ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কাল ঘোষণা দেবেন টেরেসা মে

ইইউ থেকে বেরিয়ে আসতে ব্রিটেনের প্রস্তুতি

প্রকাশিত: ০৩:২৯, ১৬ জানুয়ারি ২০১৭

ইইউ থেকে বেরিয়ে আসতে ব্রিটেনের প্রস্তুতি

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে ব্রিটেন পুরোপুরি বেরিয়ে আসতে প্রস্তুত এমনই ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে। মঙ্গলবার তিনি ভাষণ দেবেন। এতে প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করে বলবেন, ইইউ সদস্য দেশগুলোতে অবাধ যাতায়াতের সুযোগের অবসান ঘটাতে তিনি একক বাজার ও কাস্টমস ইউনিয়নে ব্রিটেনের সদস্য পদ আর রাখতে চান না। খবর গার্ডিয়ানের। প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ মহলের সূত্রের বরাত দিয়ে সানডে টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টেরেসা মে চাইছেন, তার দলের যারা ইইউ বিরোধী এবং ‘হার্র্ড’ বা ‘ক্লিন’ ব্রেক্সিটের পক্ষে মনোভাব পোষণ করে আসছেন তাদের শান্ত করতে। লন্ডনের ল্যাঙ্কাস্টার হাউসে কূটনীতিকদের উদ্দেশে এই ভাষণে টেরেসে মে ব্রেক্সিটের লক্ষ্যে তার মনোভাব নিয়ে কয়েক মাসে জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটাতে চাইবেন। সানডে টেলিগ্রাফের মতে, তিনি বলবনে, ব্রিটেন ইইউ কাস্টমস ইউনিয়ন ছাড়তে পুরোপুরি প্রস্তুত। একক বাজারে প্রবেশের অধিকার হারাতে হলেও ব্রিটেন তাদের সীমান্তের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করবে এবং ইউরোপিয়ান কোর্ট অব জাস্টিসের রুলিংয়ের আওতাভুক্ত থাকবে না। ইইউপন্থী ও বিরোধীদের মধ্যে ছয় মাস ধরে তীব্র বাগ্্যুদ্ধের পর প্রধানমন্ত্রী ঐক্যের আহ্বানও জানাবেন ভাষণে। এপির খবরে বলা হয়, তিনি একে অপরকে অপমান করা থেকে বিরত থাকতে এবং বিভেদ সৃষ্টিকারী ‘লিভার্স’ ও ‘রিমেইনার্স’ পরিভাষা পরিহারে অনুরোধ জানাবেন। তিনি ইইউর বাইরে ব্রিটেনের সফল ভবিষ্যত তৈরিতে দুই পক্ষকে এক কাতারে এসে দাঁড়ানোর জন্য উদাত্ত আহ্বান জানাবেন। আশা করা হচ্ছে, টেরেসা মে শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা করার মতো ‘সাধারণ লক্ষ্য’ নির্ধারণের ওপর জোর দেবেন। ধারণা করা হচ্ছে তিনি বলবেন, ‘ব্রিটেনের গণতন্ত্র এত বছর ধরে সফল তার একটি কারণ হচ্ছেÑ জাতি হিসেবে আমাদের শক্তিশালী পরিচিতি। নাগরিক হিসেবে আমরা একে অপরকে সম্মান করি এবং আমরা আমাদের পদ্ধতি ও নিয়ম-কানুনকে গুরুত্ব দেই। যেমন ইইউতে থাকা না থাকার ওপর ভোটের ফলের প্রতি আমরা সবাই শ্রদ্ধা পোষণ করছি। জয়ীদের দায়িত্ব উদার ও মহানুভবতার সঙ্গে কাজ করা। আর পরাজিতদের উচিত ভোটের ফলের বৈধতার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা।’ ব্রিটেন সরকারের ব্রেক্সিট কৌশল নিয়ে এমপি ডেভিড ডেভিস আরও কিছু তথ্য দিয়েছেন। সানডে টাইমসে এক লেখায় তিনি ইঙ্গিত দেন, ব্রিটেন ইইউয়ের অপর ২৭টি দেশের সঙ্গে অন্তর্বর্তী চুক্তি সম্পাদন করতে চাইতে পারে। তিনি লেখেন, ‘আমরা চাই না, ইইউ ব্যর্থ হোক। আমরা চাই, এটি অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হোক। আমাদের মিত্রদের বোঝানো দরকার যে, ব্রিটেনের সঙ্গে নতুন করে দৃঢ় বন্ধন ইইউকে ওই লক্ষ্যে পৌঁছতে সাহায্য করবে।’
×