এইভাবে ভিজে যাচ্ছে
মাসুদ মুস্তাফিজ
এইভাবে এইভাবে ভিজে যাচ্ছে অনুভূতির চৌহদ্দি রক্তেভেজা বাতাস আজো আমার প্রিয়ার ভালোবাসার পিঠ এলোচুলে রোদলজ্জ্বায় মুখ লুকোয় আর মাটির নীরবতায় শব্দময় কথাগুলো চৈতন্যের রাত্রিতে তরুণস্বপ্নে বৃক্ষেরমনে একাকি হয়ে পথিক পথে ঈশ্বরিসূর্যের অহংকার হয়ে যাচ্ছে
জলের আঁখি মেলে তুমি সূর্যের প্রতীতি আঁকো আর প্রত্যাভিজ্ঞ করো অথচ সহজ আগুনের স্থানে বাংলাদেশ হাসে স্মৃতির দূরন্ত স্বরগ্রামে আজ মিছিলে শপথ থাকে না-হাওয়ায় মুখরিত করে না দিন হৃদয়ে কেউ রাখে না সাধ আকাশের সময় প্রাণাধিকবোধে সত্তার অন্ধকার সুর কাটে
তরঙ্গের নদী স্বদেশ আমার তুমিই বলো এক সম্মোহনের অর্নিবার প্রত্যয়শূন্য ধমনি নিঃশ্বাসে মাটিরদুধ নজর সৌন্দর্যে জাতকের ঠোঁট কাঁপে এইসব মন কথা নিয়ে বলো দেশপাখি আমার তুমি কোন নিষিদ্ধ সঙ্গীতে মন্থিত অপরূপ বিচিত্র শব্দাবলী বিচূর্ণ আয়নায় সাহসী হচ্ছো নিম্নতর শূন্যতায়!
তবে লাল প্রার্থনায় প্রস্তুত হও-বাংলাদেশ জীবনের ব্যাধি পুড়ে দিগি¦দিক এই বাংলায় স্বপ্নের পরিব্রাজনায়!
** শব্দেরা ঝরে পড়ে
আনোয়ার কামাল
কবিতার বিমূর্ত অক্ষরগুলো শব্দের ঝরাপাতা হয়ে
বসন্তের দোরগোড়ায় ঝরে পড়ে।
প্রকৃতি খোলস পাল্টে নিদারুণ ব্যর্থতায় হাহাকার করে।
জেগে ওঠে পাখির কলতান, জেগে ওঠে প্রাণহীন গাছ
মাছেরা বেড়াতে আসে গেরস্থের বাড়িতে।
নারীর শরীরের ভাঁজে ভাঁজে অন্য রকম আচ্ছাদন
ভেসে আসে ফুলেল সম্ভাষণে।
রাতের আকাশ থেকে ছুড়ে ফেলা একমুঠো জ্যোৎস্না
কার্নিশ ছ্ুঁয়ে জানালার কাঁচের দেয়াল ভেদ করে
তোমার কামার্ত শরীরের ভাঁজে ভাঁজে আন্দোলিত করে।
আমি তোমার নগ্নময় কবোষ্ণ শরীরের প্রতিটি লোমকূপে
হাতের ছোঁয়ায় সুড়সুড়ি দেই, মিশে যাই সাগর সঙ্গমে।
** জিরাফ সুন্দরী
শিউল মনজুর
নদীর তরঙ্গ এসে লাগছে কবিতার খাতায়, জোনাকজ্বলা সন্ধ্যায়।
সে বদলে দিচ্ছে কবিতার রঙ, শরীর মেধা ও মনন। নদীর তরঙ্গ
ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাচ্ছে জেগে উঠা কবিতার পঙ্ক্তিমালায়। কবিতা
চিকচিক করে উঠছে বর্ষার নতুন জলের মতন। এক সময় নদীর
তরঙ্গ কবিতার শিরোনামের উপর গড়িয়ে যায়- কবিতা জিরাফ
সুন্দরীর মতো হেসে ওঠে; কবিতায় নেমে আসে দুধ পৃথিবীর
ভোর।
নদী ও কবিতা দূরের পথে হেঁটে যায় স্বর্গ পাতার ছায়ায়।
শীর্ষ সংবাদ: