ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বাল্টিক অঞ্চলে ন্যাটো প্রতিরক্ষা জোরদারই লক্ষ্য

রুশ আগ্রাসন ঠেকাতে এস্তোনিয়া যাচ্ছে ব্রিটিশ সৈন্য

প্রকাশিত: ০৪:৪২, ১৯ মার্চ ২০১৭

রুশ আগ্রাসন ঠেকাতে এস্তোনিয়া যাচ্ছে ব্রিটিশ সৈন্য

বাল্টিক অঞ্চলে ন্যাটো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে যুক্তরাজ্য এস্তোনিয়ায় এই প্রথমবারের মতো আট শ’ সৈন্যের এক বাহিনী পাঠাচ্ছে। পঞ্চম ব্যাটালিয়ন রাইফেলের ১২০ জন সৈন্য এস্তোনিয়ায় গিয়ে প্রথমে ব্রিটিশ সেনাদের জন্য একটি সদর দফতর স্থাপন করবে। বাদবাকি সৈন্যরা এপ্রিল নাগাদ সেখানে পৌঁছবে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী স্যার মাইকেল ফেলন বলেছেন, রুশ আগ্রাসন ঠেকানোর জন্য এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ন্যাটো সামরিক জোটভুক্ত দেশগুলোর পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্ত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদারের লক্ষ্যে বর্ধিত অগ্রিম ব্যবস্থা হিসেবে যুক্তরাজ্য অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাতকারে স্যার মাইকেল ফেলন বলেন, স্নায়ুযুদ্ধের পর এটি ইউরোপে ব্রিটেনের বৃহত্তম সৈন্য সমাবেশ এবং এর মাধ্যমে রাশিয়ার পক্ষ থেকে যে কোন হামলা মোকাবেলায় দীর্ঘমেয়াদী ও সর্বাত্মক সহায়তার অঙ্গীকার বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, এ এলাকায় রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান আগ্রাসন এবং ন্যাটোর পূর্বাঞ্চলীয় মিত্রদের আশ্বস্ত করার জন্য এ সৈন্য সমাবেশের প্রয়োজন ছিল। সেই সঙ্গে স্যার মাইকেল জোর দিয়ে বলেন, এটি কেবল প্রতিরক্ষামূলক সৈন্য সমাবেশ এবং এর পেছনে কোনরূপ উস্কানি বা উত্তেজনা বৃদ্ধির পরিকল্পনা নেই। বিবিসির প্রতিরক্ষাবিষয়ক সংবাদপাতা জোনাথন বিল বলেন, সেনা সদস্যরা তাকে জানিয়েছে যে, তারা কোন ধরনের হুমকি মোকাবেলায় পরিপূর্ণভাবে প্রস্তুত এবং এ সেনা মোতায়েনকে ঘিরে রাশিয়া ভুয়া খবর, তথ্য বিভ্রাট ও বিভিন্ন উপায়ে উস্কানিমূলক তৎপরতা চালাতে পারে। গত শুক্রবার ১২০ জন সৈন্যের প্রথম দলটি অক্সফোর্ড শায়ারের ব্রিজ নর্টন বিমানঘাঁটি থেকে এস্তোনিয়ার আমারি বিমানঘাঁটিতে পৌঁছে সে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্গাস তাসাকনার সঙ্গে সাক্ষাত করে। ব্রিটিশ বাহিনীকে সমরাস্ত্রসজ্জিত করার লক্ষ্যে জার্মানির নৌঘাঁটির এক ফেরিতে করে ব্রিটেনের দুটি চ্যালেঞ্জার ট্যাঙ্ক, এএস-৯০ স্বয়ংক্রিয় রাইফেল এবং বেশকিছু সাঁজোয়াযান এস্তোনিয়ার উদ্দেশে পাঠানো হয়েছে। এগুলো আগামী সপ্তাহে এস্তোনিয়া পৌঁছবে। যুক্তরাজ্য নেতৃত্বাধীন এস্তোনিয়ার এ প্রতিরক্ষা বাহিনী পূর্ব ইউরোপে মোতায়েনের জন্য পরিকল্পিত চারটি ন্যাটো বহুজাতিক বাহিনীর একটি। ন্যাটো সেনাবাহিনীর অন্য সদস্যদের লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া ও পোল্যান্ডে পাঠানো হচ্ছে। এসব দেশে যুক্তরাজ্যের দেড় শ’ সৈন্য পর্যায়ক্রমে মোতায়েন থাকবে। অন্যদিকে, ন্যাটোর দক্ষিণাঞ্চলীয় বিমান প্রতিরক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে রুমানিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা জোরদারের লক্ষ্যে চার মাসের জন্য রাজকীয় বিমানবাহিনীর কয়েকটি টাইফুন জেট রুমানিয়াকে সরবরাহ করা হবে। এদিকে রাশিয়া তার সীমান্তের কাছে ন্যাটো জোটের এ ধরনের তৎপরতাকে ইতোমধ্যেই হুমকি হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। -বিবিসি
×