ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

সিরীয় যুদ্ধের অবসান এবং আইএসবিরোধী লড়াই জোরদার করাই লক্ষ্য

রাশিয়া-ইরান বিচ্ছেদ চান ট্রাম্প

প্রকাশিত: ০৪:৪০, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

রাশিয়া-ইরান বিচ্ছেদ চান ট্রাম্প

ট্রাম্প প্রশাসন ইরানের সঙ্গে রাশিয়ার সামরিক ও কূটনৈতিক মৈত্রী বিচ্ছিন্ন করার উপায় উদ্ভাবনের চেষ্টা করছে। সিরীয় সংঘাতের অবসান ঘটানো এবং ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার করা উভয় লক্ষ্য অর্জন করাই-এর উদ্দেশ্য। এ বিষয়ে নীতিগত আলোচনায় জড়িত প্রশাসনের সিনিয়র ইউরোপীয় ও আরব কর্মকর্তারা এ কথা জানান। এ নতুন কৌশলে রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করা এবং ইরানের সামরিক উপস্থিতি বল প্রয়োগে রোধ করার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দৃশ্যত স্ববিরোধী দু’সংকল্পের মধ্যে সমন্বয় সাধন করতে চাওয়া হয়। ইরান মধ্যপ্রাচ্যে মস্কোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মিত্র। একজন কর্মকর্তা এ কথা জানান। খবর ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রশাসনের এক উর্ধতন কর্মকর্তা বলেন, হোয়াইট হাউসের রাশিয়া বিষয়ে কোন মোহ নেই, যদিও ট্রাম্প গত সপ্তাহান্তে রুশ নেতার বিষয়ে আরও আপোসমূলক বিবৃতি দিয়েছিলেন। কিন্তু ওই কর্মকর্তা বলেন যে, ঠা-া লড়াইকালে সোভিয়েত ইউনিয়ন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি যে বাহ্যিক হুমকির কারণ হয়েছিল, প্রশাসন রাশিয়াকে ঠিক তেমন হুমকির উৎস বলে গণ্য করে না এবং ট্রাম্প ইরানকে রোধ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কর্মকর্তা বলেন, যদি রাশিয়া ও ইরানের সম্পর্কের মধ্যে কোনরূপ ফাটল ধরানো যায়, তবে আমরা সেই পথ উদ্ভাবন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভাইস-প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স রবিবার আভাস দেন যে, যদি মস্কো ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতা করে, তা হলে ওয়াশিংটন শীঘ্রই মস্কোর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে পারে। এর দিন কয়েক আগে জাতিসংঘ মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি বলেন, পূর্ব ইউক্রেনে সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায় রাশিয়ার তৎপরতার স্পষ্ট ও জোরালো ভাষায় নিন্দা জানানো উচিত। এক উর্ধতন ইউরোপীয় কর্মকর্তা বলেন, রাশিয়া ও ইরানের মধ্যে নিঃসন্দেহে সমঝোতা রয়েছে। তিনি বলেন, ওই মৈত্রী দুুর্বল করার বিনিময়ে পুতিন কি চাইবেন তা-ই অস্পষ্ট রয়ে গেছে। তিনি সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনায় মিলিত হন। তেহরানের সঙ্গে মৈত্রী ছিন্ন করতে পুতিনকে রাজি করানো খুবই কঠিন কাজ হবে। আর সেজন্য যে চড়া মূল্য দিতে হবে, তা পশ্চিমা অংশীদারসহ আমেরিকার মিত্রদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করবে। আর ট্রাম্পই এ কৌশলের অনুসারী এমন প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবেন এমন নয়।
×