ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

গাজায় ইসরাইলের বিমান হামলা

প্রকাশিত: ০৩:২৭, ১ মার্চ ২০১৭

গাজায় ইসরাইলের বিমান হামলা

ফিলিস্তিন ভূখ- থেকে ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে একটি রকেট নিক্ষেপের পর গাজায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এতে অন্তত চারজন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। ইসরাইলী সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, রকেট হামলার জবাব দিতে তাদের যুদ্ধ বিমান গাজায় হামাসের পাঁচটি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত রকেট হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি। খবর ওয়েবসাইটের। ইসরাইলী কর্তৃপক্ষ জানায়, হামলা যেই করুক যেহেতু গাজা থেকে হামলা চালানো হয়েছে তাই তারা ফিলিস্তিনী গেরিলা দল হামাসকেই এজন্য দায়ী করছে। ইসলামপন্থী দল হামাস গাজা উপত্যকার শাসন ব্যবস্থা পরিচালনা করে আসছে। ২০১৪ সালের যুদ্ধের পর হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে কার্যত যুদ্ধ বিরতি চলছে। তবে সালাফি নামে গাজার ছোট্ট একটি সশস্ত্র বাহিনী ওই যুদ্ধ বিরতি মানে না এবং মাঝে মধ্যেই ইসরাইলে রকেট হামলা চালায়। ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আভিগদর লিবারম্যান বলেন, গাজায় কোন ধরনের সামরিক অভিযান চালানোর ইচ্ছা বা অভিপ্রায় কোনটাই আমাদের নেই। কিন্তু আমরা আমাদের দিকে আসা রকেটের সামান্য টুকরাকেও কখনও মেনে নেব না। তবে হামাসের মুখপাত্র ফাওজি বারহোউম বলেছেন, প্রতিরোধ ব্যবস্থায় কোন ধরনের আঘাতের কারণে সঙ্কটের বিস্তার ঘটলে তার জন্য ইসরাইল দায়ী থাকবে। সিরিয়ায় আল কায়েদার দ্বিতীয় শীর্ষ নেতার গাড়িতে বিমান হামলা সিরিয়ায় আল কায়েদার দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা আবু আল খায়ের আল মাসরির গাড়িতে বিমান হামলা চালানো হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। রবিবার দেশটির ইদলিব প্রদেশে ওই গাড়িতে থাকা আল মাসরিকে লক্ষ্য করে হামলাটি চালানো হয় বলে এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। খবর বিবিসির। হামলার পর আল মাসরি জীবিত আছেন কিনা তা পরিষ্কার নয়। আল কায়েদার শীর্ষ নেতা আয়মান আল জাওয়াহিরির পর গোষ্ঠীটির দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা মিসরীয় নাগরিক আল মাসরি। সিরিয়ার সরকার বিরোধী আন্দোলনকারী, স্থানীয় কো-অর্ডিনেশন কমিটি একটি গাড়ির বেশ কিছু ছবি পোস্ট করে জানিয়েছে গাড়িটির দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। আল মাসতুমা শহরে আন্তর্জাতিক জোট বাহিনীর বিমান গাড়িটিতে হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে গোষ্ঠীটি। সিরিয়ান অভজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই বিমান হামলায় আল কায়েদার এক নেতা নিহত হয়েছেন, তবে নিহত নেতা আল মাসরি না অন্য কেউ তা নিশ্চিত করেনি। আল মাসরির প্রকৃত নাম আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ রজব আব্দ আল রহমান। বন্দী বিনিময়ের অংশ হিসেবে তিনি ২০১৫ সালে ইরানের হেফাজত থেকে মুক্তি পান বলে জানা গেছে। প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, তার অনুমোদনেই গত বছর আল কায়েদার সিরিয়া শাখা আল নুসরা ফ্রন্ট আল কায়েদার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে জাবহাত ফাতেহ আল শাম নাম ধারণ করে।
×