ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সব ধরনের ফুটবল থেকে অবসর নিচ্ছেন লাম

প্রকাশিত: ০৬:৩০, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

সব ধরনের ফুটবল থেকে অবসর নিচ্ছেন লাম

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বয়স যে খুব বেশি তা নয়, মাত্র ৩৩ বছর। যে পারফর্মেন্স তাতে হয়ত ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপও খেলতে পারতেন। কিন্তু নিজেকে কি দুর্দান্তভাবেই না নিয়ন্ত্রণ করেছেন ফিলিপ লাম। ২০১৪ সালে জার্মানিকে দুইযুগ পর বিশ্বকাপ জেতানো এই অধিনায়ক ওই বছরের জুলাই মাসে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নেন। অনেকটা আচমকাই জাতীয় দল থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন তারকা এই ফুলব্যাক। তখন বলেছিলেন চালিয়ে যাবেন ক্লাব ফুটবল। কথা অনুযায়ী এতদিন প্রাণের ক্লাব বেয়ার্ন মিউনিখের হয়ে খেলা চালিয়ে গেছেন। তবে এবার ক্লাবের মায়াও ছিন্ন করছেন জার্মান তারকা। জাতীয় দল থেকে অবসরের তিন বছর পর এবার সবধরনের ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন লাম। চলতি মৌসুমই তার শেষ মিশন। অর্থাৎ আগামী জুনেই ফুটবলের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাচ্ছে বিশ্বের অন্যতম সেরা এই ডিফেন্ডারের। তার আগে বেয়ার্নের টানা পঞ্চম জার্মান লীগ শিরোপা জিততে মুখিয়ে আছেন তিনি। বিদায় বেলায় ক্যারিয়ারে বিশ্বকাপ শিরোপাকে এখনও সেরার আসনে আসীন করে রেখেছেন লাম। ২০১৪ সালে তার নেতৃত্বে বিশ্বকাপের শিরোপা জয় করে জার্মানরা। লামের অবসরের ঘোষণার রাতে জার্মান কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেছে বেয়ার্ন মিউনিখ। মঙ্গলবার রাতে শেষ ষোলোর ম্যাচে উলফসবার্গের মুখোমুখি হয় বাভারিয়ানরা। ১-০ গোলে জয় পায় বেয়ার্ন। পুরো ক্যারিয়ারে অবশ্য লাম খুব একটা সহজ পথ পাড়ি দিতে পারেননি। প্রায় সময়ই তাকে ইনজুরির সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে। তবে পেশাদার ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই বেয়ার্ন মিউনিখের সঙ্গে সম্পর্ক অটুট রেখে শেষটাও এখান থেকেই করতে যাচ্ছেন। এই ক্লাবের হয়ে মঙ্গলবার তিনি ৫০১তম ম্যাচ খেলেছেন। মাঝে অবশ্য দুই মৌসুমের জন্য ধারে স্টুটগার্টে খেলেছেন। বেয়ার্নের সাবেক কোচ পেপ গার্ডিওলা লাম সম্পর্কে একসময় বলেছিলেন, আমার দেখা মতে বিশ্বের অন্যতম চৌকষ ফুটবলার সে। মাঝে মাঝেই তাকে রাইট ব্যাক থেকে মধ্যমাঠে নিয়ে আসতেন গার্ডিওলা। সে কারণেই তার সম্পর্কে বলেছিলেন, লাম যে কোন জায়গায় খেলতে পারে। আমি যদি বলি তবে সে আমার দলের স্ট্রাইকার হতেও রাজি আছে। ২০০৪ সালে জাতীয় দলে অভিষেক হওয়ার পর জার্মানির হয়ে লাম খেলেছেন ১১৩ মাচ। ১৯৯৫ সালে মাত্র ১১ বছর বয়সে তিনি বেয়ার্নে যোগ দেন। ওই সময় নিজেকে এ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবে পরিচিত করেছিলেন। যদিও ১৯৯০-২০০০-এর মধ্যে বেয়ার্নের তারকা মিডফিল্ডার মেহমেত স্কলের কারণে তার জায়গা ছেড়ে দিতে হয়েছে। কিন্তু তখনই ক্লাব সিদ্ধান্ত নেয় লামের সেরা পজিশন হচ্ছে ডিফেন্স। যদিও ইতালিয়ান পাওলো মালদিনি তখন দারুণ ফর্মে। তারপরও লাম নিজেকে সেরা প্রমাণে কঠোর পরিশ্রম করেছেন। মাঠে তার ওপর পুরো দলের আস্থা আনতে সক্ষম হয়েছেন। আর সে কারণেই জার্মান গণমাধ্যমে তাকে ‘মিঃ ১০০ পারসেন্ট’ নামে আখ্যায়িত করতেও ভুল করেনি। বিশেষ করে ২০১৪ সালে হার্থা বার্লিনের বিরুদ্ধে ৩-১ গোলের জয়ের ম্যাচটিতে লামের অসাধারণ নৈপুণ্য এখনও কেউ ভুলেনি।
×