ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

কার্যালয় সরাতে তিন বছর সময় চেয়েছে বিজিএমইএ

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ৯ মার্চ ২০১৭

কার্যালয় সরাতে তিন বছর সময় চেয়েছে বিজিএমইএ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকার হাতিরঝিল প্রকল্প এলাকায় অবস্থিত ভবন থেকে কার্যালয় সরাতে তিন বছর সময় চেয়েছে দেশের প্রধান রফতানিপণ্য তৈরি পোশাক শিল্পোদ্যোক্তাদের সমিতি বিজিএমইএ। বুধবার বিজিএমইএর পক্ষে সময় চেয়ে সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করা হয়েছে বলে জানান ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম। আবেদনে কী বলা হয়েছে-এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘তৈরি পোশাক সংশ্লিষ্ট আমদানি রফতানির ক্ষেত্রে আমরা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ করি। আমাদের এই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে অন্য জায়গায় স্থানান্তর করতে তিন বছর সময় লাগবে।’ আজ বৃহস্পতিবার কার্যতালিকায় থাকার কথা রয়েছে বলে জানান তিনি। গত ৫ মার্চ বিজিএমইএ-এর ১৮তলা এই ভবন ভেঙ্গে ফেলতে সর্বোচ্চ আদালতের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজ হয় আপীল বিভাগে। ওইদিনই কার্যালয় সরিয়ে নিয়ে ভবনটি ভাঙতে কতদিন সময় লাগবে তা জানিয়ে বিজিএমইএকে একটি আবেদন করতে বলে সর্বোচ্চ আদালত। মামলার বিবরণে জানা যায়, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) অনুমোদন ছাড়া বিজিএমইএ ভবন নির্মাণ বিষয়ে ২০১০ সালের ২ অক্টোবর একটি ইংরেজী দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনটি আদালতের দৃষ্টিতে আনেন সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবী ডিএইচএম মুনিরউদ্দিন। পরদিন ৩ অক্টোবর হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন। রুলে বিজিএমইএ ভবন ভাঙ্গার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া। সেই রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) ও বিচারপতি শেখ মোঃ জাকির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ বিজিএমইএ ভবন অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১১ সালের ৫ এপ্রিল চেম্বার বিচারপতি হাইকোর্টের রায়ের ওপর ছয় সপ্তাহের স্থগিতাদেশ দেন। পরে এ সময়সীমা বাড়ানো হয়। ভবনটি ভেঙ্গে ফেলতে হাইকোর্টের দেয়া ৬৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় ২০১৩ সালের ১৯ মার্চ প্রকাশিত হয়। এরপর ওই বছর ২১ মে বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ সুপ্রীমকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় লিভ-টু-আপীল করে। সেই আপীল আবেদনটি গত বছর ২ জুন খারিজ হয়ে যায়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে ১৯৯৮ সালে বিজিএমইএ তাদের প্রধান কার্যালয় ভবন নির্মাণের জন্য সোনারগাঁও হোটেলের পাশে বেগুনবাড়ী খাল পাড়ের এ জায়গাটি নির্ধারণ করে। পরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) কাছ থেকে ৫ কোটি ১৭ লাখ টাকায় জমিটি কেনে।
×