ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

নবম-দশম শ্রেণির পড়াশোনা ॥ শারীরিক শিক্ষা স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলা

প্রকাশিত: ০৪:০৫, ২ মার্চ ২০১৭

নবম-দশম শ্রেণির পড়াশোনা ॥ শারীরিক শিক্ষা স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলা

শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া শিক্ষক, হাইমচর কলেজ, হাইমচর-চাঁদপুর। মোবাইল : ০১৭৯৪৭৭৭৫৩৫ তৃতীয় অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন ২। নিলীমা সারাদিন অংক করে।তার মা তাকে বাইরে ঘুরে আসতে বললেও সে যায় না। সন্ধ্যার দিকে নিলীমা ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল। যে অংক সে অল্প দিনের মধ্যে করতে পেড়েছিল, এখন সেটা করতে বেশী সময় লাগছে। এ বিষয়টি নিয়ে নিলীমা চিন্তিত। তার মা তাকে টেলিভিশন দেখতে বলে এবং কিছু সময় বিশ্রাম নিতে বলে। ক) ট্রপিজম কী? খ) শরীর ও মন একে অপরের পরিপূরক - ব্যাখ্যা কর। গ) নিলীমার রাতে অংক করতে দেরি হওয়ার কারণ কী? ব্যাখ্যা কর। ঘ) নিলীমার এ অবস্থা থেকে উত্তরণেতার মায়ের কর্মকান্ডের যথার্থতা বিশ্লেষণ কর। ক) উত্তরঃ ট্রপিজম হচ্ছে নিম্ন শ্রেণির প্রাণি ও উদ্ভিদের অভিযোজনমূলক প্যার্টান প্রতিক্রিয়া। খ) উত্তরঃ শরীর ও মন একে অপরের পরিপূরক। একটি ছাড়া আরেকটির অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না। দেহকে বলা হয় মনের আধার। যখন দৈহিক অসুস্থ তখন মানসিক অসুস্থারও সৃষ্টি হয়। আমরা স্বাস্থ্য বলতে বুঝি শারীরিক ও মানসিক সুস্থতাকে। মানসিক অশান্তি থাকলে শরীরও খারাপ হয়ে পড়ে। দেহের যখন মৃত্যু ঘটে তখন মনেরও মৃত্যু ঘটে। আবার মন যখন বিকারগ্রস্থ হয় তখন দেহও প্রায় অকার্যকর হয়ে পড়ে । দৈহিক ও মানসিক কাজকে সম্পূর্ণভাবে পৃথক করা যায় না। গ) উত্তরঃ উদ্দীপকের আলোকে বলা যায় দীর্ঘক্ষন একই কাজ করার ফলে সেই কাজের প্রতি মানুষের দৈহিক ও মানসিক পরিবর্তন দেখা যায়। এ পরিবর্তনের ফলে ব্যক্তির কর্মক্ষতা হ্রাস পায়এবং মানসিক চাপের সৃষ্টি হয়। অনেকক্ষণ ধরে করতে থাকলে মানসিক কর্মক্ষমতা হ্রাস পায় এবং অবসাদ দেখা দেয়। যেমন-অনেক সময় ধরে এক নাগারে অংক করার জন্য বিচারশক্তি, চিন্তাশক্তি ও নির্ভুল করার ক্ষমতা কমতে থাকে। কাজের মধ্যে সমন্বয় থাকে না, কাজের ছন্দ হারিয়ে ফেলে এবং মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। কাজের মধ্যে এক ঘেয়ামি চলে আসে তখন কাজের প্রতি আগ্রহ কমে যায়। যা নিলীমার রাতে অংক করতে দেরি হওয়ার কারণ বলে মনে করা হয় । ঘ) উত্তরঃ নিলীমার এ অবস্থা থেকে উত্তরণে তার মায়ের কর্মকান্ডের যথার্থতা উদ্দীপকের আলোকে বিশ্লেষণ করা হলো। দীর্ঘক্ষন একই কাজ করার ফলে সেই কাজের প্রতি মানুষের দৈহিক ও মানসিক পরিবর্তন দেখা যায়। এ পরিবর্তনের ফলে ব্যক্তির কর্মক্ষতা হ্রাস পায়,মানসিক চাপের সৃষ্টি হয় এবং দুঃশ্চিন্তার উদয় ঘটে। মানসিক ক্লান্তি আসে এবং কাজের প্রতি অনিহা সৃষ্টি হয়। নিলীমার অবস্থা দেখে তিনি বুঝতে পারে তার মেয়ে নিলীমা অবসাদগ্রস্থ হয়ে পরেছেন এবং এ থেকে উত্তরণ হওয়া প্রয়োজন। এজন্য মা তাকে কছু সময়ের জন্য বেরিয়ে আসতে বলেন, টিভি দেখতে বলেন। যার মাধ্যমে অবসাদ ও ক্লান্তি দূর হবে। পূণরায় নতুন উদ্যমে, নতুন শক্তি সঞ্চার করে, নতুন গতি নিয়ে কাজ করতে পারবে। অবসাদ ও ক্লান্তি দূর করতে নিলীমার মায়ের নেওয়া পদক্ষেপগুলো যর্থাথ ভূমিকা পালন করবে। তৃতীয় অধ্যায়ের আলোকে আমরা জানতে পারি অবসাদ ও ক্লান্তি দূর করতে প্রেষণা, বিনোদন, একঘেয়ামিতা পরিহার ইত্যাদি কার্য়কর ভূমিকা পালন করে। নিলীমার মা এ বিষয়ে সৎপরামর্শ দিয়েছিলেন।
×