ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

বছরের পর বছর বিনা বিচারে ৫২ বন্দী

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ১৬ জানুয়ারি ২০১৭

বছরের পর বছর বিনা বিচারে  ৫২ বন্দী

বিকাশ দত্ত ॥ ফরিদপুরের বোয়ালখালীর মোঃ ছানি ওরফে লিটনের বয়স ৩২। ডাকাতি ও হত্যা মামলায় কক্সবাজারের থানায় মামলা দায়ের করা হয়। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে কক্সবাজার দায়রা জজ আদালতে মামলা রয়েছে। তিনি ১০ বছরে মোট ৬৩৭ বার হাজিরা দিয়েছেন। সাক্ষী না আসাতে মামলার কোন অগ্রগতি হয়নি। তিনিই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বার কোর্টে হাজিরা দিয়েছেন। শুধু ছানিই নয় এমন ১০ থেকে ১৭ বছর ধরে দেশের ২৪টি কারাগারে ৫২ জন বন্দী বিচারাধীন অবস্থায় আটক রয়েছেন। এর আগে ৫ থেকে ১০ বছরের বেশি সময় ধরে দেশের বিভিন্ন কারাগারে বিনা বিচারে আটক এমন ৪৬২ বন্দীর তালিকা হাতে পেয়েছে সুপ্রীমকোর্টের লিগ্যাল এইড কমিটি। লিগ্যাল এইড কমিটি ঐ তালিকা থেকে যাচাই-বাছাই করে যে সমস্ত বন্দী ১০ বছরের বেশি সময় ধরে বিনা বিচারে কারাগারে আটক আছে এমন একটি তালিকা তৈরি করেছেন। শীঘ্রই এই তালিকা উচ্চ আদালতে উপস্থাপন করা হবে বলে জানা গেছে। উচ্চ আদালতের নজরে আসার পর বিনা বিচারে আটক ৪ জনকে জামিন দেয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে ৪ জনের মামলা শেষ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে এই প্রথমবারের মতো ৪ মহিলা বন্দীকে আজ ১৬ জানুয়ারি ও অপর দুই মানসিক প্রতিবন্ধী বন্দীকে ১৯ জানুয়ারি আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। চার মহিলা বন্দী সুমি আক্তার রেশমা, শাহনাজ বেগম, রাজিয়া সুলতানা ও রানী ওরফে নূপুরকে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের বেঞ্চে আজ সকালে হাজির করা হবে। এ প্রসঙ্গে সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহম্মেদ জনকণ্ঠকে বলেছেন, বিনা বিচারের আটক অপরাধীরা বছরের পর বছর ধরে কারাগারে আছে। তাদের বিচার শুরুই হয়নি। বিষয়টি আদালতের নজরে আনার পর ঐ আসামিদের হাজিরের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এটা আদালতের সময়োপযোগী উদ্যোগ। এতে করে বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। এগুলো অমানবিক কাজ। এগুলো কোনভাবেই আইনের শাসন সমর্থন করে না। আইনের শাসন হচ্ছে কেউ অপরাধ করলে সেই অপরাধের বিচার করা। বিচারই শুরু হলো না। তারপরও তাকে কারাগারে আটক থাকতে হলো ১৫ থেকে ১৮ বছর। আদালত সুবিচার নিশ্চিত করার জন্য আদেশ প্রদান করেছেন। এর আগে এক অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী এ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছিলেন, বিনা বিচারে আটক রাখার ক্ষেত্রে দায়ীদের শাস্তি দেয়া হবে। সুপ্রীমকোর্ট লিগ্যাল এইডের প্যানেল আইনজীবী কুমার দেবুল দে জনকণ্ঠকে বলেছেন, বিনা বিচারে আটক-বন্দীরা আদালতে হাজিরা দেন কিন্তু সাক্ষী না আসাতে মামলাটি এ রকমই পড়ে থাকে। কোন বিচার শুরু হয় না। সে ক্ষেত্রে রাষ্ট্রকর্তৃক আইনজীবী নিয়োগ করা হয়। রাষ্ট্রকর্তৃক আইনজীবী নিয়োগ করার পর ঐ মামলার কোন সাক্ষী আর আসে না। ফলে এরা বছরের পর বছর কারাবন্দী থাকে। এ বিষয়গুলো মিডিয়াতে আসার পর সুপ্রীমকোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির মাধ্যমে আদালতে উপস্থাপন করা হয়। বর্তমানে ১০ বছরের অধিক সময় ধরে যে ৫২ বন্দী বিনা বিচারে কারাগারে আটক আছে সুপ্রীমকোর্ট লিগ্যাল কমিটির সিদ্ধান্তের পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। সুপ্রীমকোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির কর্মকর্তা রিপন পৌল স্কু জনকণ্ঠকে বলেছেন, আইজি প্রিজন কার্যালয় থেকে বিনা বিচারে আটক-বন্দীদের তালিকাটি ৭ ডিসেম্বর আমাদের এখানে পাঠানো হয়েছে। ঐ তালিকায় মোট ৪৬২ বন্দী রয়েছেন। এখন ঐ তালিকা থেকে যাচাই-বাছাই করে ১০ থেকে ১৭ বছর ধরে বিনা বিচারে কারাগারে আটক আছে এমন ৫২ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। বন্দীদের বিষয়ে আরও যাচাই-বাছাই করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। শীঘ্রই এই তালিকা লিগ্যাল এইডের আইনজীবী উচ্চ আদালতে উপস্থাপন করবেন বলে আশা করছি। উল্লেখ্য, সুপ্রীমকোর্টের লিগ্যাল এইড কমিটি গত ১৬ নবেম্বর বিনা বিচারে দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে আটক-বন্দীদের তালিকা চেয়ে দেশের সকল কারাগারে চিঠি পাঠায়। পাঁচ ও দশ বছরের অধিক সময় ধরে যারা আটক রয়েছেন তাদের বিষয়ে দুটি তালিকা প্রস্তুত করে কমিটির কাছে পাঠাতে বলা হয়েছিল। সেই চিঠির পর ৭ ডিসেম্বর আইজি প্রিজন বিভিন্ন কারাগারে ৫ থেকে তদুর্ধ সময়ে বিচারাধীন আটক-বন্দীদের তালিকা সুপ্রীমকোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটিতে পাঠিয়েছে। অন্যদিকে এরই মধ্যে লিগ্যাল এইডের আইনজীবীগণ বিনা বিচারে কারাগারে আটক আছে এমন বন্দীদের তথ্য হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে উপস্থাপন করেন। আদালত শুনানি শেষে ৪ জনকে জামিন ও নির্দিষ্ট সময়ে মামলা শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি দুই মানসিক প্রতিবন্ধী ও ৪ মহিলাকে হাইকোর্টে হাজিরের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গত বছরের ৩০ নবেম্বর বিনা বিচারে কাশিমপুর কারাগারে সাত বছর ধরে কারাবন্দী চার নারীকে আজ সোমবার ১৬ জানুয়ারি আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এরা হলেন সুমি আক্তার রেশমা, শাহনাজ বেগম, রাজিয়া সুলতানা ও রানী ওরফে নূপুর। তাদের কেন জামিন দেয়া হবে নাÑ তা জানতে চেয়ে একটি রুলও জারি করা হয়েছে। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ প্রদান করেছেন। সুপ্রীমকোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির প্যানেল আইনজীবী আইনুন নাহার সিদ্দিকা চার নারীর কারাবন্দী থাকার বিষয়টি আদালতের নজরে আনার পর হাইকোর্টের এ নির্দেশনা আসে। আদেশের পর এ্যাডভোকেট আইনুন নাহার সিদ্দিকা সাংবাদিকদের জানান, পৃথক হত্যা মামলায় বিনা বিচারে আটক চার নারী বন্দীকে ১৬ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টায় আদালতে হাজির করতে বলা হয়েছে। হত্যা মামলার নথিও আদালতে তলব করা হয়েছে। এর আগে গত ৫ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগারে প্রায় এক যুগ ধরে ‘বিনা বিচারে’ থাকা দুই মানসিক প্রতিবন্ধীকে আগামী ১৯ জানুয়ারি হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। কারাগারে থাকা দুই মানসিক প্রতিবন্ধী শফিকুল ইসলাম ও ছাবেদ আলীকে কেন জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। দুই বন্দীর বিরুদ্ধে মামলার বিচারিক আদালতের নথিও তলব করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ এই আদেশ দেন। শফিকুল ১৭ বছর ও ছাবেদ ১৪ বছর ধরে বিনা বিচারে কারাবন্দী। বর্তমানে তারা কিশোরগঞ্জের কারাগারে