স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ গোলরক্ষক ইসাম এল হাদারি এখন সবার নায়ক। ৪৪ বছর বয়সেও দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখালেন মিসরের এ ফুটবলার। আফ্রিকান নেশন্স কাপের সেমিফাইনালে টাইব্রেকারে গড়িয়েছিল মিসর-বারকিনা ফাসোর ম্যাচ। নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে ড্র ছিল। টাইব্রেকারে হাদারি দুর্দান্তভাবে বল ঠেকিয়ে দিয়েছেন বারকিনা ফাসোর বার্টান্ড্র ট্রাউরির শট। শেষ পর্যন্ত তার সেই দারুণ নৈপুণ্যে ৪-৩ গোলে জিতে আফ্রিকান নেশন্স কাপের ফাইনালে পা রেখেছে মিসর। লিবারভিলে দারুণ হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। প্রথমার্ধে গোল করতে পারেনি কোন দলই। গোলশূন্যভাবে শেষ হওয়া ম্যাচের ৬৬ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। তবে ৬৬ মিনিটে মিসরের জন্য আনন্দের উপলক্ষ এনে দেন মোহাম্মদ সালাহ। তার গোলে ১-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পরই উৎসবে মেতে ওঠে মিসর। কিন্তু সেই আনন্দ দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। কিছুক্ষণ পরেই বারকিনা ফাসোর হয়ে গোল পরিশোধ করেন আরিস্টাইড ব্রাঙ্ক। এই গোল হজম করার মাধ্যমে ২০১০ সালের পর প্রথম নেশন্স কাপে কোন বল ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছেন হাদারি। এ টুর্নামেন্টে মোট ৬৫৩ মিনিট তিনি কোন গোলই হজম করেননি। এবারের আসরে তো বটেই নেশন্স কাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বয়সী ফুটবলার হাদারি। ৪৪ বছর বয়সেও তিনি দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়ে মিসরকে গোল হজম করা থেকে বিরত রাখতে পেরেছেন। কিন্তু এদিন পারলেন না সেই রেকর্ডটাকে আরও বড় করতে। ১-১ সমতার ম্যাচটি অতিরিক্ত সময়েও নিষ্পত্তি হয়নি। শেষ পর্যন্ত পেনাল্টি শূট আউটে গড়ায় ম্যাচ। মিসরের পক্ষে প্রথম শটটাতেই লক্ষ্যভেদে ব্যর্থ হন আবদাল্লাহ এল সাইদ। কিন্তু ফারাওদের ফাইনালের পথে নিয়ে যান হাদারি। তিনি ট্রাউরির শেষ শট ঠেকিয়ে দেন। আফ্রিকান নেশন্স কাপে রেকর্ড ৭ বারের চ্যাম্পিয়ন মিসর। তবে ৭ বছর বাইরে ছিল তারা নেশন্স কাপের। তারপর টুর্নামেন্টে ফিরে এই প্রথম ফাইনালে উঠতে সক্ষম হলো মিসর।