুত্ব তুলে ধরা হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। বন্দরের পশ্চাদ্ভূমিতে একটি অর্থনৈতিক জোন প্রতিষ্ঠার জন্য ১৫ হাজার একর জমি অনুদানের প্রস্তাবের সমালোচনা হয়েছে। বন্দরবিষয়ক মন্ত্রী অর্জুনা রানাতুঙ্গা ৮০-২০য়ের পরিবর্তে ৬০-৪০ ভাগ শেয়ার প্রদানের প্রস্তাব করেছেন। সম্প্রতি, সরকার যৌথ সিনো লঙ্কান কোম্পানির কাছে বন্দরটি হস্তান্তরিত হওয়ার পর ৬০-৪০ শেয়ারের প্রস্তাব করেছে। সরকার এ শর্তারোপ করেছে, তারা বন্দরে যে কোন সামরিক কর্মকা-ের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এ শর্ত মেনে নেয়া হলে বন্দরটি সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের জন্য কঠিন হয়ে উঠবে। প্রেসিডেন্ট শ্রীমেলা শ্রীলঙ্কার আত্মসম্মান, স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা বজায় রাখার গুরুত্বের উল্লেখ করে চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে বলতে চেয়েছেন, তার আস্থা রয়েছে যে চীন শ্রীলঙ্কার নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান অব্যাহত রাখবে। তিনি শ্রীলঙ্কার জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বিশেষ করে দেশের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক লড়াইয়ের সময় সমর্থন প্রদানের জন্য চীনের প্রতি ধন্যবাদ জানান। চ্যাং ওয়ানকুয়ান তার পক্ষ থেকে বলেন, প্রেসিডেন্ট শ্রীমেলার শাসনাধীন শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি সমাজ ও জনগণের জন্য শক্তিশালী ভিত্তি গড়ে উঠেছে এবং শ্রীলঙ্কার সঙ্গে এক দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা এবং তা জোরদার করাই চীনের লক্ষ্য। চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রতিরক্ষা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন শ্রীলঙ্কার প্রতিরক্ষাবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী রুয়ান বিজয়বর্ধনের সঙ্গে।
×