আছেন। অন্যদিকে গত বছরের ৪ ডিসেম্বর বিনা বিচারে দেড় দশক ধরে কারাগারে থাকা চাঁন মিয়া, মকবুল, সেন্টু ও বিল্লালের মামলার বিচার শেষ করতে সময় বেঁধে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর মধ্যে মকবুল, সেন্টু ও বিল্লাল এই তিনজনকে আদালত জামিন দিয়েছে। তবে চাঁন মিয়া নিম্ন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়ায় তাকে কারাগারেই থাকতে হবে। হাইকোর্টের নির্দেশে কারাকর্তৃপক্ষ ওই চার আসামিকে আদালতে হাজির করার পর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের বেঞ্চ এই আদেশ দেয়। আদালত বলেছে, মকবুল, সেন্টু ও বিল্লালের মামলার বিচার ৯০ দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে। আর নিম্ন আদালতে চাঁন মিয়ার মামলার নিষ্পত্তি করতে হবে ৬০ দিনের মধ্যে। একইভাবে তার বিষয়টি গত ৩০ অক্টোবর নজরে আনা হলে শিপনকে ৮ নবেম্বর হাজির করতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ওই দিন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও জেবিএম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ দীর্ঘ ২২ বছর আগের ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ১৭ বছর ধরে বিনা বিচারে কারাগারে থাকা মোঃ শিপনকে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জামিন প্রদান করেন। সেদিন আদালত তার আদেশে বলেছেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রের দায়িত্ব দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি করা। এক্ষেত্রে রাষ্ট্র এবং আদালত ব্যর্থ হয়েছে। এটা আমাদের সকলের জন্য লজ্জাকর। এই দায় রাষ্ট্রের এবং বিচারকের।’ অন্যদিকে এর বাইরে ১০ বছরের অধিক সময় ধরে যারা বিনাবিচারে কারাগারে আটক আছেন তাদের মধ্যে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন ২ জন। এর মধ্যে হত্যা মামলার আসামি কমল (৩১) ১২ বছর ধরে কারাগারে আটক আছেন। তিনি মহানগর অতিরিক্ত দায়রা জজ, ৪র্থ আদালতে ৯২ বার হাজিরা দিয়েছেন। ইমরান ওরফে ইসমাইল মুসা ১৩ বছর আটক আছেন। তিনি হাজিরা দিয়েছেন মোট ৮১ বার। ময়মনসিংহ কারাগারে আছেনÑ নজরুল ইসলাম (৩১), সিরাজ (৫৩), আলম মিয়া (৩৫), কাশীমপুর-২ কেন্দ্রীয় কারাগারে ৩ জন, এরা হলেনÑ আনোয়ার হোসেন, জাকির হোসেন ও কামাল। কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে আটকৃতরা হলেনÑ মোঃ ফারুক মিয়া, জামিল হোসেন, মোঃ আলম, মোঃ সানাউল্লাহ, জামিল হোসেন ও আঃ রাজ্জাক। কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগারে মোঃ তকদির মিয়া, নরসিংদী জেলা কারাগারে সাজু মিয়া, মুন্সীগজ্ঞ কারাগারে মোঃ জালাল, রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে মতিউর, ফয়েন, পাবনা জেলা কারাগারে কাইলা কালাম ওরফে কালাম, নাটোর জেলা কারাগারে মোঃ আব্দুল খালেক চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে সত্যজিত পাল, সুমন সেন ওরফে সুমন, ওসমান গণি, মোঃ নুরুল আমিন, কক্সবাজার জেলা কারাগারে আবুল কাশেম, মোস্তফা আহাং, মোঃ ইসমাইল, মনির, মিয়ানমায়ের নাগরিক সুলতান আহম্মেদ, নুরুল ইসলাম, মোঃ কালু মিয়া ওরফে কালা মিয়া, কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে মোঃ সাইফুল ইসলাম খোকন, আবু তাহের, সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে ফারুক হোসেন, মোঃ সেলিম মিয়া, সাব্বির আহম্মেদ ওরফে দুলাল, সাইফুল আলম ওরফে বেলাল, মোঃ দানা মিয়া, রাজু জগনাথ, সুনাজগঞ্জ জেলা কারাগারে বসির উদ্দিন, যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে অপূর্ব দাস, খুলনা জেলা কারাগারে মোঃ তৈয়ব শেখ, মোঃ সুমন ওরফে নুরুজ্জামান, সাতক্ষীরা কারাগারে আসাদুল ওরফে আছা, মোঃ হাবিবুর রহমান ওরফে ইসমাইল, মনিুরুজ্জামান ওরফে মুন্না, নাসির উদ্দিন, গিয়াস উদ্দিন, বাগেরহাট জেলা কারাগারে অসীম হালদার, ঝিনাইদহ কারাগারে মোঃ হায়দার আলী, পিরোজপুর কারাগারে মোঃ রফিকুল ইসলাম। এদিকে সারাদেশের কারাগারগুলোতে বিনা বিচারে আটক ৪৬২ জন রয়েছে। এই বন্দীদের মধ্যে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জে ৫, ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগারে ২৫, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এ ৪, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এ ৫৭, কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার ৫, কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে ২১, ফরিদপুর জেলা কারাগারে ৫, টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে ৩, জামালপুর জেলা কারাগারে ১, কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগারে ৮, নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে ১, নরসিংদী জেলা কারাগারে ১১, মুন্সীগঞ্জ জেলা কারাগারে ৪, নেত্রকোলা জেলা কারাগারে ১, মানিকগঞ্জ জেলা কারাগারে ৪, শরীয়তপুর জেলা কারাগারে ২, রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে ১৭, পাবনা জেলা কারাগারে ৪, বগুড়া জেলা কারাগার ৫, সিরাজগঞ্জ জেলা করাগারে ৮, নওগাঁ জেলা কারাগার ২, জয়পুরহাট জেলা কারাগারে ৫, নাটোর জেলা কারাগারে ৪, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কারাগারে ১, রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ২, গাইবান্ধা জেলা কারাগারে ৪, কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে ২, নীলফামারী জেলা কারাগারে ৯, দিনাজপুর জেলা কারাগারে ১১, ঠাকুরগাঁও জেলা কারাগারে ৬, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে (মেট্রোপলিটন এলাকা) ৩৩, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে (জেলা থানাগুলোতে) ২৩, কক্সবাজার জেলা কারাগারে ৩১, খাগড়াছড়ি জেলা কারাগারে ৪, বান্দরবান জেলা কারাগারে ২, কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে ১৭, চাঁদপুর জেলা কারাগারে ৪, নোয়াখালী জেলা কারাগারে ২, ফেনী জেলা ৪, লক্ষ্মীপুর জেলা কারাগারে ৪, সিলেট কেন্দ্রী কারাগারে ১৪, হবিগঞ্জ জেলা কারাগারে ২, মৌলভীবাজার জেলা করাগারে ৬, সুনামগজ্ঞ জেলা কারাগারে ৪, যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে ৭, খুলনা জেলা করাগারে ১০, বাগেরহাট জেলা কারাগারে ২, সাতক্ষীরা জেলা কারাগারে ১১, নড়াইল জেলা কারাগারে ১, মাগুরা জেলা কারাগারে ১, ঝিনাইদহ জেলা কারাগারে ৪, চুয়াড়াঙ্গা জেলা কারাগারে ১০, বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে ৩, পটুয়াখালী জেলা কারাগারে ২, বরগুনা জেলা কারাগারে ২, ভোলা জেলা কারাগারে ৩, ঝালকাঠি জেলা কারাগারে ১ ও পিরোজপুর জেলা কারাগারে ১ জন ৫ বছর বা তদুর্ধ সময় ধরে কারাগারে বিনা বিচারে রয়েছেন। কারাগারগুলোতে বিনাবিচারে আটক বন্দীদের বিষয়ে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের মানবাধিকার কমিটি চেয়ারম্যান জেড আই খান পান্না জনকণ্ঠকে বলেছেন, আদালত যে কাজটি করেছে তা খুবই ভাল পদক্ষেপ।
×