ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্ববঙ্গ সম্মেলনকে চমকে দিয়ে ঝটিকা বিক্ষোভ বামেদের

প্রকাশিত: ১৯:৫০, ২১ জানুয়ারি ২০১৭

বিশ্ববঙ্গ সম্মেলনকে চমকে দিয়ে ঝটিকা বিক্ষোভ বামেদের

অনলাইন ডেস্ক ॥ ভিতরে তখন পুরোদমে চলছে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। বিশ্বের ২৯টি দেশের প্রতিনিধিরা এসে উপস্থিত হয়েছেন। রয়েছেন অনেক শিল্পপতিও। তাঁদের সামনে রাজ্যে বিনিয়োগের অনুকূল পরিস্থিতি তুলে ধরতে ব্যস্ত নবান্ন। ঠিক সেই সময়েই কয়েকশো লোকের ঝটিকা বিক্ষোভ চমকে দিল বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনকে। সম্মেলনের গেটের বাইরে পোস্টার উঁচিয়ে, স্লোগান তুলে বিক্ষোভ দেখালেন বামপন্থীরা। রাজ্য রাজনীতির চাপানউতোরে শুক্রবার বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হল মিলন মেলা প্রাঙ্গণে। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক ধস্তাধস্তি হয়। পরে তাঁদেরকে আটক করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। শুক্রবার থেকেই মিলন মেলা প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছে দু’দিনব্যাপী বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। ঠিক তার আগেই ঘটে যাওয়া ভাঙড়ের ঘটনা যে তাতে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে তা নিয়ে এমনিতেই নবান্ন যথেষ্ট উদ্বিগ্ন ছিল। বিরোধীদের এই বিক্ষোভ সেই চিন্তা আরও বাড়িয়ে দিল। এ দিন কী ঘটেছিল? পুলিশ সূত্রে খবর, বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ মিলন মেলার গেটের উল্টো দিকের রাস্তায় একে একে লোক জমতে শুরু করে। তাঁদের প্রত্যেকের হাতেই পোস্টার ছিল। এসে হাজির হন সিপিএম নেতারাও। যার নেতৃত্বে ছিলেন সুজন চক্রবর্তী, নেপালদেব ভট্টাচার্য এবং এসএফআইয়ের দেবজ্যোতি দাস প্রমুখ। এর কিছু ক্ষণের মধ্যেই জমায়েত হওয়া কয়েকশো লোক রাস্তায় নেমে স্লোগান দিতে দিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বিক্ষোভ দেখাতে দেখাতে তাঁরা মিলন মেলার গেটের দিকেই এগোচ্ছিলেন। ভাঙড়ে কেন গুলি চালানো হল সেই স্লোগান দিচ্ছিলেন বিক্ষোভকারীরা। তাঁদের অভিযোগ, জনগণের টাকা হাতিয়েই এই শিল্প সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিবাদ জানাতে বিক্ষোভকারীদের অনেকেই মুখে কালো কাপড় বেঁধে নেন। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের আটকালে তাঁদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বাধে। এর পর তাঁরা কিছুটা এগিয়ে গিয়ে পরমা আইল্যান্ডের কাছে রাস্তা অবরোধ করেন। অবরোধ হটাতে বিক্ষোভকারীদের আটক করে পুলিশ। এ দিনই বিশ্ববঙ্গের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী শিল্পপতিদের বিনিয়োগের আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। বিনিয়োগে কোনও সমস্যায় পড়তে হবে না শিল্পপতিদের। তার কিছু ক্ষণের মধ্যেই এই ঘটনা বিশ্বের সামনে রাজ্যের মুখ পুড়িয়ে দিল বলেই মনে করা হচ্ছে। এই ঘটনা ‘রাজনৈতিক অসভ্যতা’ বলে মন্তব্য করেছেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
×